(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীছ, মুফতীয়ূল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(ধারাবাহিক)
আরও তিনি আঞ্জামে-আথামের ২২৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
“আমি ইহাকে (আহমদ বেগের মৃত্যু ও মোহম্মদী বেগমের নেকাহকে) নিজের সত্য ও মিথ্যার মাপকাটি স্থির করিয়াছি, আমি নিজের প্রতিপালক (খোদা) হইতে সংবাদ প্রদত্ত হওয়া ব্যতীত ইহা বলি নাই।”
মূলকথা. মির্জ্জা ছাহেব আহমদ বেগের কন্যা মোহাম্মদী বেগমের প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া মিথ্যা করিয়া এলহাম বলিয়া প্রচার করেন যে, আছমানে খোদা তাহার সহিত আমার বিবাহ কার্য্য সম্পাদন করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে দুনইয়ায় এই বিবাহের সম্বন্ধ করিতে বলিয়াছেন।
আরও আমার উপর এলহাম হইয়াছে যে, যদি আহমদ বেগ তাহার কন্যাটি অন্যের সহিত বিবাহ দেয়, তবে তাহার জামাতা আড়াই বৎসরের মধ্যে মরিয়া যাইবে এবং উক্ত কন্যা পুনরায় আমার সহিত বিবাহিত হইবে। যদি এই দুই বিষয় সংঘটিত না হয়, তবে আমি সকল অপেক্ষা সমধিক মন্দ এবং মিথ্যাবাদী। কিন্তু আহমদ বেগের জামাতা মরিল না, মোহম্মদী বেগম তাহার সহিত বিবাহিত হইল না। মির্জ্জা ছাহেব মরিয়া গেলেন, কিন্তু আহমদ বেগের জামাতা ও কন্যা সন্তান-সন্ততি সহ দীর্ঘকাল পর্যন্ত শান্তির সহিত জীবিত ছিলেন।
এক্ষণে মির্জ্জা ছাহেবের নিজের মুখের দাবিতে তিনি সর্ব্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ও মিথ্যা-মছিহ প্রমাণিত হইলেন।
(৩) তিনি উক্ত আছমানি নেকাহ সম্বন্ধে আঞ্জামে-আথামের ৫৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছে;
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
(অসমাপ্ত