পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:
মুবারক সাক্ষাতে বিভিন্ন আলোচনার এক পর্যায়ে হযরতুল আল্লামা রূহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি নিবেদন করেন: “হে হযরত সাইয়িদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম! আমি পূর্বে আপনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত এবং কায়িনাতব্যাপী প্রচারিত-প্রসারিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের তাজদীদী মুখপত্র পবিত্র আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠ করতাম না। কিন্তু একদিন আমি স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-দান-ইহসান মুবারকে পবিত্র রওযা মুবারকে উনার মুবারক সান্নিধ্যে উপস্থিত ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
“সেখানে আমি দেখতে পেলাম, বিশিষ্ট বুযুর্গ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলী হযরত ইমাম দায়লামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম এবং মুহব্বতের সঙ্গে আপনার পবিত্র আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠ করছেন। সুবহানাল্লাহ! আর আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রউফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত মুহ্ববত এবং গভীর আগ্রহের সঙ্গে তা’ শুনছেন। এ মুবারক ঘটনার পর থেকে আমিও পূর্ণ আদব ও মুহব্বতের সঙ্গে পবিত্র আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠ করা শুরু করে দিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
মুবারক এ ঘটনা থেকে যা গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয় তা হলো, পবিত্র মদীনা শরীফে তথা খোদ পবিত্রতম রওযা শরীফেও পবিত্র আল বাইয়্যিনাত শরীফ পঠিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! মহা পবিত্রতম নিসবত হাছিলের লক্ষ্যে সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম (বিগত ও বর্তমান) উনারা নিয়মতিভাবে পবিত্র আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠ করে থাকেন। এ মুবারক পাঠ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মুবারক আগ্রহভরে শুনে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)