কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

সংখ্যা: ১৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ- আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ

 [দক্ষিণ আফ্রিকার মজলিসুল উলামা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের কিছু  কোমল পানীয়সমূহতে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না।  মজলিসুল উলামা-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।] (ধারাবাহিক) চরম পরিতাপের বিষয় যে, কিছু সংখ্যক আধুনিকতাবাদী কথিত প্রগতিশীল ব্যক্তি এবং উলামায়ে ‘ছূ’ বা দুনিয়াদার, নামধারী আলিমরা বলে থাকে যে, কোকাকোলা বা এ জাতীয় অন্যান্য কোমল পানীয়তে এ্যালকোহল বিদ্যমান থাকা প্রসঙ্গেঃ আমাদের বক্তব্য এবং প্রদর্শিত যুক্তি, তর্কসমূহ সাক্ষসাবুদ বিহীন।  বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোকাকোলাকে জায়িয প্রমাণ করবার জন্য তাদের প্রদত্ত এ যুক্তি সবচাইতে দুর্বল এবং নিতান্তই অমূলক ও ভিত্তিহীন। কারণ, অনুসন্ধান এবং তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোমল পানীয়সমূহতে পরিমাণে অল্প হলেও এ্যালকোহল ধারণ করে- যার সাক্ষপ্রমাণসমূহ আমরা আমাদের প্রকাশিত এ প্রামাণ্য প্রতিবেদনে সংযুক্ত করে দিয়েছি।  অতএব, যারা জোড় গলায় দাবি করে যে, ‘কোকাকোলা এবং অন্যান্য কোমল পানীয় এ্যালকোহল ধারণ করে না’ তাদের এ দৃঢ় ঘোষণা মূলতঃ ভিত্তিহীন দাবী। যার স্বপক্ষে তাদের আদৌ কোন সাক্ষপ্রমাণ নেই। আমাদের অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে কোমল পানীয়তে এ্যালকোহল সম্বন্ধে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আমাদের স্থানীয় কোকাকোলা প্রতিষ্ঠান ভবনে যাই এবং তাদের কারখানা পরিদর্শন করতে চাই। তারা তাদের উৎপাদন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম দেখায় এবং বোতলজাতকরণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে শোনায়। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জোরালোভাবে ব্যক্ত করে যে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোন এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় না। আমরা তাদেরকে বলি যে, উৎপাদন বা বোতলজাতকরণ প্রক্রিয়ায় এ্যালকোহল তারা ব্যবহার করে না সত্যি, কিন্তু যে গাঢ়, ঘন দ্রবণ বা নির্যাস- যা কিনা এ ধরনের পানীয়ের অপরিহার্য এবং মৌলিক উপাদান সেটাই এ্যালকোহলযুক্ত। যে কর্মকর্তা আমাদের পরিদর্শন পরিচালনা করছিলেন তিনি আমাদের কথায় আশ্চর্য হন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন। আমরা তাকে প্রারম্ভিক ঘন দ্রবণটি দেখাতে বলি। আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মূলীভূত সে ঘনদ্রবণ আমাদের দেখানো হয়। আমরা আবার উল্লেখ করি যে, এ সারগত উপাদানটি পরিমাণে প্রায় ২০% (শতকরা বিশভাগ) এ্যালকোহল ধারণ করে। কারখানা কর্মকর্তা দাবী করে যে, এ ব্যাপারে সে কিছু জানে না। তবে বলে যে, ব্যাপারটি তারা অনুসন্ধান করে দেখবে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন