ভাষান্তরঃ- আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ
[দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের কোমল পানীয়সমূহতে (Soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।] (ধারাবাহিক) কোমল পানীয়সমূহতে এ্যালকোহল আলাদা কোন উপাদান হিসাবে থাকে না। বরং উপাদানের উপাদান হিসাবে থাকে, তাই প্রস্তুত উপকরণে এ্যালকোহলের কথা উল্লেখ থাকে না। অর্থাৎ এ্যালকোহল মূলতঃ ফ্লেভারিং এজেন্টের একটি অংশ। আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে চিঠি আদান-প্রদান করেছিলাম তা প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হলো- ‘সংযুক্তি এ ১’ দক্ষিণ আফ্রিকার মজলিসুল উলামা পি.ও বক্স ৩৩৯৩, পোর্ট এলিজ্যাবেথ-৬৫৫৬ ১৮ই এপ্রিল ১৯৮৫ এম, আর, জি ইকহর্ন দি এস. এ এসোসিয়েশন অব ই-াস্ট্রিয়াল ফ্লেভার এ- ফ্রেগ্রেন্স ম্যানুফ্যাকচারার, জোহেন্সবার্গ-২০০০ জনাব, “আপনার প্রেরিত, ৯ই এপ্রিল, ১৯৮৫ তারিখের চিঠি এবং প্রদত্ত তথ্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণী আমাদের হাতে পৌঁছেছে। আপনি লিখেছেন যে, এ্যালকোহলযুক্ত, স্বাদগন্ধ উৎপাদনকারী পদার্থে সর্বোচ্চ শতকরা বিশভাগ এ্যালকোহল বিদ্যমান থাকে। ” বিষয়টি আরো পরিস্কারভাবে অনুধাবনের জন্য যদি আপনি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দেন তবে আমরা উপকৃত হবোঃ ১. এ কথার অর্থ কি এই যে, যে কোন পরিমাণ ঘনিভূত দ্রবণে অথবা নির্যাসে ২০% তরল এ্যালকোহল এবং বাকি ৮০% অপরিহার্য তেল (যোগ পানি বা মিশ্রণযোগ্য অন্য কোন তরল)? উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, যদি বলা হয় এক লিটার কমলার নির্যাসে এ্যালকোহলের পরিমাণ ১৮%। এর অর্থ হবে এক লিটারে ১৮% এ্যালকোহল এবং উদ্বৃত্ত ৮২% অর্থাৎ ৮২০ সি.সি প্রয়োজনীয় তেল এবং সম্ভাব্য অন্যকিছু উপাদানের মিশ্রণ। ২. কেউ যদি এ ধরণের ঘনিভূত দ্রবণ বা এসেন্স সরাসরি পান করে ফেলে, তার প্রতিক্রিয়া কি হবে? এটি কি বিষক্রিয়া বা এ ধরণের বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়ার কারণ হবে? ধন্যবাদান্তে জবাবের প্রত্যাশায়, মজলিসুল উলামার পক্ষে এ.এস, দেসাই ‘সংযুক্তি- এ ২’ দি সাউথ আফ্রিকান এসোসিয়েশন অব ই-াষ্ট্রিয়াল ফ্লেভার এ- ফ্র্যাগ্রেন্স ম্যানুফ্যাকচারার (শিল্পে ব্যবহারোপযোগী স্বাদগন্ধ প্রস্তুতকারক দক্ষিন আফ্রিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্থা) ফোন নং ২৯-৭৫৫২, টেল, এড-ট্রান্সে-, পি.ও বক্স- ৪৫এ১, জোহেন্সবার্গ, ১৭ই মে, ১৯৮৫ দক্ষিন আফ্রিকার মজলিসুল উলামা পি.ও বক্স ৩৩৯৩, পোর্ট এলিজাবেথ- ৬০০০ দৃষ্টি আকর্ষণঃ এ.এস, দেসাই। জনাব, এপ্রিল ১৮, ১৯৮৫ তারিখে প্রেরীত আপনার চিঠি সূত্রে আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আপনি প্রথম প্রশ্নে যে উদাহরণ ও হিসাব দেখিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক। এ ধরণের পণ্য সরাসরি খাওয়া বা পানের জন্য অনুপযুক্ত এবং অরুচীকর। যে কারণে এসেন্সের গায়ে লেখা থাকে ‘শুধুমাত্র উৎপাদন কাজে ব্যবহারোপযোগী।’ আপনার বিশ্বস্ত জি.ইকহর্ণ
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১