কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর নতুন ভাবশিষ্য ফুলতলীর লংমার্চ এবং তার শরয়ী পর্যালোচনা ও প্রসঙ্গ কথা

সংখ্যা: ১৫৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

উপমা দেয়া আল্লাহ পাক-এর সুন্নত। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত।

প্রসঙ্গত তথাকথিত আল্লামা ফুলতলি যে লংমার্চ করলেন তার উপমা দেয়ার জন্য আহামরি কিছু পেশ করার দরকার নেই। স্বল্প শিক্ষিতদের জন্য রচিত পুথি সাহিত্যেই সে উপমা যথোপযুক্ত। পুথি সহিত্যের একটি মশহুর শ্লোক হল:

‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল

        কিছুদূর গিয়া মর্দ রওয়ানা করিল’।

পাঠক উপরোক্ত শ্লোকটি যেন শতভাগই প্রতিফলিত হয়েছে ফুলতলীর লংমার্চের ক্ষেত্রে। কারণ সাধারণ অর্থে মার্চ অর্থই হল যাত্রা। আর লংমার্চ যে কারণে বলা হয়েছিল সেটা ছিল দীর্ঘ পদযাত্রা। প্রায় ৬-৮ হাজার মাইল।

তার বিপরীতে মাত্র প্রায় ৩০০ মাইল এসি গাড়ীতে চড়ে সিলেট থেকে ঢাকা আসার রঙ্গ যাত্রাকেই ফুলতলী সাহেব বলেছেন লংমার্চ। যেন পুথির যে কথা:

‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল।’

আবার এ লংমার্চের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কেই শ্লোকের পরবর্তী লাইনটি যুতঁসই।

‘কিছুদুর গিয়া মর্দ রওয়ানা করিল।’

কিছুদুর গিয়া কারো রওয়ানা করার বিষয়টি যেমন বেমানান তার  চেয়েও বেশ বেমানান ফুলতলীর এ লংমার্চের বিষয়টি। কারণ লংমার্চ কোন দাবী আদায়ের জন্য করা হয়নি। আর কোন ইসলামী ব্যক্তিত্বও এ লংমার্চ করেনি। করেছে কট্টর কমুনিষ্ট মাওসেতুং। আর লংমার্চ কোন অগ্রযাত্রা ছিলনা ছিল দীর্ঘ পলায়নযাত্রা। যার একক কৃতিত্বের দাবীদার সে। এ সম্পর্কে গত লেখায় মাওসেতুং এর প্রমাণভাষ্য দেয়া হয়েছে।

লংমার্চ কোন অধিকার আদায়ের, কোন আন্দোলনের প্রতীক নয়। অনুপ্রেরণা না। বরং এটা সম্মুখ যুদ্ধ থেকে পেছন দিক দিয়ে কৌশল পলায়নের এক প্রক্রিয়া।

অতএব, ‘কিছুদূর গিয়া মর্দ হাটিয়া চলিল’ এ বাক্য যেমন বেমানান ও হাস্যকর তেমনি ফুলতলী ছাহেবের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাবীর জন্যও লংমার্চ করাটা তেমনি হাস্যকর ও জেহালতি।

কারণ যে বা যিনি যখনই লংমার্চ করুন না কেন সে বা তাকে অবশ্যই অবশ্যই তৎক্ষনাত কট্টর কমুনিষ্ট মাওসেতুং এর অনুরাগী ও অনুসারী হতে হয়। প্রসঙ্গতঃ লংমার্চ সম্পর্কে মাওসেতুং এর উদ্ধতিতেও তার প্রমাণ ব্যক্ত রয়েছে।

“ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহে লংমার্চ এ ধরণের প্রথম ঘটনা। একটি ইস্তেহার, একটি প্রচার বাহিনী, একটি বীজ বপনকারী যন্ত্র।

পানগু যখন স্বর্গ থেকে মর্ত আলাদা করে দেয় এবং তিন রাজা ও পাঁচ সম্রাট রাজত্ব করত সেই থেকে ইতিহাস কি কখনো আমাদের মত একটি লংমার্চ প্রত্যক্ষ করেছে? দীর্ঘ বারো মাস বেশ কিছু বিমান আকাশ থেকে আমাদের ওপর নজর রেখেছে এবং বোমা ফেলেছে। মাটিতে কয়েক শত-সহস্র মানুষের এক বিশাল বাহিনী আমাদের ঘেরাও, অনুসরণ, গতিরোধ করেছে এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, পথে আমরা অবর্ণনীয় কষ্ট এবং বিপদের মোকাবেলা করেছি; তথাপি দু’পা ব্যবহার করে আমরা এগারটি প্রদেশের দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে বিশ হাজার লী’র বেশী দূরত্ব অতিক্রম করেছি। জিজ্ঞেস করতে চাই ইতিহাসে কি কখনো এ ধরণের লংমার্চের ঘটনা ঘটেছে? না, কখনোই নয়। (Selected works of Mao ise tung vol, 1, page 161-162)

মূলতঃ আল্লামা লক্বব ব্যবহার করলেও ফুলতলী সাহেব আসলে মোটেও আল্লামা বা জ্ঞানী নন। আসলে লংমার্চের ইতিহাস ও প্রকৃতি সম্পর্কে তার কোন জ্ঞানই নেই। তাই তার এবং তার মূর্খ অনুসারীদের জ্ঞাতার্থে লংমার্চের ইতিহাস ব্যক্ত করা হল-

লংমার্চের প্রাক ইতিহাস

১৯২৭ সালটা চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির জন্যে এক দুর্যোগপূর্ণ সময় বলে ধরা হয়। পার্টির নির্দেশে মাওসেতুং তার কর্মক্ষেত্র হুনান প্রদেশে শরৎকালীন ফসল তোলার পূর্বে এক কৃষক বিদ্রোহ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।           হুনানের পার্শ্ববর্তী প্রদেশ কিয়াংসির প্রধান শহর নানচাঙ-এ আরেক কমিউনিষ্ট নেতা আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মোটামুটি সফল হয়। এ বাহিনী সদম্ভে ক্যান্টনের দিকে অভিযান চালাতে গিয়ে চীনের তৎকালীন কমিউনিষ্ট বিরোধী প্রেসিডেন্ট চিয়াঙ কাইশেকের বাহিনীর নিকট পরাজয় বরণ করে। নানচাঙ কয়েক দিনের জন্যে কমিউনিষ্ট পার্টির ফৌজের অধীনে থাকলেও ক্যান্টেনের অভিযানে পরাজিত হয়ে একেকজন একেক দিকে পালিয়ে যায়। হোলাঙ সাংহাইতে, চৌ-এন লাই হংকং-এ, মাওসেতুং তার অবশিষ্ট সৈন্য বাহিনী নিয়ে হুনান আর কিয়াংশি প্রদেশের সীমান্তবর্তী পার্বত্য অরণাঞ্চল চিঙ্খানশান এ পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। কিছুদিন পর চু-তে এখানে এসে মিলিত হয় মাওসেতুং এর সাথে।

এদিকে এ বৎসরটি শেষ হওয়ার পূর্বেই কমিন্টার্ণ চীনের এখানে ওখানে কয়েকটি সোভিয়েত প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

সোভিয়েত বলতে কমিউনিষ্টদের ভাষায় একটি ভুখন্ড, যেখানে কমিউনিষ্টরা তাদের কথিত সাম্যবাদের নীতিতে দেশটাকে শাসন করে অর্থাৎ সেখানে উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থা হবে জমিদার বা কারখানা মালিক ও কৃষক-মজদুরের তথাকথিত যৌথ স্বার্থে। জমিদার বা কারখানা মালিকরা এ ব্যবস্থা মেনে না নিলে পুলিশ ও মিলিটারী দিয়ে তাদের বাধ্য করা হবে। কারণে কমিউনিষ্টরা সোভিয়েত প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজস্ব ফৌজ বা গণফৌজ তৈরী করতে সচেষ্ট হয়।

          প্রথম সোভিয়েত প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোয়াংতুং প্রদেশের হাই-লু-ফেং সোভিয়েত। এর নেতা ছিল পেং পাই। প্রায় সাত-আট লক্ষ কৃষকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল এ সোভিয়েত কিন্তু এক বছর না যেতেই ১৯২৮ সালের মার্চে তাকে নির্মূল করে ফেলা হয়।

          সেক্রেটারী জেনারেলের পদ- ত্যাগ করে চু-চিউ পাই মস্কো চলে যায়। দলের নেতৃত্বভার গ্রহণ করে লি-লি সান। তার প্রধান সহকারী নিযুক্ত হয় চৌ এন লাই। তিন বছর এর মধ্যেই ব্যাপক আকারের বিপ্লব কর্মসূচী হাতে নেয় লিলি সান। তার আশা ছিল এ বিপ্লব শুধু চীনেই নয় বরং তা হবে সমগ্র বিশ্বে এবং এটাই হবে চুড়ান্ত বিপ্লব এবং বিশ্বের শেষ এবং চুড়ান্ত শ্রেণী সংগ্রাম।  ১৯৩০ সালের জুনে লি- মাওসেতুং আর চু-তের অধীনস্ত গণফৌজ নিয়ে পার্শ্ববর্তী কারখানা আছে এমন শহরগুলো বিশেষ করে উহান আর হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশা দখল করে নেয়ার জন্যে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে হুকুমনামা জারী করে।

          কিন্তু গণফৌজ সে যুদ্ধে পরাজিত হয়। পেং তে হুয়ির পঞ্চম বাহিনী চাংশা দখল করেও স্থায়িত্ব পায়নি। ফলে পরাজিত বাহিনীর অবশিষ্ট ফৌজ নিয়ে মাওসেতুং এবং চুতে পুনরায় পর্বত কন্দরে পালিয়ে যায়।

          ১৯৩১ সালের গোড়ার দিকে লিলিসানকে সরে দাঁড়াতে হল নেতৃৃত্বের পদ থেকে। পার্টির নতুন নেতৃত্ব গ্রহণ করে মস্কো ফেরৎ ছাত্রদল, যারা ‘অষ্টবিংশতিবলশেভিক’ নামে পরিচিত। এ দলের তিন  জন ছিল চীনা বিপ্লবী। এদের ছদ্ম নাম যথাক্রমে- ওয়াং মিং, পে-কু এবং লো ফু। দলের নেতা ছিল ওয়াং ফু। কিন্তু তার নীতিতে কার্যকর হলনা কিছুই। পার্টির ভিতর হতাশা নেমে এল। শহরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে হতাশা নেমে এলেও চিঙ্খানশান পার্বত্য ভূখন্ডের গভীরে তিন বন্ধু মাওসেতুং, চুতে আর পেনতে হুয়ি অন্যভাবে কাজ করে যাচ্ছিল।

চিঙ্খানশানের কিয়াংশি সোভিয়েতঃ

          হুনান আর কিয়াংশি প্রদেশের সীমান্তে চিঙ্খানশান একটা অরণ্য পর্বত পরিধিতে প্রায় দেড়শ মাইল বিস্তৃত। পাইন আর বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গল, নেকড়ে, বুনো শুয়োর আর চিতা বাঘের আড্ডা। চম্বল অরণ্যের মতো এখানেও যুগে যুগে আশ্রয় নিয়েছে ডাকাতের দল। ১৯২৭ সালের শেষদিকে পরাজিত ভগ্নহৃদয়  সৈন্যদলের ভগ্নাংশ নিয়ে মাওসেতুং ঐ জঙ্গলে এসে আশ্রয় নেয়। তখন তার সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র এক হাজার। হুনান এর কৃষক বিদ্রোহের ব্যর্থতা, নানচাঙ এর পতন, ক্যান্টেনের চুড়ান্ত পরাজয় আর পার্টি থেকে মাওসেতুং এর বহিস্কার ইত্যাদি সব মিলিয়ে মাও এর অবস্থা শোচনীয়। তবুও হতাশ না হয়ে অদম্য স্পৃহা আর মনোবল নিয়ে ডাকাত দলের সাথে সমঝোতা করে ঐ অরণ্যেই একটা সোভিয়েত গড়ে তুলবার চিন্তায় বিভোর হল মাও। কেন্দ্রীয় কমিটির ভৎসনাকে উপেক্ষা করেই মাও ভাব জমিয়ে তুলল ছয়’শ জন সদস্য বিশিষ্ট ডাকাত দলের সর্দারের সাথে। ছয় মাস পরে ১৯২৮ এর বসন্তকালে মাও এর সাথে  নয় শত সৈন্য আর চেনয়ি ও লিন পিয়াও নামের দু’জন সহকারী সহ হাজির হয় চুতে। একই বছরে হুনান এর কৃষক নেতা পেনতেহুয়ি হাজারখানিক নিজস্ব সৈন্য নিয়ে এসে মিলিত হয় তাদের সাথে। তিন বন্ধুর মিলিত  বাহিনীর সাথে ডাকাত দল আর স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে মোটামুটি একটা সৈন্যদল গঠিত হল। সেই সাথে মাও তার নয়া যুদ্ধনীতি প্রবর্তন করে। কিয়াংশি জঙ্গলে যখন এসব ঘটনা ঘটছে, বহিঃচীন তখন জাপানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। জাপান চীনের মাঞ্চুরিয়া দখল করে নেয়ায় চীনের জনগণ জাপান বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করলে চিয়াঙ জাপানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং উল্টোভাবে জাপান বিরোধী আন্দোলন  দমনে সক্রিয় হয়ে উঠে।

          চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চিয়াঙ কাইশেক এরপর ঐ কিয়াংশি সোভিয়েতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে পর পর কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অভিযান পরিচালিত হয় ১৯৩০ সালের ডিসেম্বরে, দ্বিতীয়বার ১৯৩১ এর বসন্তকালে। এ অভিযানকালে গণফৌজ চিয়াঙ-এর বিশ হাজার সৈন্যকে বন্দী করে তাদের সব আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেয়। জেনারালেসিমো চিয়াঙ কাইশেক তৃতীয় অভিযান পরিচালনা করতে নিজেই এসে আস্তানা গাড়ে, গণফৌজের দশগুণ সৈন্য সমাবেশ করে এবারও ব্যর্থ হয়। মাও এবং চু-র গেরিলা যুদ্ধনীতিতে চিয়াঙ এর দুটি বিগ্রেড আত্মসমর্পন করে। বন্দী হয় বিশ হাজার সৈন্য। সেই সাথে তাদের বিশ হাজার রাইফেল এবং কয়েকশ মেশিনগান। গণফৌজের সৈন্য সংখ্যা তখন দুই লক্ষ। তাদের আছে প্রায় দেড় লাখ রাইফেল। জাপানের সাথে যুদ্ধ বাঁধার ফলে ১৯৩২ সালে চিয়াঙ চতুর্থবার অভিযান পরিচালনা করেও মাও বাহিনীকে পর্যদুস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে ১৯৩২ সালে ওয়াং মিং অবসর নিয়ে ফিরে যায় রাশিয়ায়। সেক্রেটারী জেনারেল পো-কু তার সহকারী চৌ-এন লাই এবং একজন জার্মান অটোব্রন, যার ছদ্মনাম লি তে,  চিয়াঙ এর চতুর্থ বারের ব্যর্থতায় সাহস বেড়ে গেল ওদের। এক লক্ষ গণফৌজ নিয়ে আশ-পাশের শহরাঞ্চলগুলো দখলের হুকুম জারী করল। মাওসেতুং এ নীতির ঘোর বিরোধী থাকার ফলে তার দলের অনেক অনুচরকেই তখন বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পো কু আর লি তের আশা সফল হলনা। ঘটনা প্রবাহিত হল ভিন্ন দিকে। চিয়াঙ জাপানের সঙ্গে আতাত করবে না কমিউনিষ্টের সঙ্গে আতাত করে বহিঃশত্রু জাপানকে তাড়াবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। অবশেষে জাপানের সাথে মামুলী ধরণের একটা সন্ধি করে গৃহশত্রুকে সবংশে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পঞ্চম এবং শেষ অভিযান পরিচালনা করতে গণফৌজকে নির্মূলীকরণে পশ্চিমা শক্তির দেয়া পাঁচ কোটি ডলার মূল্যের গম, আগ্নেয়াস্ত্র এবং চারশ বিমান আর দশ লক্ষ সৈন্যের বিরাট বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয় কিয়াংশি সোভিয়েতের বহিঃদ্বারে। রণনীতি বদলে চিয়াঙ এবার চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলল লাল এলাকা।

          চিয়াঙ সম্মুখ যুদ্ধ না করে সমস্ত এলাকা ঘিরে রাতারাতি পাকা সড়ক নির্মাণ করে রাস্তার উপর সাজোয়া গাড়ী সাজিয়ে মেশিনগান দিয়ে সৈন্যদের বসিয়ে রাখে। ছেলে-মেয়ে, বাচ্চা-বুড়ো যে কেউ ঐ জঙ্গল ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ জারী হলো। অতঃপর পরিখা খনন করে কাঁটা তারের বেড়া দিল চার পাশে। যাতে কেউ জঙ্গল ছেড়ে এপারে আসতে না পারে। ঐ ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত পার্বত্য অরণ্যে এক গ্রেন কুইনিন প্রবেশের ক্ষেত্রেও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

          অবস্থা পর্যবেক্ষণ পূর্বক এ বিপদ থেকে বাঁচার জন্যে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বুহ্য ভেদ করে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে মাও এবং চু পরামর্শ দিয়েছিল সেনাপতিকে। কিন্তু জার্মান সেনাপতি লি তে-তা অগ্রাহ্য           ১৯৩৪ সালের এপ্রিলে লি তে মাও এর যুদ্ধনীতি অগ্রাহ্য করে ফুকিয়েন-কিয়াংশি সীমান্তে কোয়াংচাঙ এর রণক্ষেত্রে সম্মূখ যুদ্ধে মর্মান্তিকভাবে পরাজিত হয়। এতে গণফৌজের চার হাজার সৈন্য নিহত এবং বিশ হাজার সৈন্য আহত হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে তাদের ফিরে আসতে হল অবরুদ্ধ জঙ্গলে।

এতদিনে পলিটব্যুরো মাওয়ের মত মেনে নিলো। সোভিয়েত ছেড়ে সদলবলে পালানোর জন্যে প্রস্তুত হলো। আর মাওসেতুং এর কথানুযায়ী কমিউনিষ্ট তথা লাল ফৌজ বা গণ ফৌজ বাহিনীর এই পলায়ণের কাহিনীই ইতিহাসে লংমার্চ নামে অভিহিত।         ১৬ই অক্টোবর ১৯৩৪ সালে শুরু হলো এই কথিত মহাযাত্রা লংমার্চ। পালানোর কৌশল হিসেবে তারা চীনের দক্ষিণ-পূর্ব কিয়াংশি থেকে পশ্চিম দিক দিয়ে ঘুরে প্রায় (৬-৮) হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে চীনের উত্তর পশ্চিম সেনসি প্রদেশে পৌঁছে। পথে তাদের ১৮টি পাহাড়ের সারি ও ২৪টি নদী অতিক্রম করতে হয়। মাওসেতুং এর নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের এই দীর্ঘ বিপদসঙ্কুল পথ পলায়নের কাহিনীই ইতিহাসে লংমার্চ নামে অভিহিত বা মশহুর।

          ১৯৩৪ সালের ১৫ই অক্টোবর প্রায় ১লাখ ৩৫জন লোক নিয়ে মাওসেতুং এই পলায়ন অভিযান আরম্ভ করে। এদের মধ্যে ৮৫ হাজার ছিল কমুনিস্ট সৈন্য, ১৫ হাজার বেসামরিক ব্যক্তি ও ৩৫ জন মেয়েলোক। পলায়নের সময় একদিকে নতুন সৈন্য অন্তর্ভূক্তির ব্যর্থতা অপরদিকে সমরাস্ত্র, খাদ্য, চিকিৎসা ইত্যাদির অভাবে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। যার ফলে তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং প্রায় ৮ হাজার লোক জীবিত অবস্থায় ১৯৩৫ সালের অক্টোবরে সেনসি প্রদেশে পৌঁছে।

          উল্লেখ্য এর মধ্যে অবশ্য অনেককে ইচ্ছে করেই বিভিন্ন গ্রামে রেখে আসা হয়, সে অঞ্চলে বিপ্লবের বীজ বপন করতে।

          অবশেষে তৎকালীন চীনের প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইশেকের কাছেও খবরটা পৌঁছল। মাওসেতুং-এর নেতৃত্বে কমিউনিষ্টরা উত্তর-পশ্চিম চীনের সেনসিতে মিলিত হয়েছে।          ১৯৩৬ সালের অক্টোবরে চিয়াং কাইশেক স্বয়ং এল সেনসিতে। সব সেনাপতিকে ডেকে কমিউনিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের  কথা বললো চিয়াং কাইশেক। কিন্তু এদিকে তখন চীনের বহিঃশক্র জাপানের আক্রমণ তুঙ্গে। তাই মার্শাল চ্যান্ড সহ কতিপয় সেনাপতি কমিউনিষ্টদের সাথে সন্ধি করে বহিঃশত্রু জাপানের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণের পরামর্শ দেয়। কিন্তু চিয়াং কাইশেক তাতে রাজী না হলেও ছাত্র জনতার চাপ এমনকি মার্শাল চ্যান্ড এর মত কতিপয় সেনাপতির কৌশলে চিয়াং কাইশেক এক পর্যায়ে বন্দী হয়ে অবশেষে মাওসেতুং এর কমিউনিষ্ট পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ বাদ দিয়ে বরং তার সাথে মিলিত হয়ে জাপানের বিরুদ্ধে লড়তে সম্মত হয়।

          আর এদিকে চিয়াং কাইশেকের সাথে মিলিত হওয়ার পেছনে মাও-এর দর্শন ছিল যে, জাপানীদের থেকে রাজনৈতিক ভাবে স্বাধীনতা লাভের জন্য তখন চিয়াং কাইশেকের সাথে মিলিত হয়ে যুক্তফ্রন্ট করা দরকার। কিন্তু মাওসেতুং বিশ্বাস করত যে এ যুক্তফ্রন্ট বেশী দিন চলবেনা। কিন্তু ঐভাবে মাওসেতুং চিয়াং কাইশেকের সৈন্যদলের ভিতর ঢুকে পড়তে চেয়েছিলো। তার সে চেষ্টা সফল হয়েছিল। আর এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে আরেক বিরোধে মাওসেতুং জয় লাভ করে, চিয়াং কাইশেক পদত্যাগ করে এবং ১৯৫০ সালে চিয়াং কাইশেক সপরিবারে ফরমোসায় পলায়ন করলে পুরো চীনে মাওসেতুং এর কমিউনিষ্ট পার্টি  কমিউনিষ্ট শাসন জারী করে।

          কারণ মাওসেতুং এর কথানুযায়ী তার লংমার্চ যদি না করা হত তাহলে কিয়াংশি প্রদেশেই সমস্ত কমুনিষ্টদের চিয়াং কাইশেকের সেনাবাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণ করতে হত।

          কিন্তু মাওসেতুং-এর লংমার্চের কারণেই তারা প্রাণে বেচেঁছে এবং পরিণামে কমিউনিষ্ট মতবাদও প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

অতএব, সে লংমার্চ করে ফুলতলী সাহেব শুধু তার উস্তাদ মাওসেতুংকেই উদ্ভাসিত করেন নাই পাশাপাশি তিনি এই কথাও বিশেষভাবে প্রতিধ্বনিও করেছেন যে, ইসলাম নয়, লালফৌজ তথা কমুনিষ্টদের পথই এক মাত্র মুক্তির পথ। (নাঊযুবিল্লাহ)

মাওসেতুংয়ের ভাষায়-

লংমার্চ একটি ইস্তেহার। লংমার্চ গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে লাল ফৌজ বীরদের কাহিনী, সাম্রাজ্যবাদীরা এবং তাদের পা চাটা কুকুর জিয়াং জিয়েশি (চিয়াং কাই-শেক) ও তার দোসররা নপুংসক, আমাদের ঘেরাও, অনুসরণ, প্রতিরোধ এবং গতিরোধে তাদের চরম ব্যর্থতার কথাও লংমার্চ জানিয়ে দিয়েছে। লংমার্চ একটি প্রচারণী শক্তিও। এগারোটি প্রদেশের প্রায় ২০ কোটি জনগণকে লংমার্চ দেখিয়েছে লাল ফৌজের পথই তাদের মুক্তির একমাত্র পথ। লংমার্চ ছাড়া ব্যাপক জনগণ স্বল্প সময়ে কিভাবে লাল ফৌজের বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পারতেন? লংমার্চ বীজ বপনকারী যন্ত্রও। এগারোটি প্রদেশে লংমার্চ যে অসংখ্য বীজ বুনেছে, তা মুঞ্জরিত হবে, পাতা গজাবে, বিকশিত হবে, ফল ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতেও ফসল দেবে। (Selected works of Mao lse tung vol, 1, page 161-162)

মাওসেতুং এর কথা সত্য হয়েছে। তার শিষ্য ভাষানী, শাইখুল হদস, মাহিউদ্দিনের পর আজ তা তথাকথিত আল্লামা ফুলতলীর মাঝে মঞ্জুরিত হয়েছে প্রকাশ পেয়েছে, বিকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ ফুলতলী মাওসেতুং এর সার্থক ও খাটি ভাবশিষ্য বনেছে।

তবে একটি দিকে ফুলতলী মাওসেতুংকেও অতিক্রম করেছে। তা হলো- মাওসেতুং তার লংমার্চ বাহিনীর সংখ্যাধিক্য নিয়ে অতিশায়েক্তি করেনি। ১ লাখ ৩৫ জনের মধ্যে অবশেষে সে প্রায় ৮ হাজার লোক জীবিতবস্থায় লংমার্চ শেষ করতে পেরেছিল এটা সে সহজেই স্বীকার করেছে।

কিন্তু এক্ষেত্রে ফুলতলী বেশ দেখিয়েছেন। চরম ছলনা  ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। স্বীয় ঘরানার সংবাদে বলা হয়েছে:

“৫ শত গাড়ী বহরে  লক্ষাধিক লোক লংমার্চ করে সিলেট থেকে ঢাকায় এসে পৌছে।” (ইনকিলাব ১৬ সেপ্টেম্বর)

 অথচ একই দিনে দৈনিক আমার দেশ-এ  ছাপা হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুশতাধিক গাড়ির বিশাল বহর যাত্রা করে ঢাকার উদ্দেশ্যে।  ‘প্রথম আলোতে’ রিপোর্ট হয়, আমাদের সিলেট অফিস  জানায় সকাল নয়টায় ফুলতলীর মাওলানা আব্দুল লতিফ-এর কয়েক হাজার অনুসারী দুই শতাধিক বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাকে করে সিলেট থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

এদিকে যাত্রা পথে অথবা ঢাকা শহরেও অনুসারীদের মিলিত হওয়ার তেমন কোন সংবাদ কোন সংবাদপত্রে নেই। অর্থাৎ  সিলেট থেকে গাড়ী বহরে আগতরাই কথিত লংমার্চের মূল জনশক্তি।

এবার নিম্নে প্রাইমারীর একটা গণিতিক হিসাব করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য গাড়ী বহরে সব বাস ছিলনা, ট্রাক ছিলনা, মাইক্রো ছিল কারও ছিল। আর যদি বাসই ধরে নেয়া হয় তাহলে প্রতি বাসে সর্বোচ্চ ৪০ জন করে ধরলেও দু’শ বাসে হয় ৪০* ২০০=৮,০০০ অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে হাজার দশেরও কম।

অপর এক সূত্র জানায়, তাদের কথিত লংমার্চে বাস ছিল প্রায় ৮০টির মত। যাতে লোক ছিল ৮০*৪০=৩২০০ জন। ট্রাক ছিল প্রায় ৭০টি। যাতে ২০ জন করে লোক হয় ২০*৭০= ১৪০০জন। মাইক্রো ছিল ৩০টি। যাতে লোক হয় ৩০*৯=২৭০ জন। প্রাইভেট কার ছিল ২০টি। যাতে লোক হয় ২০*৫=১০০ জন। এভাবে সর্ব সাকুল্যে লোক হয় ৪৯৭০জন। আর সেটাকেই তারা ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলেছে লক্ষ জনতা।

বলার অপেক্ষা রাখেনা যাদের অনেকেই ভাড়া করা, ঢাকা শহর দেখতে আসা ইত্যাদি ধরনের লোকও রয়েছে। কিন্তু এ দুশ’ গাড়ী বহরকে ৫শ গাড়ী বলা এবং দশ হাজারেরও কম লোককে লাখো জনতার সমাবেশ বলা, এটা কি  উদ্দেশ্যে?

এখানেও পুথির সে শ্লোকটি আবারো প্রযোজ্য হয়-

‘লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার

        শুমার করিয়া দেখি মাত্র চল্লিশ হাজার।’

মূলতঃ মাওসেতুং লংমার্চ করেছিল কমুনিষ্ট প্রধান নেতা হওয়ার জন্য। তার একক কীর্তি জাহির করার জন্য। প্রথম দিকে পলিটুকারো তার এ লংমার্চের পরিকল্পনা মেনে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে মানলে সেই হয় লংমার্চের একক কৃতিত্বের দাবীদার আর তারই অনুসরণে  লংমার্চ করে তথাকথিত আল্লামা ফুলতলী জোট সরকারকে নিজের অবস্থান ও শক্তি মত্তা সম্পর্কে একটা জানান দিলেন। ছেলের নমিনেশন চাওয়ার ও পাওয়ার ভিত তৈরী করলেন। আল্লাহ পাক ও তার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি ও মত-পথ ছেড়ে দুনিয়াবী রাজনীতির ধান্ধা করলেন। নিজের জেহালতি ও কায়েমী স্বার্থবাদ প্রমাণ করলেন।

কারণ মানুষ ভাত খায় কিছু হলেও বুঝে। কাজেই তারা বুঝেতে সক্ষম যে গোটা পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল দেশে লক্ষ কোটি অনৈসলামিক কাজ হল, দুর্নীতির রাহুগ্রাসে মানুষ জর্জরিত ও দিশেহারা হয়ে গেল

সে পোনে পাঁচ বছরেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোন ইস্যু পেলেন না।

আর মাদ্রাসা-শিক্ষাকে স্বয়ং সম্পূর্ণ ও উন্নত করার আন্দোলনেও তিনি উদ্যোগী ছিলেন না। তার সম্পৃক্ত হবার পূর্বেই ফাজিল-কামিলের মান স্বীকৃত হয়েছে।

সেই শেষ মুহূর্তে শুধু মাত্র জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন না করে পৃথক আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন করার জন্য নমিনেশনের মৌসুমে হঠাৎ তার এত তোড়জোর কেন? সর্বশক্তি নিয়োগে লংমার্চের নামে শো-ডাউন কেন? এবং মহিলা প্রধান মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর আবার থেমে গেলেন কেন? সেটা কি তবে কিছু পাওয়ার আনন্দে এবং আরো কিছু পাওয়ার আশায় বুক বাধনে?

উল্লেখ্য ফাজিল-কামিলকে সাধারণ শিক্ষার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন করার কারণেই যদি তার এত মাথা ব্যাথ্যা হয় আর প্রধান মন্ত্রীর সাথে বেপর্দা  সাক্ষাতের পরই সে মাথা ব্যথার উশম হয় তাহলে তার অসৎ উদ্দেশ্য আরো ঘণীভূত ও প্রমাণিত হয়।

কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এখনও ইসলামী শিক্ষাও আরবী সাহিত্যে বিএ, এমএ, ডিগ্রী দেয়া হয়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আরবী ও ইসলামী শিক্ষার বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স এমনকি ডক্টরেটও দেয়া হয়। তো সেসব বিষয়ে ফুলতলী সহেবের কোনই প্রতিক্রিয়া নেই কেন।

আর প্রধানমন্ত্রীর এক সাক্ষাতে তারা দর্শনেই তিনি আত্মহারা হয়ে গেলেন। এটা কি তবে ছবিকে জায়িয করার পর বেপর্দা হওয়ার জন্য আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে তার নাযিলকৃত শাস্তি? ছূফীর খাতা থেকে তার নাম কাটার প্রকাশ্য নমুনা। তার থেকে হক তালাশীদের দূরে সরে যাওয়ার চেতনা ও অনুপ্রেরণা।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ কর। (সূরা আনফাল/১)

তোমরা পাপ ও শত্রুতার মধ্যে পরস্পরকে সাহায্য করনা। (সূরা মায়িদা-২)    (চলবে)-

মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন