(কাদিয়ানী রদ!)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়েখ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পুনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
মির্জা গোলাম প্রতিশ্রুত মাহদী
হতে পারে কিনা?
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এতে বুঝা যাচ্ছে, বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে কোন হাদীছ শরীফ না থাকলে, তা যে জঈফ বা জাল হবে, মির্জা কাদিয়ানীর এই দাবি একেবারে বাতিল। আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনু মাজাহ শরীফ ছিহাহ সেত্তার অন্তর্গত, এসব হাদীছ শরীফের কিতাবে ছহীহ সনদে উক্ত হাদীছ শরীফগুলি বর্ণিত আছে। কাজেই তৎসমুদয় যে ছহীহ হাদীছ শরীফ হবে, এতে সন্দেহ নেই। মির্জা কাদিয়ানী নামায, রোযা ইত্যাদি এবং ইবাদত সংক্রান্ত সহস্র মাসয়ালার উপর আমল করে থাকে, যেগুলোর প্রমাণ বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ কিতাবের মধ্যে নেই, বরং অন্যান্য হাদীছ শরীফের কিতাবে আছে, সে তৎসমস্ত জাল বলে ত্যাগ করেনি কেন? সে নামাযে নাভির নীচে হাত বাঁধতো, এটা বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ কিতাবের মধ্যে আছে কি?
মিশকাত শরীফ, ৪৮০ পৃষ্ঠা;-
وَفِيْى رِوَايَةٍ لَـهُمَا قَالَ كَيْفَ اَنْـتُمْ اِذَا نَـزَلَ اِبْنُ مَرْيَمَ فِيْكُمْ وَاِمَامُكُمْ مِنْكُمْ
বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ কিতাবের মধ্যে উল্লেখ আছে, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যে সময় তোমাদের মধ্যে হযরত ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম তিনি নাযিল হবেন, অথচ তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য হতে হবে, সেই সময় তোমাদের অবস্থা কিরূপ হবে?
এ হাদীছ শরীফে বুঝা যায় যে, শেষ যুগে যখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আসমান হতে নাযিল হবেন, তখন আরবের বংশধর কেউ ইমাম হবেন। এটাই হাদীছ শরীফের প্রকৃত অর্থ, কারণ মুসলিম শরীফ কিতাবে নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফে এই অর্থ সমর্থিত হয়।
মিশকাত শরীফ ৪৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَـزَالُ طَائِفَةُ عَنْ اُمَّتِيْ يُـقَاتِلُوْنَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِيْنَ اِلٰى يَـوْمِ الْقِيَامَةِ قاَلَ فَـيَـنْزِلُ عِيْسَى بْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَـيَـقُوْلُ اَمِيْـرُهُمْ تَـعَالَ صَلِّ اَنَا فَـيَـقُوْلُ لَا اِنَّ بَعْضُكُمْ عَلٰى بَعْضٍ اُمَرَاءٌ تَكْرِمَةُ اللهِ هٰذِهِ الْاُمَّةِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক সর্বদা কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের উপর থেকে প্রবল-পরাক্রান্তভাবে জিহাদ করতে থাকবেন, এমতাবস্থায় হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম (আসমান হতে) নাযিল হবেন, এতে উক্ত জেহাদকারী দলের আমীর বলবেন, আমাদের জন্য নামায পড়ান। তা শুনে তিনি বলবেন, না মহান আল্লাহ পাক এ উম্মতের যে গৌরব সম্মান প্রদান করেছেন, তার জন্য তোমাদের কতক অন্যদের আমীর হবেন। (মুসলিম শরীফ)