(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়েখ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পুনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
মির্জা গোলাম প্রতিশ্রুত মাহদী
হতে পারে কিনা?
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পাঠক, মির্জা গোলাম কাদিয়ানী নিজে পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখিত মাহদী হওয়া অসম্ভব ধারণা করে যেরূপ উক্ত মুতাওয়াতির পবিত্র হাদীছ শরীফগুলো জঈফ ও অমূলক হওয়ার দাবি করেছে, সেরূপ নাছারাদল ‘মছিহ’ এর আগমন সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফগুলো ভ্রান্তিমূলক হওয়ার দাবি করে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। মির্জা কাদিয়ানী নিজের ‘মছিহ’ হওয়া বাতিল হওয়ার ধারণায় তার কিরূপ উত্তর দিয়েছে, তা পাঠকদের গোচরীভূত করছি।
সে এজালায় আওহামের দ্বিতীয় ভাগের ৩০৯/৩১০ পৃষ্ঠায় লিখেছে; বর্তমানের নাছারাদল যাদের অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথার গুরুত্ব বাকি নাই, অমূলক ধারণা পেশ করে বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে যে পবিত্র হাদীছ শরীফগুলো ছিহাহ (ছয় খণ্ড সহিহ হাদিছের) কেতাবে আছে তৎসমুদয় ভ্রান্তিমূলক, বোধ হয় তাদের কথার উদ্দেশ্য এই যে, আমার দাবিকে অবজ্ঞা করে বাতিল প্রতিপন্ন করা হবে, কিন্তু তারা এত সংখ্যক মুতাওয়াতির হাদীছ শরীফকে এনকার করে নিজেদের ঈমানকে বিপন্ন করে তুলছে। এটা স্বতঃসিদ্ধ কথা যে, তওয়াতোর অন্যান্য জাতির ইতিহাসে পাওয়া গেলে আমাদেরকে তা মেনে নিতে হয়। রামচন্দ্র ও কৃষ্ণ প্রভৃতি হিন্দুদের মানিত লোকদের কথা ‘তাওয়াতোর’ ভাবে ইতিহাস পুস্তকাদিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে আমাদেরকে তাদের অস্তিত্ব মেনে নিতে হচ্ছে। আমরা এরূপ বলতে পারিনা যে, রাজা রামচন্দ্র ও রাজা কৃষ্ণ কতকগুলি অমূলক নাম। এখন বুঝতে হবে যে, যদিও ইজমালিভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ সমধিক পূর্ণ কিতাব, কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অধিক পরিমাণ, ইবাদত ইত্যাদির বিস্তারিত নিয়ম আমরা পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে গ্রহণ করেছি। যদি আমরা সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফকে অগ্রাহ্য ধারণা করি, তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চার খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অস্তিত্ব ও ছাহাবা হওয়া প্রমাণ কষ্টকর হবে, কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উনাদের নাম মুবারক নেই। সমস্ত হাদীছ শরীফগুলোকে অগ্রাহ্য ধারণা করা, মুতাওয়াতির ভবিষ্যদ্বানীগুলিকে যা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও তাবি-তাবিয়ীনগণের সময়েই সমস্ত ইসলাম রাজ্যে পরিব্যাপ্ত হয়ে পড়েছিল এবং সর্বসম্মত মত বলে গৃহীত হয়েছিল।