জলসা ঘরে বসে, আল বাইয়্যিনাত বিরোধিতায় নিজেকে আবূ জেহেল, আবূ লাহাবের অনুসারী প্রমাণ করে সৎলোকের শাসনের প্রচারণার ছদ্মাবরণে তার পাহাড় পরিমাণ অসততা এখন সর্বজনবিদিত
আকলমদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। সে ইশারাকে ইঙ্গিত করেই এ লিখার সূচনা। একজন আদববান লোককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘আপনি এত আদান হলেন কি করে, শিখলেন কি করে? তিনি বললেন, ‘বেয়াদবের কাছ থেকে’। প্রশ্নকারী তাজ্জব বনে গেলেন। ফের জিজ্ঞাসা, ‘সেটা কেমন?
তিনি জবাব দিলেন যে, ‘বেয়াদব যেটা করে আমি সেটা করি না। বেয়াদব যেটা বলে সেটা আমি শুনি না । ব্যাপারটা যেন হয়েছে তেমনই ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুল আলী-এর বিরুদ্ধে এনটিভি নামক শয়তানের বাক্সে বসে- আগে-পরে, আশে-পাশে, নায়িকা-গায়িকা, নর্তকী-চঙ্গী দ্বারা আবর্তিত হয়ে কুখ্যাত রাজাকার, বাংলার ইহুদী খ্যাত সাঈদী নিয়মিত বিষোদগার, অপবাদ, অপপ্রচার, মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা তথা মিথ্যার পাহাড় রচনা করতে থাকে।
কিন্তু সর্বসাধারণের মাঝে জরিপ চালিয়ে জানা যায় যে, সাধারণের কেউ তার কথায় প্রভাবিত হয় না, বিশ্বাস করে না। বরং ফল হয় উল্টো।
তাদের অনুভূতিটা তখন এমন হয় যে, এমন কুলাঙ্গার, কুখ্যাত রাজাকার ও ধর্মব্যবসায়ী জন্তুটা যাঁর বিরুদ্ধে বলছে প্রথমত: তিনি তার কাতারের নন।
আর দ্বিতীয়ত: নিশ্চয়ই তাঁর প্রজ্ঞা ও সৎ সহসের দ্বারা মানুষরূপী এই দ্বি-পদী জীবের হাকীকৃত ফাঁস হয়েছে। তার ধর্মব্যবসার হাকিকত উন্মোচিত
হয়েছে।
সে কারণেই সে দ্বি-পদী হওয়া সত্ত্বেও পাগলা চারপায়া জন্তুর চেয়েও বেশী ঘেউ ঘেউ করছে। রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে।
নিকৃষ্ট এ ধর্মব্যবসায়ী ক্ষমতার মোহে এখন হিন্দুদের মন্দিরে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছে। আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ভূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা না বলে সে রাম ও কৃষ্ণকে শ্রদ্ধা করে এ কথা বলে বেড়াচ্ছে।
মাসিক আল বাইয়্যিনাতে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তার এ কুফরী ধরিয়ে দেবার পর সে আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে আরো উন্মাদ হয়ে
উঠেছে।
কিন্তু আল বাইয়্যিনাতে যে সভ্য কথাই লেখা হয়। আর কুখ্যাত এ রাজাকার এবং নিকৃষ্ট এ ধর্মব্যবসায়ীর নানা অপকীর্তি যে হর-হামেশাই শোনা যায়। এই সেদিনও দৈনিক সমকালে (৪ নভেম্বর-০৬) তার সম্পর্কে ছাপা হল:
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী। গত পাঁচ বছর তার তত্ত্বাবধানে এ আসনের পিরোজপুর, নাজিরপুর ও জিয়ানগরে সব কিছুর জামায়াতিকরণ হয়েছে। কাবিখা, কাবিটা, টিআর-সহ সব উন্নয়ন প্রকল্পে জামায়াতের লাগাম পরানো হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের সব নিয়োগে দলীয় লোকদের অগ্রাধিকার, সাঈদী তার পরিবার এবং জামায়াত নেতাদের ভাগ্য যেন আলাদিনের চেরাগের পরশে রাতারাতি বদলে গেছে। সবই হয়েছে সাংসদ সাঈদীর অঙ্গুলি হেলনে। জামায়াত নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বরাদ্দ থেকে ব্যাপক অবৈধ সুবিধা দিয়েছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে পিরোজপুর-নাজিরপুর ও জিয়ানগর উপজেলায় সাঈদী ও জামায়া নেতারা প্রাশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাদের ইচ্ছামতো উন্নয়ন কাজসহ বিভিন্ন কর্মকার পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিজেদের পছন্দমতো লোকদের প্রকল্প চেয়ারম্যান করে লুটপাট করা হয়েছে। বরাদ্দ, ভাগ-বাটোয়ারা এবং প্রকল্প গ্রহণ সাঈদীর নির্দেশেই হতো। জোটের অন্য কোনো শরীক দলের নেতাদের গণ্য করা হয়নি।
তৎকালীন সাংসদ সাঈদীর নির্দেশে এবং জেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা শরিফুল ইসলামের পরামর্শে এসব টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত পাঁচ বছরে পিরোজপুর-১ আসনে ৪৯৭টি কাবিখা ও কাবিটা প্ৰকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ২০৬টি প্রকল্পে ২ কোটি ২১ লাখ ৬০০, নাজিরপুর উপজেলায় ১৭৩ প্রকল্পে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৫ এবং জিয়ানগর উপজেলায় ১১৮টি প্রকল্পের আওতায় ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে: কিন্তু বাস্তব কাজ হয়েছে নামমাত্র।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় গত ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরের বিশেষ টিআর বরাদ্দের ১০০ মেট্রিক টন চালের বিপরীতে গ্রহণ করা প্রকল্পের কোন কাজই করা হয়নি। সাংসদ সাঈদীর বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এলিজা জামানের এলাকায় ৭৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এ চালের বিপরীতে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার তদন্ত করা হলেও রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত পাঁচ বছরে জিয়ানগর উপজেলায় সাঈদী প্রতিষ্ঠিত এসডি মদিনাতুল দাখিল মাদ্রাসায় স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এসব প্রকল্পের চেয়ারম্যান করা হয় সাঈদীর ভাইঝি-জামাই মাওলানা অহিদুল ইসলামকে। উপজেলার টগরা কামিল মাদ্রাসায় কাবিখা, কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ টাকার কাজ করেন উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি। বালিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ মেট্রিক টন চালের কাজ করেন ইউনিয়ন জামায়াত সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রকল্পের কাজও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি।
সাবেক সাংসদ দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী পিরোজপুরে নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন সাঈদী ফাউন্ডেশন। পিরোজপুরে প্রতি বছর উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দকৃত টাকার একটি বড় অংশ এ ফাউন্ডেশনের নামে ব্যয় করেন তিনি।
২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি’ প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের নাম ব্যবহার করে মাত্র তিনটি ইউনিয়ন
নয়ে গঠন করেন জিয়ানগর উপজেলা। এলাকাবাসীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি উপজেলা গঠন করে কৃতিত্ব নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ নতুন উপজেলা গঠনের মাধ্যমে তার দলীয় ও আত্মীয়স্বজনকে পুনর্বাসন করেন।
উপজেলা গঠনের পর সেখানে প্রায় সব উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব পান জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। সাঈদী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি টাকা ব্যয়ে তার বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন বিশাল রাস্তা। এছাড়া দলের লোকজনের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তাঘাট তৈরির অভিযোগও রয়েছে। সাঈদী তার বাড়ির সামনে বলেশ্বর নদীর পাড়ে একটি অখ্যাত হাটের উন্নয়নে ব্যয় করেছেন পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। সাঈদীর ভাই মোস্তফা সাঈদী সাউথখালী চরে রামরাজত্ব কায়েম করেন। চরে জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন কৃষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইন্দুরকানী গ্রামের মৃত ময়নুদ্দীন শেখের পুত্র মোবারক আলীর সাউথখালীর চরের ৩৭ শতাংশ জমি জোর করে দখল করেন। পরে তা ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে বিক্রি করেন। সাউথখালী গ্রামের আনসার আলী জমাদ্দারের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন। চর এলাকায় মোস্তফা সাঈদীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে লাঠিয়াল জোতদার বাহিনী। ভাই এমপি হওয়ার সুবাদে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করে নানা ফায়দা লুটেছেন মোস্তফা সাঈদী ।
সহ-মৌলভী থেকে কোটিপতিঃ জোট সরকারের শরিক দল হওয়ায় এবং দলীয় এমপি থাকায় পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা শরিফুল ইসলাম মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। জিয়ানগর উপজেলার বাসিন্দা এ শরিফ মাওলানা পিরোজপুরের কুমারখালী এলাকায় অবস্থিত পিরোজপুর নেহারিয়া মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ১৫ বছর ধরে
একই মাদ্রাসায় নামমাত্র চাকরি করে আসছেন। সাংসদ সাঈদীর কল্যাণে তিনি গত কয়েক বছরের মধ্যে জেলা শহরে বাড়ি করেছেন। তৈরি করেছেন নিউ সেবা নার্সিং হোম নামে ক্লিনিক ব্যবসা। নামে-বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি ব্যবসা। তার ক্ষমতার দাপটে তটস্থ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে মাওলানা শরিফ অন্যদের নামে ইস্যুকৃত লাইসেন্সের মাধ্যমে এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, থানা পরিষদ, গণপূর্ত বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছেন। এছাড়া কমিশনের ভিত্তিতে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন স্বছন্দমতো ঠিকাদারদের।
জামায়াতে ইসলামীর নামে জেলা শহরে জায়গা কিনে ভবন নির্মাণ ও মাইক্রোবাস কিনেছেন তিনি। অপর একটি সূত্র জানায়, গত পাঁচ বছরে মাওলানা শরিফ কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিভিন্নভাবে। এ নিয়ে খোদ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।
গত ৫ বছরে সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনে ৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু তার এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সাধারণ জনগণ ভূয়া বলে অভিহিত করেন। জিয়ানগর এলাকার গ্রামবাসী জয়নাল আবেদীন জানান, পাঁচ বছরে এলাকায় জামায়াত নেতাদের বাড়িসংলগ্ন কয়েকটি রাস্তা ছাড়া আর কোনো উন্নয়ন হয়নি। বরং উপজেলা হওয়ার পর এলাকার লোকজন নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরদার ফারুক আহমেদ বলেন, সাঈদী ধর্মের নামে ব্যবসা করছেন। উন্নয়নের নামে গত পাঁচ বছরে পিরোজপুরে ব্যাপক সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে।” (দৈনিক সমকাল, B নভেম্বর ২০০৬ ঈসায়ী)
উল্লেখ্য, কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, মানুষ ও জীনদের মধ্যে যারা দুষ্ট প্রকৃতির তাদেরকেই আমি নবী-রসূল ও আউলিয়ায়ে কিরামের শত্রু বানিয়েছি।
তাই উপরোক্ত তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে বলতে হয় যে, বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে কুখ্যাত রাজাকার ও নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী যে বলবে এটাই কুরআন শরীফের সত্যতা।
তবে সাঈদী ওরফে ইহুদী এক্ষেত্রে আবু জেহেল, আবু লাহাবকে নবী মেনে কাজ করে থাকে। আবূ জেহেল, আবু লাহাব যেমন নায়িকা, গায়িকা ও নর্তকী দ্বারা জলসা করে আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামে অপবাদ রটনা করত ঠিক সাঈদী ওরফে ইহুদীও তেমনি নায়িকা-গায়িকার জলসাঘর টিভি চ্যানেলে বসে আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে বিষোদগার লেপন করে। সত্যিই আবূ জেহেল, আবু লাহাব গং-এর সাথে তার কি অদ্ভূত মিল। (নাউযুবিল্লাহ)
“আল্লাহর আইন চাই, সৎলোকের শাসন চাই” এ শ্লোগানের অন্তরালে সাঈদী ওরফে ইহুদী নিজেই যে কত অসৎ, দুর্নীতিবাজ, স্বজন তোষণকারী তথা ধান্দাবাজ তথা মুনাফিক, তা প্রকাশ পেয়েছে। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, মুনাফিকরা জাহান্নামের গহীন গহ্বরে আযাব ভোগ করবে। কারণ তাদের দ্বারাই মুসলমানের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২