কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মচিত সত্য

সংখ্যা: ১৩৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ভাষান্তরঃ- আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ

 “বুখারী শরীফ” ও “মুসলিম শরীফ”-এ হযরত নু’মান ইবনে বশির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট এবং এ দু’টোর মধ্যবর্তী কিছু সন্দেহজনক বিষয় রয়েছে যা স্বাভাবিকভাবে মানুষ চিন্তা করে না। যে এ সকল সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকলো সে তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে নিরাপদ রাখলো। আর যে সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হলো সে মূলতঃ হারামের মধ্যে পতিত হলো। ঠিক যেমনি একজন মেষপালক যদি কোন সংরক্ষিত এলাকার চারপাশে তার গবাদিপশু চরায় তবে শীঘ্রই পশুপাল সে তৃণক্ষেত্রে চরে খাবে।” আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, “ঠুনকো অজুহাতে আর অসার যুক্তির মাধ্যমে আল্লাহ পাক-এর নির্ধারিত হারামকে হালাল করার জন্য ইহুদীরা যা করেছিলো তোমরা সে রকম করোনা।”

প্রসঙ্গঃ কোমলপানীয় দক্ষিণ আফ্রিকার মজলিসুল উলামা সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করেছেন যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের অন্যান্য সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) যেমন, ফান্টা, পেপসি, আরসি, ভার্জিন, ইউরো ইত্যাদিতে খুব সামান্য  পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (অষপড়যড়ষ) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল মিনারেল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করেনা এবং করতেও পারবে না।  [মজলির্সু উলামা-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছেন। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ, আমাদের দেশের মুসলমানেরা চায় হক্ব মতে-পথে, হালালভাবে জীবন-যাপন করতে এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকতে। অপরপক্ষে ইহুদীগোষ্ঠী এবং ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুরা চায়, মুসলমানদের ঈমান-আমলের ক্ষতি সাধন করে তাদের পরাজিত করতে। এজন্য যুগে যুগে ইহুদীগোষ্ঠী, ঘৃণ্য ও সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছে এবং করছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং তাক্বওয়া ও পরহিযগারী নষ্ট হওয়া। যা মুসলমানদের সকল দুর্দশার মূল কারণ। তাই মুসলমানদেরকে আবার তাক্বওয়া ও পরহিযগারী অর্জনের মাধ্যমে এ সঙ্কট থেকে উত্তরোনের পথ খুঁজে নিতে হবে। আল্লাহ পাকই তাওফীকদাতা।] দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, কিছু সংখ্যক আলিম আমাদের এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে তারা শুধুমাত্র আমাদের তদন্ত ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকে অস্বীকারই করেনা বরং শ্লেষাত্মকভাবে, অবজ্ঞা ও উপহাস করে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সকল পানীয় ভোগ করার সমর্থনে মুসলিম জনগণকে উৎসাহিত করে। অথচ প্রথমতঃ তাদের দায়িত্ব ছিলো তাদের বক্তব্যের সমর্থনে শরয়ী প্রমাণ পেশ করা। যদি এমন কোন প্রমাণ তাদের কাছে আদৌ থেকে থাকে, এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের এহেন অবহেলা ও দায়িত্বহীন শিশুসূলভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তারা উলামায়ে হক্ব হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। একজন সত্যান্বেষী সত্যিকার আলিমের উচিত আল্লাহ পাক-এর রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এ উপদেশ সম্পর্কে সতর্ক হওয়া যে, একজন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো মুশতাবাহ বা সন্দেহজনক বিষয়াবলী পরিত্যাগ করা। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে কোন জিনিস মুশতাবাহ বা সন্দেহজনক পরিণত হয়না বরং এর জন্য শরয়ী উসূল বা দলীল প্রয়োজন। একদল আলিম বা শুধুমাত্র একজন আলিমও যদি শরয়ী দলীলের ভিত্তিতে কোন বিষয়ে ইখতিলাফ করে এবং হারাম হওয়ার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করে তবেই মুশতাবাহের সূচনা হয়। তখন একজন মু’মিনের কর্তব্য হলো, এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া এবং মুশতাবাহ বা সন্দেহজনক বিষয় পরিহার করে চলা। [প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘কিতাবুল ইস্তেকামত’-এ একটি উছূল বর্ণনা করেছেন যে, “ইখতিলাফ যদি ইবাদতের ব্যাপারে হয় তবে ইবাদত পরিত্যাগ করবে না। আর যদি খাদ্য ও পানীয়ের ব্যাপারে হয় তবে খাওয়া এবং পান করা ত্যাগ করবে।”] সুতরাং, ঐ সকল আলিম যারা কোক বা এ জাতীয় পানীয়কে সম্পূর্ণ হালাল বলে তাদেরও উচিত নয় জনগণকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা। (অসমাপ্ত)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন