ভাষান্তরঃ- আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ
দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।
(ধারাবাহিক)
বিশ্লেষনে আরো তিনটি উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়।
যথা- এ্যালকোহল, গ্লিসারিন এবং ক্যাসিয়ার তেল। স্পষ্টতই গ্লিসারিনই হলো ক্যাণ্ডলার বর্ণিত প্রিসারভেটিভ বা সংরক্ষক দ্রব্য। এটি কোমল পানীয়সমূহে প্রথাগতভাবেই ব্যবহার করা হয়। মনে করা হয় যে এটি অপরিহার্য তেল সমূহের পরষ্পর পৃথক হয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
এ্যালকোহলকে সম্ভবত কোক সিরাপের অংশভূক্ত করা হয় শুধুমাত্র “গাছ-গাছড়ার নির্যাসের” দ্রাবক হিসাবে। ক্যাসিয়ার তেল খুব সম্ভব কোকের স্বাদ গন্ধ উৎপাদনকারী অপরিহার্য তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ক্যাসিয়া হচ্ছে দারুচিনির এক বিশেষ প্রকার। সত্যিকার সিংহলি দারুচিনি থেকে আলাদা করার জন্য মাঝে মাঝে একে চাইনিজ দারুচিনি বলা হয়। সাধারণত বাজারে যে সব দারুচিনি পাওয়া যায় সেগুলো সিংহলি দারুচিনি। কিন্তু শিল্পজাত দ্রব্যসমূহ যেগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত হয়। যেমন কফি কেক সেগুলোতে ক্যাসিয়ার ব্যবহৃত হয়।
ইসলামী বিধিবিধানের সার্বনীনতা
ইসলাম ব্যাকডেটেড, ইসলামী আহকাম সভ্যতা বিরোধী ইত্যাদি অপপ্রচারণা ইসলাম বিরোধী ইউরোপ-আমেরিকার থাকলেও আজকে সভ্যতা রক্ষার জন্যই তারা ইসলামের দ্বারগ্রস্থ। ইসলামের নিদর্শণ খৎনার বিরুদ্ধে এ যাবতকাল পর্যন্ত তারা প্রচারণা চালালেও এখন খৎনার মাঝেই তারা খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার উপায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম নির্বিশেষে
৮০% নবজাতকের খৎনা হচ্ছে
নিউইর্য়ক থেকে এনা জানিয়েছে, মরণব্যাধি এইডস প্রতিরোধের উপর এক যুগান্তকারী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার এইডস বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র। এতে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে যাচ্ছে যে, খৎনা করার ফলে এইডস রোগ সংক্রামণের আশঙ্কা ৬০% হ্রাস পায়। কেনিয়া ও উগান্ডা উপজাতীয়দের উপর পরীক্ষামূলক গবেষণায় এ ধরনের ফলাফল পাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে যাচ্ছে যে, এইডস রোধে খৎনা করা বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। আমেরিকায় ৮০% নবজাতকের খৎনা করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে ৪০টিরও বেশি পরীক্ষামূলক গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, খৎনাপ্রাপ্ত লোকদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রামণ খুবই কম।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল এজেন্সি ফর এইডস গবেষণা কেন্দ্র সময়ের ব্যবধানে পরীক্ষামূলক গবেষণাটি করে দক্ষিণ আফ্রিকার গুয়েতেং অঞ্চলে। ফ্রান্সের পিএলওএস মেডিসিন জার্নালে প্রথম এই সংবাদটি প্রকাশ পেলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জুলাই মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত এইডস কনফারেন্স এই রিপোর্টটি পেশ করলে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য লেনসেট’ খৎনা ও নীতিগত প্রশ্নে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে বলে নাকচ করে দেয়।
গবেষণা কেন্দ্রের মনিটরিং কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। কারণ গবেষণার ফলাফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছিল বড় কঠিন। গবেষণার কাজে লাগার জন্য ৩০০০ প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ খৎনা করা ও না করার জন্য স্বাক্ষর করে। খৎনা করা ও না করা সমসংখ্যক পুরুষদের মধ্যে যে ক্ষেত্রে ২০ জন খৎনাকারী এইচআইভিতে সংক্রমিত হয়, সেক্ষেত্রে খৎনা না করা ৪৯ জন আক্রান্ত হয়। আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক এইডস অর্গানাইজেশন এখন কেনিয়া ও উগান্ডার গবেষণার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। ঐ দুই দেশের ফলাফল বের হবে আগামী ২০০৭ সনে। তাতেও খৎনার অনুকূলে ফলাফল হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের পর ৩য় বিশ্বে বিপুল পরিমাণে খৎনা শুরু হবে। এদিকে আমেরিকায় এখনই ৮০% নবজাতকের খৎনা হচ্ছে।
যার দ্বারা মূলতঃ ইসলামী বিধিবিধানেরই অনিবার্যকা প্রমাণিত হচ্ছে।
-মুহম্মদ এন ইসলাম, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫