কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আ’যম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল, মুফাস্ইরসীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)
(ধারাবাহিক)
পীর মহিউদ্দিন আরাবি ‘ফতুহাতে-মক্কিয়া’র ১/১৫০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন:-
ان النبی هو الذی یأتیه الملک بالو حی من عند الله یتضمن ذلک الوحی شریعة یتعبد بها فی نفه فان بعث بها الی غیره کان رسولا و یأتیه الملک علی حلتین الا ینزل بها علی قلبه علی اختلاف احوال فی ذلک التنزل واما علی صورة جسدیه من خارج یلقی ما جاء به الیه علی اذ نه فیسمع او یلقیها علی بصره فیبصره هذا باب قد اغلق برسول الله صلی الله علیه وسلم.
“নিশ্চয়ই নবী ঐ ব্যক্তি হইবেন- যাহার নিকট ফেরেশ্্তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে অহি আনয়ন করেন- উক্ত অহিতে একটা শরিয়ত সন্নিবেশিত থাকে যদ্বারা নিজে আমলকারী হইয়া থাকেন। যদি উক্ত শরীয়তের দ্বারা অন্যের নিকট প্রেরিত হন, তবে তিনি রাছুল হইবেন। ফেরেশতা তাঁহার নিকট দুইভাবে আসিয়া থাকেন, প্রথম উক্ত নাজেল সংক্রান্ত বিভিন্ন অবস্থাতে উহা তাঁহার অন্তরে নাজেল করেন, কিম্বা প্রত্যক্ষ্যভাবে বাহ্যিক আকৃতি ধারণ করিয়া তাঁহার নিকট যে বিষয় আনয়ন করিয়াছেন, উহা তাঁহার কর্ণে নিক্ষেপ করেন, তিনি উহা শ্রবণ করেন, কিম্বা তাঁহার চক্ষের সম্মুখে ধরেন, তিনি উহা দর্শন করেন। এই অহির দ্বারা রাছূলুল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর রুদ্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে।”
এক্ষণে আমাদের জিজ্ঞাসা এই যে, মির্জা ছাহেব অহি বলিয়া যদি নবিগণের অহির মর্ম্ম গ্রহণ করিয়া থাকেন, তবে সত্যই তিনি হকিকি নবি হওয়ার দাবি করিয়াছেন। আর যদি এলহাম হওয়ার দাবি করিয়া থাকেন, তবে উহা কুরআন, তওরাত ও ইঞ্জিলের তুল্য অকাট্য ও বিশ্বাসযোগ্য দলীল হইবে কিরূপে?
আকায়েদে নাছাফি, ১৮/১৯ পৃষ্ঠা:-
والالهام لیس من اسباب المعرفة بصحة الشیء عند اهل الحق ثم الظاهر انه اراد ان الالهام لیس سببا یحصل به العلم لعامة الخلق ویصلح للالزام علی الغیر والا فلا شک انه قد یحصل به العلم.
“এলহাম সত্যপরায়ণ সম্প্রদায়ের নিকট কোন বিষয়ের ছহিহ হওয়ার প্রকৃত জ্ঞান প্রতিপালন করিতে পারেন, প্রকাশ্য মত এই যে, উহার হইতে পারেনা, এবং অন্যকে বাধ্য করার উপযুক্ত নহে। নচেৎ ইহাতে সন্দেহ নাই যে, কখন উহাতে এলম লাভ হইয়া থাকে।”
(অসমাপ্ত)