কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)মেশকাত, ৫৪৮ পৃষ্ঠা;-
قال ابو بكر لغمر بعد وفاة رسول الله صلى الله عليه وسلم انطلق بنا الى ام ايمن نزورها كما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزورها فلما انتهينا اليها بكت فقالالهاما يبكيك اما تعلمين ان ما عند الله خير لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت انى لا ابكى انى لا اعلم ان ما عند الله تعالى خير لرسول الله صلى الله عليه وسلم ولكن ابكى ان الوحى قد انقطع من السماء فهيجتهما على البكاء فجعلا يبكيان معها. رواه مسلم.
“আবুবকর, ওমারকে রাছুলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) এর ওফাত শরিফের পরে বালিয়াছিলেন, তুমি আমাকে ওম্মো আয়মানের নিকট লইয়া চল, যেরূপ রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁহার সহিত সাক্ষাত করিতেন, সেইরূপ আমরা তাঁহার সহিত সাক্ষাত করিব। যে সময় আমরা (আনাছ ও খলিফাদ্বয়) তাঁহার নিকট উপস্থিত হইলাম, তিনি ক্রন্দন করিতে লাগিলেন, ইহাতে উক্ত খলিলফাদ্বয় তাঁহাকে বলিলেন, কিসের তোমাকে কাঁদাইতেছে? তুমি কি জান না যে, আল্লাহ তায়ালার নিকট যাহা আছে তাহা রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষে উৎকৃষ্ট, ইহা না জানিয়া এন্দন করিতেছি না, কিন্তু এই জন্য ক্রন্দন করিতেছি যে, আছমান হইতে অহি আসা নিশ্চয় রহিত হইয়া গিয়াছে। তিনি তাঁহাদের উভয়কে ক্রন্দন করিতে উত্তেজিত করিলেন, ইহাতে তাঁহারা উভয়ে তাঁহার সহিত রোদন করিতে লাগিলেন। মোছলেস ইহা রেওয়াএত করিয়াছেন।
এই হাদীছে বুঝা গেল যে, হযরত আবূ বকর ও ওমার (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) অহি রহিত হওয়া সত্য ব?লিয়া বিশ্বাস করিয়াছেন।
نزل به الررح الامين على قلبك.
ক জিবরায়িল তোমার (হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্তরে উহা নাযিল করিয়াছেন।”
ইহাতে বুঝা যায় যে, হযরত জিবরাইল খোদার হুকুম নবিগণের উপর নাযিল করিতেন, ইহাকে অহি বলা হয়।
হযরত আবূ বকর (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হযরতের জানাজা পড়িতে দণ্ডায়মান হইয়া রোদন করিতে করিতে বলিতে লাগিলেন, ইয়অ রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার ওফাতে উক্ত বিষয় রহিত হইয়া গেল যাহা অন্য কোন নবি ও রসূলের ওফাতে রহিত হয় নাই। (অসমাপ্ত)