কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আ’যম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কায়িদানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
মির্জা এজালায় আওহামের ২৪৭ পৃষ্ঠায়, হামামতোল-বোশরার ৮৯ পৃষ্ঠায় তওজিহে-মারামের ৪৭ পৃষ্ঠায় ও তবলিগের ৩১৬ পৃষ্ঠায় নিজের মোহাদ্দাছ (এলহামপ্রাপ্ত) হওয়ার দাবি করিয়াছেন।
মিশকাত শরীফ ৫৫৬ পৃষ্ঠা)
لقد كان فيما قبلكم من الامم محدثون فان يك فى امتى احد فانه عمر. متفق عليه.
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণ উনাদের মধ্যে এলহামপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ ছিলেন, নিশ্চয়ই যদি আমার উম্মতের মধ্যে কেহ (এলমাহপ্রাপ্ত) হয়, তবে তিনিই ওমর হইবেন।” উহার হাশিয়াতে লিখিত আছে,
قال التوريثتى وهو فى الحقيقة من القى فى روعه شئ من قبل الملأ الاعلى.
তুরপোস্তি বলিয়াছেন, মোহাদ্দাছ প্রকৃতপক্ষে উক্ত ব্যক্তি হইবেন, যাহার অন্তরে ফেরেশতাগণ উনাদের পক্ষ হইতে কোন কথা নিক্ষিপ্ত হয়।
এক্ষণে ইহাই বিচার্য্য বিষয় যে, এলহাম শরীয়তের দলীল হইতে পারে কি না?
তাবাকাতে কুবরার ১০৯ পৃষ্ঠায় ও মির্জার জরুরাতোল এমামের ১৭ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে, একবার শয়তান হযরত বড় পীর সাইয়্যিদ আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ধোঁকা দিয়াছিলো, শয়তান আলোকময় আকৃতি ধারণ করিয়া উনার নিকট প্রকাশিত হইয়া বলিয়াছিলো, আপনার ইবাদত কবুল হইয়া গিয়াছে। শরীয়তের আহকাম আপনার উপর রহিত করিয়া দেওয়া হইয়াছে, কতক হারাম বস্তু আপনার জন্য হালাল করা হয়েছে এবং আপনার নামায মাফ করা হয়েছে। উহাতে তিনি তৎক্ষনাত বুঝিয়া লইলেন যে, এই লোকটা শয়তান, লা-হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ পড়িয়া উহাকে বিতাড়িত করেন। আল্লামা সাইয়্যিদ মোহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বলিয়াছেন, কাশফ ও এলহাম শরীয়তের আহকাম সম্বন্ধে দলীল হওয়ার যোগ্য নহে। শায়খোল ইছলাম ইবনে তায়ামিয়া মেনহাজোল এ’তেদাল কিতাবে লিখিয়াছে, কাশফ ও এলহাম দ্বীন ও আহকাম সম্বন্ধে গ্রহণীয় ও কর্তব্য নহে।
মির্জা হামামাতোল বোশরার ৯৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছে,
وها انى لااصدق الهاما من الهوا ما فى الا بعد ان اعرضه على كتاب الله واعلم اته كلما يخالف القران فهر كذب والحاد وزندقة.
সাবধান! নিশ্চয়ই আমি আমার এলহামগুলির মধ্যে কোন এলহামকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিনা, যতক্ষণ না উহা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবের উপর পেশ করি। আর আমি জানি যে, যে কোন এলহাম কুরআন শরীফ উনার বিপরীত হয়, উহা মিথ্যা, কাফিরে ও বড় কাফিরে। (অসমাপ্ত)