কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহুউদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
(৪) এইরূপ তিনি গুরু নানক ছাহেবের লম্বা পিরহান সম্বন্ধে তিন প্রকার মত প্রকাশ করিয়াছেন।
তিনি সৎবচনের ৬৭ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
তিনি উহা গায়েব হইতে পাইয়াছিলেন, আল্লাহ তায়ালার কুদরতে উহাতে কোরান শরিফ লিখিত হইয়াছিল। আবার তিনি নজুল মছিহ কিতাবের ২০৫ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন-বাবা নানকের মুছলমান মূর্শিদ তাহাকে এই লম্বা পিরাহান দিয়াছিলেন।
আরও উক্ত পৃষ্ঠা,
তিনি নিজে উহা প্রস্তুত করিয়াছিলেন।
(৫) আরও তিনি হজরত ইছা আলাইহিস সালাম এর নাজেল হওয়া সম্বন্ধে মতভেদ করিয়াছেন,
“তিনি বারাহিনে-আহমদীয়ার ৪৯৮/৪৯৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
“তিনি নিজের রাছুলকে হেদায়েতও সত্য দীনের সহিত এই হেতু প্রেরণ করিয়াছিলেন যে, তিনি উহাকে সমস্ত দীনের উপর পরাক্রান্ত করিয়াছিলেন।”
“এই আয়াত বাহ্যিক ও রাজনতিক ভাবে হজরত মছিহ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বানী স্বরূপ। দীন ইছলামের যে পূর্ন পরাক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে, উক্ত পরাক্রম মছিহ কর্তৃক প্রকাশিত হইবে। আর যখন হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম দ্বিতীয়বার এই দুনিয়াতে আগমণ করিবেন, তখন তাহার হস্তে সমস্ত অঞ্চলে দীন ইচলাম বিস্তৃত হইয়া পড়িবে।”
আরও উক্ত কেতাব, ৫০৫ পৃষ্ঠা,
“হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম অতিশয় পরাক্রমের সহিত দুনইয়াতে নাজিল হইবেন, সমস্ত পথকে কণ্টক ও আবর্জনা হইতে পরিষ্কার করিবেন, অহিত ও অন্যায় কার্য্যরে চিহ্ন মাত্র থাকিবে না এবং আল্লাহ তায়ালার পরাক্রমকোপের তাজ্জালী দ্বারা ভ্রান্তির বীজকে ধ্বংস করিয়া দিবেন।”
আরও তিনি এজালায়-আওহামের ১৯১ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন- “আমার পক্ষ হইতে এই দাবী নহে যে, আমার উপর মছিহি এত শেষ হইয়াছে এবং ভবিষ্যতে কোন মছিহ আসিবে না, বরং আমি ইহা মান্য করিয়া থাকি এবং বারাম্বার বলিয়া থাকি যে, এক কেন দশ সহস্রের অধিক মছিহ আসিতে পারে। আর ইহাও সম্ভব যে, তিনি বাহ্য পরাক্রম ও বিক্রমের সহিত আসিতে পারেন এবং ইহাও হইতে পারে যে, তিনি প্রথমে দেমাশকে নাজিল হইবেন।”
আরও উক্ত কেতাব, ১৪৯/১৫০ পৃষ্ঠা-
“আমি কেবল মছিহর তুল্য হওয়ার দাবী করিয়াছি, আমার ইহাও দাবী নহে যে, মছিহর তুল্য হওয়া কেবল আমার উপর শেষ হইয়াছে, বরং আমার নিকট ইহাও সম্ভব যে, ভবিষ্যতে আমার তুল্য দশ সহস্র মছিহর তুল্য আগমণ করিবেন। ইহাও সম্পূর্ণ সম্ভব যে, কোন সময় এরূপ কোন মছিহ আগমণ করেন- যাহার উপর হাদিছ সমূহের স্পষ্ট শব্দগুলি খাপ খাইতে পারে। কেননা এই অক্ষম এই দুনিয়ার হুকুমত ও বাদশাহির সহিত আগমণ করেন নাই, ফকিরি ও দরিদ্রতার পরিচ্ছেদে আগমণ করিয়াছেন। ইহাও সম্ভব যে, কোন সময় আলেমগণের এই উদ্দেশ্য পূর্ণ হইয়া যায়-অর্থাৎ হাদিছগুলির স্পষ্ট শব্দ সমূহের অনুপাতে বাদশাহ ও শাসন কর্তা মছিহ আগমণ করেন।”
(অসমাপ্ত)