খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

সংখ্যা: ১৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাদিয়ানী রদ!

(ষষ্ঠ ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।

(ধারাবাহিক)

(৯) কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে খোদা তায়ালা তিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা বলিয়া লিখিত হইয়াছে, কিন্তু মির্জা সাহেব নক্ষত্রমালাকে সৃষ্টি কার্য্যে শরিক বলিয়া দাবি করিয়াছে।

(১০) কুরআন শরীফ উনার মধ্যে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম, হযরত ছোলায়মান আলাইহিস সালাম উনাদের প্রভৃতির যে মো’জেজাগুলি বর্ণনা করা হইয়াছে, মির্জা সাহেব তৎসমস্ত মেছমেরিজম বলিয়া ঘোষণা করিয়াছে, উহা এক প্রকার জাদু, ইহাতে প্রমাণিত হয় যে, সে তাহাদিগকে জাদুগীর বলিয়া দাবি করিয়াছে।

(১১) কুরআন শরীফ উনার মধ্যে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে মহা গৌরবান্বিত মো’জেজা বিশিষ্ট নবী বলিয়া প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু মির্জা সাহেব তাহার নবুয়ত, মো’জেজা, গৌরবজনক বিষয়গুলি অস্বীকার উনার মহা নিন্দাবাদ করিয়াছে।

(১২) আবু দাউদ শরীফ কিতাবে উল্লেখ আছে;

من قال فى القران بغير علم فليتبوا مقعده من النار.

“যে ব্যক্তি বিনা এলমে কুরআন শরীফ উনার ব্যাখ্যা করে, সে যেন নিজের বাসস্থান দোযখ স্থির করিয়া লয়।” অন্য রেওয়াএতে আছে;-

من تكلم فى القران برايه فصاف فقد خطا.

হযরত বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি নিজের জ্ঞান মতে কুরআন শরীফ উনার তফসীর করে, সে ব্যক্তি প্রকৃত তফসীর করিলেও ভ্রম করিয়াছে।

এই হাদীছ শরীফটির এই যে, যে ব্যক্তি ছাহাবা, তাবেয়ি প্রভৃতি তফসীরের ইমামগণ উনাদের বিপরীত নিজ মনোক্তি মতে তফসীর করে, সে ব্যক্তি ভ্রান্ত ও জাহান্নামী।

তফসীরে এৎকান, ২। ১৭৮ পৃষ্ঠা;

فان الصحابة التابعيمن والائمة ان كان لهم فى لاية تفسير وجا، قوم فسروا الاية بقول اخر لاجل مذهب ليس من مذاهب الصحابة والتابعين صار مشاركا للمعتزلة وغيرهم من اهل البدع فى مثل هذا وفى الجملة من عدل عن مذاهب الصحابة والتابعين وتفسيرهم الى ما يخالف ذلك كان مخطا فى ذلك بل مبتدعا لانهم اعلم بتفسيره ومعاليه كما انهم على بالحق الذى بعث الله به رسوله.

নিশ্চয়ই যদি কোন আয়াত শরীফ সম্বদ্ধে ছাহাবা, তাবেয়ি ও ইমামগণ উনাদের কোন তফসীর থাকে এবং অন্য দল আসিয়া তাহাদের গৃহীত মতে প্রমাণ করা উদ্দেশ্য উক্ত আয়াতের অন্য প্রকার তফসীর করে এবং উক্ত মতটি ছাহাবা ও তাবেয়িগণ উনাদের মত নাহয়, তবে সেইরুপ ব্যক্তি এতৎসম্বন্ধে মো’তাজেলা প্রভৃতি বেদয়াতি সম্প্রদায়ের অর্ন্তগত হইবে। মূল কথা, যে ব্যক্তি ছাহাবা ও তাবেয়িগণ উনাদের মত তফসীর ত্যাগ করিয়া উহার বিপরীত মত ও তফসীর অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি উহাতে ভ্রান্ত, বরং বেদয়াতি হইবে, কেননা নিশ্চয় উক্ত ছাহাবাগণ উক্ত কুরআন শরীফ উনার তফসীর ও মর্ম্ম সম্বন্ধে সমধিক অভিজ্ঞ ছিলেন, যেরূপ নিশ্চয় উনারা উক্ত সত্য সম্বন্ধে সমাধিক অভিজ্ঞ ছিলেন- যাহার সহিত মহান আল্লাহ পাক নিজের রাসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করিয়াছিলেন। (অসমাপ্ত)

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেনম কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

কাদিয়ানী