কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
(৭) তিনি হকিকাতোল-অহির ৭০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছে-
قل انى امرت وانا اول المؤمنين.
“তুমি বল, নিশ্চয়ই আমি আদেশ প্রাপ্ত হইয়াছি এবং আমি প্রথম ইমানদার।”
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে আদেশ প্রাপ্ত হইলে, তিনি শরিয়ত প্রবর্ত্তক নবী হইবেন। আবরাইল ৪ নম্বর ৭ পৃষ্ঠায় তিনি শরিয়তধারি নবী হওয়ার দাবি করিয়াছেন। ইহা একেবারে বাতীল কথা। তিনি এই উম্মতের প্রথম ইমানদার হইলেন কিরূপে? তাঁহার পূর্বে ছাহাবায়ে কিরামগণের জামানা হইতে এ পর্যন্ত কি সকলেই বেঈমান ছিলেন? ইহাতে বুঝা যায় যে, উহা শয়তানি এলহাম।
(৮) তিনি হকিকাতোল-অহির ৭২ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছে-
جعلك المسيح بن مريم.
“খোদা তায়ালা তোমাকে মছিহ বিন মরইয়াম (আলাইহিস সালাম) স্থির করিয়াছেন।”
উহার হাশিয়াতে আছে, বারাহিনে- আহমদীয়াতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ আমাকে মরইয়াম বানাইয়াছিলেন, পরে আল্লাহ তায়ালা আমার মধ্যে আত্মা-ফুৎকার করিলেন, আমার প্রসব বেদনা হইল, পরে ঈসা (আলাইহিস সালাম) যমিনে পয়দা হইল।
পাঠক, একটা মনুষ্য মাতা (স্ত্রীলোক) হইল, আবার পুত্র সন্তান হইল, ইহা কি সত্য কথা হইতে পারে? ইহাকে যে ব্যক্তি সত্য এলহাম বলে, তাহার মস্তিষ্কের বিকৃতি হওয়া অনিবার্য্য, এইরূপ শয়তানি এলহাম কি লেখার যোগ্য?
(৯) হকিকাতোল-অহি, ৭২ পৃষ্ঠা-
انى مهين من اراد اهانتك.
“নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি তোমার অবমাননা করিবে, আমি তাহার অবমাননা করিব।” মিস্টার আথাম, মোহম্মদী বেগমের স্বামী, ডাক্তার আব্দুল হাকিম, মোহম্মদ বখ্শ জা’ফর জটলি, মোহম্মদ হোছেন বাটালাবি, আবুল হোছেন তিব্বতি ও হযরত মাওলানা ছানাউল্লাহ পানিপতি (রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উক্ত, মির্জা ছাহেবকে বহু অবমাননা সূচক কথা বলিয়াছিলেন, কিন্তু খোদা তায়ালা তাঁহাদের অবমাননা করেন নাই, তাঁহারা সম্মানের সহিত কালযাপন করিয়া গিয়াছেন বা করিতেছেন, ইহাতে উক্ত এলহামের অসারতা প্রকাশ হইল, কাজেই ইহা শয়তানি এলহাম নহে ত কি?
(১০) আরও উক্ত পৃষ্ঠা-
اريك زلزلة الساعة.
“আমি তোমাকে কেয়ামতের ভূমিকম্প দেখাইব।”
মির্জা ছাহেব মরিয়া গেলেন, কিন্তু কেয়ামতের ভূমিকম্প দেখিতে পাইলেননা, ইহা শয়তানি এলহাম নহে ত কি?
(১১) উক্ত কেতাব, ৮০ পৃষ্ঠা-
قل جاء كم نور من الله.
“তুমি বল, তোমাদের নিকট আল্লাহ তায়ালা হইতে নুর আসিয়াছে।” (অসমাপ্ত)