কাদিয়ানী রদ!

সংখ্যা: ১২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা

(৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)

আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

(ধারাবাহিক)

“আমি খোদার নিকট দোয়া করিতেছি যে, তিনি নিজে আমার মধ্যে এবং মোহাম্মদ হোছাএনের মধ্যে মীমাংসা করিয়া দেন। আমি যে দোয়া করিয়াছিলাম-উহা এই-হে আমার প্রতিপালক জোল-জালাল, যদি আমি তোমার দৃষ্টিতে ঐরুপ হেয়, মিথ্যাবাদী ও জালছাজ (মিথ্যা অপবাদকারী) হই যেরুপ মোহাম্মদ হোছাএন বাটলবি নিজের ‘এশায়াতুছ্ ছুন্নাহ’ কেতাবে রাবম্বার আমাকে মিথ্যাবাদী, দাজ্জাল ও জালছাজ শব্দে স্মরণ করিয়াছেন, আর  যেরুপ তিনি, মোহাম্মদ  বখশ জা’ফর জটলি ও আবুল হাছান তিব্বতি ইংরাজি ১৮৯৭ সালের ১০ই নবেম্বর তারিখের মুদ্রিত বিজ্ঞাপনে আমাকে  হেয় লাঞ্ছিত  করিতে  কোন অংশ ত্যাগ করেন নাই, তবে ইংরাজি ১৯৯৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর হইতে ইংরাজি ১৯০০ সালের ১৫ জানুয়ারী  পর্য্যন্ত এই ১৫ মাসের মধ্যে আমাকে লাঞ্ছনার প্রহারে প্রহারিত কর এবং ইহাদের  সম্মান  ও গৌরব প্রকাশ কর। আর যদি তোমার দরবারে আমার কিছু সম্মান থাকে, তবে আমি বিনীত ভাবে দোয়া করিতেছি যে, এই ১৩ মাসের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ হোছাএন, জা’ফর জটলি ও উল্লিখিত তিব্বতিকে দুনইয়াতে  লাঞ্ছনার  প্রহারে  লাঞ্ছিত কর এবং وضربت عليهم الذاة  এই আয়াতের লক্ষ্যস্থল কর, আমিন, আমিন।  তৎপরে তিনি লিখিয়াছেন, এই দোয়া কবুল হওয়ার এইরুপ এলহাম হইয়াছিল, আমি অত্যাচারীকে হেয় ও লাঞ্চিত করিব, তাহারা নিজেদের হস্ত কাটিবে, লোকের প্রহার অপেক্ষা আল্লাহ তায়ালার প্রহার সমধিক কঠিন।” খোদার মর্জ্জিতে ১৩ মাসের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ হোছাএন জা’ফর  জাটালি ও  আবুল হাছান তিব্বতির কেশাগ্র কম্পিত হইল না, তাঁহারা  সুখ স্বচ্ছেন্দে থাকিলেন, মির্জ্জা সাহেবের দোয়া মরদুদ হইল, তাহার এলহাম ও ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হইয়া গেল, এক্ষণে তাঁহার নিজের দাবি অনুসারে তিনি মিথ্যাবাদী, দাজ্জাল, লাঞ্চিত ও জালছাজ হইবেন না কেন?  (৬) মির্জ্জা ছাহেব নিজের ভক্তদের স্থির প্রতিজ্ঞা থাকার আশ্চর্য্যজনক কৌশল অবলম্বন করিতেন, এখনও ৫ নম্বরের ১৩ মাসের ভবিতষ্যদ্বাণীর মিয়াদ উত্তীর্ণ হইয়াছিল না, উহার আড়াই মাস বাকি থাকিতে দ্বিতীয় এক ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করিলেন, যেন ভক্তগণের মন প্রথমোক্ত ভ্রান্তিমূলক ভবিষ্যদ্বাণীর ধারণা ত্যাগ করিয়া নূতন ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে আকৃষ্ট হইয়া পড়ে।  (অসমাপ্ত)

কাদিয়ানী রদ!

ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মোতাবেক খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির। যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। যেমন কাদিয়ানী-বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবেক) যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই  ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর  তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড )

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই  ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর  তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড )

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই  ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর  তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ) কাদিয়ানি রদ!