(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
(৪) মির্জ্জা ছাহেব ‘এস্তেহারে-এনয়ামি চার হাজার’এর ১৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;-
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
“আমি শেষে দোয়া করি, হে সর্ব্বশক্তিমান সর্ব্বজ্ঞ খোদা, আথামের সাংঘাতিক শাস্তিতে ধৃত করা এবং আহমদ বেগের বড় কন্যার সহিত পরিশেষে এই অক্ষমের (মির্জ্জা ছাহেবের) নেকাহ হওয়া, যদি এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি তোমার পক্ষে হইয়া থাকে, তবে এরূপ ভাবে প্রকাশ কর যাহা লোকদের পক্ষে প্রমাণ হয় এবং অন্ধ-হৃদয় হিংসুকদিগের মুখ বন্ধ হইয়া যায়। “হে খোদাওন্দ, যদি এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি তোমার পক্ষ হইতে না হয়, তবে আমাকে বিফল মনোরথ ও লাঞ্চিত অবস্থায় ধ্বংস কর। যদি আমি তোমার দৃষ্টিতে মরদুদ, লা’নতি ও দাজ্জাল হই, যেরূপ বিরুদ্বাদিগণ ধারণা করিয়া লইয়াছেন। আর তোমার উক্ত অনুগ্রহ আমার সহিত না থাকে, যেরূপ মহা নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং এই উম্মতের অলিগণের সহিত ছিল, তবে আমাকে ধ্বংস কর এবং লাঞ্ছনার সহিত আমাকে মারিয়া ফেল, চিরতরে লা’নতের লক্ষ্যস্থল কর, সমস্ত শত্রুকে আনন্দিত কর এবং তাহাদের দোয়া কবুল কর।” (অসমাপ্ত)