কাদিয়ানী রদ! (ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
হযরত মোজাদ্দেদ আলফে ছানি (রঃ) মকতুবাত শরিফের ১/৫৫/৫৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;-
উদূ লেখা ঢুকবে……………………………………………………………………..
“এই দুই এলমের মধ্যে প্রভেদ এতটুকু যে, অহিতে দৃঢ়- বিশ্বাস জানিয়া থাকে, আর এলহামে সন্দেহমূলক ধারণা লাভ হইয়া থাকে, কেননা ফেরেশতা কতৃক অহি হইয়া থাকে। ফেরেশতাগণ অভ্রান্ত, উনাদের মধ্যে ভ্রমের সম্ভাবনা নাই। ইলহাম যদিও উন্নতস্থানে রাখে উহা কলব, আর কলব আলমে আমরের বিষয়, কিন্তু কলবের জ্ঞান ও নফছের সহিত এক প্রকার সম্বন্ধ আছে, নফছ যদিও পাক করাতে মোৎমায়েন্না হইয়াছে, কিন্তু নিজের স্বভাব হইতে প্রত্যাবর্ত্তন করে না।”
আরও উহার ২২৫ পৃষ্ঠা;-
উদূ লেখা ঢুকবে……………………………………………………………………..
“যাহা অকাট্য সত্য ও বিশ্বাসের যোগ্য, উহা কুরআন ও হাদীছ, যেহেতু উহা অকাট্য অহি দ্বারা সপ্রমাশ হইয়াছে এবং ফেরেশতা নাজেল হওয়ায় স্থির সাব্যস্ত হইয়াছে। আলেমগণের এজমা ও মোজতাহেদগণের যাহা কিছু হয় যদি উক্ত দলীলদ্বয়ের অন্তর্গত। শরিয়তের এই চারি দলীল ব্যতীত গ্রহণীয় হইবে, নচেৎ, না-যদিও ছূফিদিগের এলম ও মা’রেফাত হয় কিম্বা তাঁহাদের এলহাম হয়, তথায় ওয়াজদ ও হালকে যতক্ষণ শরিয়তের কাশফ ও এলহামকে যতক্ষণ কোরআন ও হাদিছের কাষ্টপ্রস্তরে পরীক্ষা না করা হয়, ততক্ষণ অর্দ্ধ রত্রিতে ক্রয় করা পছন্দ করেন না।” (অসমাপ্ত)