কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
এই জিবরাইলের নাজেল হওয়া এইরূপ হইয়া থাকে যে, যে অহি বানদাদিগের দিকে প্রেরণ করা হয়, কেননা এই অহিতে লোকদিগের হেদাএত কার্্য নির্র করে, কাজেই উহা নিশ্চয় প্রত্যেক প্রকার ভ্যান্তি হইতে পাক হইয়া থাকে। পক্ষান্তরে নবী ব্যতীত অন্য লোকের এলহাম এইরূপ দরজা বিশিষ্ট নহে, উহার জন্য এইরূপ রক্ষণাবেক্ষণ করার বন্দোবস্ত করা হয় না, কেননা উহার উপর হেদায়েত নির্র করেন। ইহার এলহাম নিশ্চিত হইলেও নবীর অহির অর্াৎ কুরআন ও হাদিছের বিপরীত হেইলে, উহা ত্যাগ করিতে ইহবে।
আরও ৪৪ পৃষ্ঠা;-
“কোন উম্মত নিজের অহির (এলহামের) ্েরেূপ দরজা দিতে পারে না যে, দীনের জটীল মছলাগুলি মীমাংসা করিতে এই অহিকে ভিত্তি স্বরূপ স্থির করিতে পারে। নিজের অহি ও এলহামকে ্েুলিখিত মাছলাগুলিতে দলীলরূপে উপস্থিত করিতে পারে না বেং ইহাও বলিতে পারে না যে, যেহেতু আমরা লেহাম হইয়াছে, এই হেতু এইরূপে জায়িজ হইবে, বরং তাহার এলহাম তাহার পৃষ্ঠপোষক হইতে পার্”ে
উর্দু লেখা ঢুকবে……………
হইতেকোন ুম্মতের এলহাম ক্ষুদ্র হইতে ক্ষুদ্রতর শরিয়তের হুকুমকে মানছুখ করিতে পারে না, কোন ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র হেদাএতকে পরিবর্ন করিতে পারে না।”
উপরোক্ত প্রমাণ সমূহের দ্বারা বুঝা যাইতেছে যে, এলহাম অকাট্য দলীল নহে, কোরআন, হাদীছ, এজমায়ে-মোজতাহেদীন ও কেয়াছে মোজতাহেদীনের বিপরীত যে এলহাম হয়, উহা অগ্রাহ্য ও পরিত্যক্ত। মোতাওয়াতের, মশহুর, এমন কি আহাদ হাদিছের বিপরীত যে লেহাম হয়, ুহা বাতীল বলিয়া গণ্য হইবে। এজমায়ে-মোজতাহেদীন শরিয়তের অকাট্য দলীল, উহা অমান্য করিলে, কোরআন ও হাদীছ অনুসারে জাহান্নামি হইতে হইবে। এই এজমার বিপরীত যে কোন এলহাম হইবে, উহা বাতীল। কোরআন শরীফে েএমাম মোজতাহেদগণের কেয়াছি মছলা মান্য করার আদেশ করা হয়িাছে, কিন্তু কোন লোকের এলহাম মান্য করার আদেশ হয় নাই, কাজেই মোমগণের এজতেহাদী মছলার বিপরীত এলহাম বাতীল।
যে কোন এলহাম উক্ত চারি দলীলের বিপরীত না হয়, উহা তাহার পক্ষে নিজে আমল করা জায়িজ হইতে পারে, কিন্তু সর্সাধারণের পকেষ উহা অকাট্য দলীল নহে, তাহাদিগকে উহার উপর আমল করিতে বাধ্য করা যাইতে পারে না।
এক্ষণে দেখা যাউক, মির্াছাহেবের এলহামগুলির ব্যবস্থা কি? তিনি খোদার পুত্র হওয়ার এলহাম পাইয়াছেন, আলবোশরা, ১। ৪৯ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
ইহা কোরআনের বিপরীত এলহাম, ইহা বাতীল। তিনি খোদার ত্রিত্ববাদের (তছলিছেব) লেহাম পাইয়াছেন, তওজিহেমারাম, ২১। ২২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। ইহা কোরআন শরীফের আয়তের খেলাফ, কাজেই উহা বাতীল এলহাম। তিনি খোদাতায়ালা অসংখ্য হস্ত, পদ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকার দাবি করিয়াছেন।
হযরত মোজাদ্দে-আলফে ছানি ছাহেব মকতুবাতের ১। ৩১৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;-
উর্দু লেখা ঢুকবে……………
“সেই খোদাতায়ালা সমস্ত কলঙ্ক মূলক ও নব সৃজিত গুণাবলী ও চিহ হইতে পবিত্র ও নির্ল, দৈর্্য প্রস্থ ও উর্ বিশিষ্ট ও আকৃতিধারী ব্যস্ত নহেন, তিনি কোন স্থানে ও কালে আবন্ধ নহেন” (অসমাপ্ত)