কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৮

সংখ্যা: ১৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

দদক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এর দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

কোমল পানীয় পানের সপক্ষে এ যুক্তিও প্রদর্শন করা হয় যে, যেহেতু কোমল পানীয়সমূহ প্রস্তুত করতে গায়রু খমর বা অ-খমর এ্যালকোহল ব্যাবহৃত হয়ে থাকে, সেহেতু একে অবৈধ সাব্যস্ত করা উচিত নয়।  যেহেতু ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি একে তহীর বা পাক বলেছেন এবং বিষক্রিয়া করে এমন পরিমাণ পান না করলে হালাল থাকবে।

[প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইলমে ফিক্বাহ-এর পরিভাষায় মধু, খেজুরের রস, কিসমিসের রস এবং প্রক্রিয়াজাত আঙ্গুরের রস থেকে তৈরী শরাবকে সাধারণত খমির বলে। এছাড়া অন্যান্য বস্তু যেমন- গম, যব, জাওয়ার থেকে তৈরী শরাবকে গায়রু খমর বা অ-খমর বলা হয়েছে। শায়েখাঈনের একটি মত পাওয়া যায় যে- গম, যব, জাওয়ার থেকে তৈরী শরাব বল বৃদ্ধির জন্য পান করা যাবে। এছাড়া হারাম হবে। কিন্তু এটি ফতওয়া নয়, বরং ফতওয়া হলো- যা হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ সকল ফুক্বাহা-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ সর্বসম্মতিক্রমে বর্ণনা করেছেন, আর তা হলো, যেসব বস্তুর মধ্যে নেশা আছে তা সব নিষিদ্ধ তা কি দিয়ে তৈরী হয়েছে সেটা ধর্তব্য হবে না। সেটা আঙ্গুরের, খেজুরের, মধু, গম, যব অথবা অন্য কিছুর তৈরী হলে তাও নিষিদ্ধ। তাই ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ সকল প্রকারের নেশা সৃষ্টিকারী শরাব হারাম এবং নাজাসাত। এগুলো থেকে যদি এক ফোঁটাও পান করে তবুও হারাম হবে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন

ما اسكر كثيره فقليله حرام.

“যে জিনিষ অধিক পরিমাণে নেশাগ্রস্ত করে, তার কম পরিমাণও হারাম।”

গুড়, ফলের রস, ভাত ইত্যাদি পচিয়ে এব গাজিয়ে অর্থাৎ খমিরন (Ferment) করে এ্যালকোহল তৈরি করা হয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় সাধারণ হাইড্রোকার্বনের এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পারমানু হাইড্রোক্সিল মূলক (OH) দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে যে যৌগটি তৈরি হয় তাকেই বলা হয় এ্যালকোহল। হাইড্রোকার্বনের নাম অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন-

হাইড্রোকার্বন -ফর্মুলা – এ্যালকোহল

মিথেন CH4 – (CH3OH) – মিথাইল

ইথেন C2H6 – C2H5OH – ইথাইল

প্রপেন C3H8 – C3H7OH – প্রপাইল

এছাড়াও বিভিন্নভাবে এ্যালকোহলের শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে মূলতঃ মিথাইল এবং ইথাইল এ্যালকোহলই হারাম এবং নাযিস এ্যালকোহলের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু মিথাইল খুবই বিষাক্ত একটি পদার্থ। এটি খেলে লোক অন্ধ হয়ে যায়।

কোমল পানীয়তে ব্যবহৃত ইথাইল এ্যালকোহল তৈরি করতে হলে চিনিকে খমিরিত করে  (ওয়াইন তৈরীর ক্ষেত্রে) কিংবা শিল্প পদ্ধতিতে শ্বেতসারযুক্ত জিনিস যেমন আলু, ভাত, ভুট্টা, কাউন প্রভৃতিতে ঈষ্ট (খমির) এর সাহায্যে খমিরিত (Ferment) করে, তৈরী করা হয়। এতে কেবল পাতলা ইথাইল এ্যালকোহল তৈরী হয়ে থাকে পুনঃ পুনঃ আংশিক পাতন (Fractional distillation) করে শতকরা ৯৫.৬ ভাগ এ্যালকোহলে পরিণত করা যায়, যাকে বলে রেক্টিফাইড স্পিরিট। এই স্পিরিট থেকে এভাবে আর অ্যাবসলিয়ুট এ্যালকোহল তৈরী করা যায় না। তৈরী করতে হলে ভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। ইথাইল এ্যালকোহল বর্ণহীন ও  উদ্বায়ী, জ্বালালে নীল রঙ ও উচ্চ তাপের সৃষ্টি করে। মিথাইল এ্যালকোহলের চেয়ে এটি কিছুটা কম বিষাক্ত, তবে খেলে নেশা হয়। বিশুদ্ধ এ্যালকোহল অবশ্য খুবই বিষাক্ত। সব মদে কমবেশি ইথাইল অ্যালকোহল থাকে।] (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন