(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান—আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
মির্জা ছাহেব, একবার বলেন, আমি এলহাম প্রাপ্ত, আমি নবি নহি। আর একবার বলেন, আমি নবি, আমি এলহাম প্রাপ্ত নহি, যদি তাহার এলহাম খোদা কর্তৃক হইত, তবে উহা এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন হইত না, কাজেই ইহা শয়তানি এলহাম, প্রকৃতপক্ষে তিনি নবি ও এলহাম প্রাপ্ত কিছুই নহেন।
(২) তিনি তিরয়াকোল—কুলুবের ৩২৫/৩২৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
শরিয়ত প্রবত্তর্ক নবিকে এনকার করিলে, কাফের হইতে হয়, কিন্তু এলহাম প্রাপ্ত ব্যক্তিকে এনকার করিলে কাফের হয় না, তিনি আল্লাহ তায়ালার দরবারে যত বড় দরজা ও কথোপকথন করার সম্মান লাভ করিয়া থাকুন না কেন।”
তিনি এজালায়—আওহামের ১৩১ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
“মছিহ নাজেল হওয়ার আকিদা এমন কোন আকিদা নহে— যাহা আমাদের ইমানের অংশ কিম্বা দীনের কোন রোকন হইতে পারে, বরং শত শত ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে একটি ভবিষ্যদ্বাণী প্রকৃত ইছলামের সহিত যাহার কোন প্রকার সম্মন্ধ নাই।”
ইহার বিপরীতে তিনি হকিকাতোল—অহির ১৬৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, যে ব্যক্তির নিকট আমার দাওয়াত উপস্থিত হইয়াছে এবং যে আমাকে কবুল না করে, সে মুছলমান নহে।
যে ব্যক্তি আমাকে না মানে, সে খোদা ও রাছুলকে মানে না।
আরও উহার ১৭৯ পৃষ্ঠা,
“যে ব্যক্তি প্রতিশ্রুত মছিহকে না মানে এবং দলীল প্রমাণ পূর্ণ করার পরে তাহাকে মিথ্যাবাদী বলে, সে ব্যক্তি খোদা ও রাছুলের মোনকের—কাফের।”
(৩) তিনি এজালায়—আওহামের ২৭৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
সত্য কথা এই যে, মছিহ নিজের মাতৃভূমি গলিলে উপস্থিত হইয়া এন্তেকাল করিয়াছিলেন।
আরও তিনি সৎবচনের ১৬৪ পৃষ্ঠার ৬ নম্বর হাশিয়াতে লিখিয়াছেন,
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
হাঁ, শামদেশে হজরত ইছা আলাইহিস সালাম—এর গোরের পূজা হইতেছে এবং নির্দিষ্ট তারিখ গুলিতে সন সন সহস্র সহস্র খৃষ্ঠান সেই গোরের নিকট সমবেত হইয়া থাকেন।”
আরও তিনি রাজে—হকিকতের ৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম ক্রুশের ঘটনা হইতে মুক্তি পাইয়া নিশ্চয় হিন্দুস্তানে যাত্রা করিয়াছিলেন, নেপাল হইয়া শেষে তিব্বত পর্য্যন্ত পেঁৗছিয়াছিলেন, অবশেষে কাশ্মীরে কিছু কাল অবস্থিতি করিয়াছিলেন, শেষে ১২০ বৎসর বয়সে শ্রীনগরে এন্তেকাল করিয়াছিলেন এবং খাসইয়ার নামক পল্লীতে মদফুন হইয়াছিলেন।
আরও তিনি এতমামোল—হোজ্জাতের ২০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
“হজরত ইছার কবর বয়তোল—মোকাদ্দেছে হইয়াছিল, এখনও তথায় উহা বর্তমান আছে। ইহাতে বুঝা গেল হজরত ইছা আলাইহিস সালাম এর গোর সম্বন্ধে চারি প্রকার মত। (অসমাপ্ত)