পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম
আলোচ্য মুবারক বিষয়টি সাধারণভাবে নৈকট্যধন্য ওলীআল্লাহ উনাদের শান-মান, মর্যাদা ও মাক্বাম। কিন্তু আখাছছুল খাছ ওলীআল্লাহ হওয়ার সাথে সাথে যিনি মহাসম্মানিত, মহাপবিত্র আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, উনার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত সামান্যতম ব্যত্যয় ঘটাও একান্তভাবে অস্বাভাবিক। উনাদের পবিত্র শানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন:
اَهْلُ بَيْتِىْ اَمَانٌ لِاُمَّتِىْ
অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন সকল উম্মতের নিরাপত্তাদানকারী, অর্থাৎ আসমান ও যমীনের নিরাপত্তাদানকারী।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
إِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র অভিপ্রায় এমন যে, তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে সর্বপ্রকার অপবিত্রতা দূর করে দিয়ে উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক করেন:
نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ
অর্থ: “আমরা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩) (চলবে)