( পঞ্চম ভাগ )
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আ’যম, বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হিফাজত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদৃতি করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
দ্বিতীয় যখন ইহা মির্জ্জা ছাহেবের বা অন্যের রচিত, তখন উহা মানব হস্তের সাধ্যাতীত হইবে কিরূপে? নিজে মির্জ্জা ছাহেব বারাহিনে-আহমদীয়ার ১৫৬-১৯৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, যে বস্তু মানুষে প্রস্তুত করিয়াছে, উহাকে অতুলনীয় বলিলে, নির্ব্বোধ, বুদ্ধি ও ইমানের মূলোৎপাটনকারী, উদাসীন, জ্ঞানান্ধ, মোনকের নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত।
মূলকথা, ৩ বৎসরের মধ্যে মানবের সাধ্যাতীত কোন নিদর্শন মির্জ্জা ছাহেবের সহায়তা কল্পে প্রকাশিত হয় নাই, কাজেই তিনি উপরোক্ত টাইটেলগুলি প্রাপ্ত হওয়ার উপযুক্ত হইবেন না কেন?
(৭) মির্জ্জা ছাহেব ইংরাজি ১৯০৬ সালের ১৯ শে জুলাই তারিখের বদর পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন;-
উদূ লেখা ঢুকবে…………………………………………….
“আমি যে কার্য্যরে জন্য এই ময়দানে দ-ায়মান আছি, উহা এই যে, আমি খ্রিষ্ট পূজার স্তম্ভ চুর্ণ করিব, ত্রিত্ববাদের স্থলে একত্ববাদ প্রচার করিব এবং হজরত নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গৌরব, মহত্ব ও মর্য্যাদা পৃথিবীতে প্রকাশ করিব। এক্ষেত্রে যদি আমা কর্ত্তৃক কোটী নিদর্শনও প্রকাশিত হয় এবং এই মূল উদ্দেশ্য প্রকাশিত না হয় তবে আমি মিথ্যাবাদী। এক্ষণে দুনিয়া কেন আমার সহিত শত্রুতা করে? সে পরিণাম কেন দেখে না? যদি আমি ইছলামের সহায়তা কল্পে উক্ত কার্য্য করিয়া দেখাই-যাহা প্রতিশ্রুত মছিহ ও প্রতিশ্রুত মাহদীর করণীয় ছিল, তবে আমি সত্যপরায়ণ। আর যদি কিছু না হয় এবং আমি মরিয়া যাই তবে সকলেই সাক্ষী থাকুক যে, আমি মিথ্যাবাদী। (অসমাপ্ত)