কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৯

সংখ্যা: ১৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভাষান্তরঃ- আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ

 দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” সন্দেহাতীতভাবে দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

 (ধারাবাহিক) কতিপয় কারণে গায়রু খমর এ্যালকোহল বৈধকারীদের প্রদর্শিত যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমতঃ একথা স্বীকার করে নেয়া হলো যে, কোমল পানীয় প্রস্তুতকরণে যে এ্যালকোহল ব্যবহৃত হয় (ইথানল) তা খমর নয়। কিন্তু মুলত বিগত ১৪শত বৎসর ধরে এক্ষেত্রে হানাফী মাযহাবের ফতওয়া হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মতের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ সকল এ্যালকোহল যদিও তা অ-খমর হয় সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজীস বা নাপাক। চৌদ্দশত বৎসর যাবৎ হানাফী মাযহাবের ফুকাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি সকল প্রকার এ্যালকোহল হারাম হওয়ার উপরই ফতওয়া প্রদান করে আসছেন। বর্তমানে এমন কোন জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যে হানাফী মাযহাবের এই মুফতা বিহী ফতওয়া পরিবর্তন করে অ-খমর এ্যালকোহল হালাল ফতওয়া দিতে হবে। মূলতঃ এ্যালকোহলের ক্ষেত্রে হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠিত এবং সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত এ ফতওয়া শুধুমাত্র কোমল পানীয়কে বৈধ করবার জন্য বাতিল করতে চাওয়ার সঙ্গত কোন কারণ নেই। তবে একথা গ্রহণযোগ্য যে ওষুধের ক্ষেত্রে এ ধরনের অনুমোদন অপরিহার্য হতেও পারে। ওষুধ এবং চিকিৎসার বাস্তব চাহিদার প্রেক্ষিতে আমাদের পূর্ববর্তী আকাবির উলামায়ে কিরাম যে শায়েখাইনের মতের উপর ভিত্তি করে মুবাহ হওয়ার ফতওয়া প্রদান করেছিলেন। সেটি বোধগম্য এবং গ্রহণযোগ্য। কিন্তু কোমল পানীয় এমন কোন জরুরী বিষয় নয় যে এখানে মাজুরের হুকুম দিয়ে ফওতয়া শিথিল যোগ্য করা যাবে।  দ্বিতীয়তঃ কোমল পানীয় প্রস্তুতের জন্য এ্যালকোহলযুক্ত নির্যাসকে হালাল ঘোষণা করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ফিৎনার দুয়ারই উম্মোচিত হবে। মূলতঃ অদূর ভবিষ্যতে মদ কে বৈধ করবার উপযোগী ক্ষেত্রে এর মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গেছে। যে সম্পর্কে হযরত রসুলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই ভবিষ্যদ্বানী করে গেছেন। তৃতীয়তঃ হানাফী মাযহাবের ফতওয়ায় ইমাম হযরত মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি যে উছুল বা মূলনীতির উপর ভিত্তি করে ফতওয়া দিয়েছেন তা হলো ভবিষ্যৎ ফিৎনার পথ বন্ধ করা। কোক প্রভৃতির মত অপ্রয়োজনীয় বিলাস পণ্যের ক্ষেত্রে এ মূলনীতি অবজ্ঞা করবার পরিণাম হবে, যে সকল পানীয় সাধারণত সকল উলামায়ে কিরাম হারাম সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোও একই অজুহাত অনুমোদনের আওতায় চলে আসবে এবং এভাবেই ফিৎনার রাস্তা উন্মুক্ত হবে। বারবিক্যান বিয়ার এবং অন্যান্য কথিত এ্যালকোহলমূক্ত হালাল বিয়ারেও সামান্য পরিমাণের ইথানল আছে। ‘পরিমাণে নগণ্য’ এ অজুহাতে কর্তৃপক্ষ একে বিজ্ঞাপনে ‘এ্যালকোহল মুক্ত’ বলে প্রচারের অনুমতি দিয়েছেন। সংযুক্তি ‘ডি’ দ্রষ্টব্য। আমাদের জানা মতে কোন আলিম ‘এ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার!’ হালাল বলেন না। এ সকল বিয়ারে যে পরিমান এ্যালকোহল থাকে কোমল পানীয় সমূহতে একই পরিমানে থাকে। বরং বারবিক্যান বিয়ারে অন্যান্য কোমল পানীয় অপেক্ষা কম এ্যালকোহল রয়েছে। যেমন, সংযুক্তি ‘ডি’তে দেখা যায় বারবিক্যান বিয়ারে এ্যালকোহল .০৩%। যেখানে সংযুক্তি ‘সি’ অনুসারে স্পারলিটার লেমনেডে .০৪%, রাসপ্ব্যারীতে .০৫% এ্যালকোহল রয়েছে। এভাবে, এসকল পানীয়তে, আলেমগণ কর্তৃক হারাম সাব্যস্তকৃত বিয়ারসমূহ থেকে অধিক পরিমাণ এ্যালকোহল রয়েছে। সুতরাং যে সকল আলেম কোক এবং এ ধরনের পানীয়সমূহকে হালাল বলে, বারবিক্যান বিয়ারকে হারাম বলার তাদের কোন যুক্তি নেই। অতএব কোমল পানীয়সমূহকে হালাল ঘোষণা করার মাধ্যমে ‘বারবিক্যান ও অন্যান্য বিয়ারসমূহ হালাল ঘোষণা করার দরজা এরমধ্যেই খুলে গেছে। (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন