কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৭

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ- ইবনে একরাম হোসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এসকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না।  “মজলিসুল উলামা”-এ দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ। (ধারাবাহিক)

কোক এর ফর্মুলা এবং সেখানে এলকোহলের পরিমাণঃ সাইট্রেট ক্যাফেইন-১ আউন্স, গ্যানিলা নির্ঝাস- ১ আউ, ফ্লেভার- ২.৫ আউন্স, কোকা- ৪ আউন্স, সাইট্রিক এসিড- ৩ আউন্স, লাইম জুস – ১ কোয়ার্টার, চিনি- ৩০ পউন্ড, পানি- ২.৫ গ্যালন, পর্যাপ্ত পরিমান কেরামেল। ক্যাফেইন, এসিড এবং লাইম জুস ১ কোয়ার্টার গরম পানিতে মেশানো হয় এবং ঠান্ডা হলে সোখানে ভ্যানিলা এবং অন্যান্য ফ্লেভার যোগ করা হয়। ফ্লেভারসমূহঃ অরেঞ্জ অয়েল- ৮০, লেমন অয়েল – ১২০, নাটমাগ অয়েল- ৪০, সিনামন অয়েল- ৪০, কোরলেন্ডার অয়েল- ২০, নিরলি অয়েল- ৪০, এলকোহল- ১ কোয়ার্টার উপরে কোকাকোলার গোপন ফর্মূলা প্রকাশ করা হল যে জনপ্রিয় পানীয় মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর ১৮৫টি দেশে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ১০০ বছর ধরে গোপন করে রাখা এই ফর্মূলা আবিষ্কৃত হয় লেখক মার্ক পেন্ডার গ্রেষ্টের মাধ্যমে তিনি কোকাকোলা কোম্পানীর আর্কাইভ থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করেন যেখানে একটি হলুদ কাগজে ’X’ চিহ্নিত করা ছিল। তার এই পর্যবেক্ষন প্রকাশিত হয় “God, Country and coca-cola” নামক গ্রন্থে। এ ফর্মুলায় দেখা যাচ্ছে কোকাকোলায় রয়েছে এলকোহল যা মুসলমানদের জন্য হারাম। একশ বছর ধরে জনসাধারণের সাথে এটি এক রকমের প্রতারণা। এ ফর্মূলা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এটা স্পষ্ট ধরা পড়লো যে, গোপনীয় ছদ্মবেশে কোকাকোলা কোম্পানী এ যাবৎ মুসলমানদের এলকোহল সেবন করিয়েছে এবং এর মাধ্যমে কোকাকোলা কোম্পানী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফে স্পষ্ট নিষেধ করা আছে সন্দেহজনক খাদ্যদ্রব্য থেকে বিরত থাকার জন্য। সেই খাদ্যদ্রব্য হারাম হবে যদি তার কোন একটি উপাদানও সন্দেহজনক হয়। ইন্দোনেশিয়ার উলামা কাউন্সিল কোকাকোলার বিষয়টি জানতে পেরে প্রচারণা চালিয়েছেন “এক ফোটা এলকোহল সেবনও মুসলমানদের নিষিদ্ধ।” মুসলমানদের জানার কোন সুযোগ ছিল না যে তারা এতদিন যাবৎ কোক পান করার সময় এলকোহল পান করছিলো যেহেতু কোক এর ফর্মূলা এবং ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্ধতি আজ অবধি গোপন রাখা হয়েছে। প্রায় একশতক ধরে কোকাকোলা প্রস্তুতকারী কোম্পানী প্রায় দুজন জজের রায় পরেও তারা মূল সত্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। ১৯৭৭ সালে যখন ইন্ডিয়ান সরকার ফর্মূলা জানতে চায় কোকাকোলা কোম্পানী তাদের ফর্মূলা প্রকাশ না করে তাদের ব্যবসা উঠিয়ে নিয়ে যায়। কোকাকোলা কোম্পানী অস্বীকার করেছিল এই ফর্মূলার সত্যতার ব্যাপারে। কিন্তু বৃটেনের “সানডে টাইমস” যখন এ ফর্মূলার অনুসারে একটি কোলা পানীয় প্রস্তুত করেছিল তখন অনেক বিশেষজ্ঞকে তারা বোকা বানিয়েছিল। কেননা তারা বলেছিল এটা সত্যিকারের কোকাকোলা। ইতমধ্যে গবেষণায় দেখা গেছে, এলকোহল ছাড়াও অন্যকোন হারাম উপাদানের উপস্থিতি কোকাকোলায় থাকতে পারে। দি সানডে টাইমসের রেসিপি অনুযায়ী একটোনেলো (একটি কোমল পানীয়র নাম) তৈলাক্ত কেমিক্যাল বিশেষত ফ্লেভারিং এর জন্য গ্লিসারিং ব্যবহার করে। আজ অবধি কোকাকোলা কোম্পানী অস্বীকার করেনি যে তারা গ্লিসারিন ব্যবহার করে। মার্ক পেন্ডার গ্রেস্ট এর বইতেও উল্লেখ আছে কোক কোম্পানী গ্লিসারিন ব্যবহার করে। যদি গ্লিসারিনের উপস্থিতি থাকে এটাও মুসলমানদের জন্য হারাম হবে। সাবান এবং ফ্যাটি এসিডের প্রস্তুতের সময় তেল এবং ফ্যাটের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে গ্লিসারিন প্রস্তুত হয়। শুকোর অথবা অন্যান্য হালাল প্রাণী কিন্তু শরীয়া মুতাবিক যবেহ হয়নি তাদের থেকে সংগৃহীত ফ্যাট মুসলমানদের জন্য হারাম। কোকে গ্লিসারিন এবং এলকোহলের উপস্থিতি অত্যন্ত বিরক্তিকর তাহলে আরও কি ক্ষতিকর উপাদান কোক-এ থাকতে পারে?   (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন