কাদিয়ানী রদ!
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পূনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন)
(পূর্ব প্রকাশিতের)
(১৭) মিশকাত শরীফ, ৪৬৭ পৃষ্ঠা –
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رضى الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ عَدُوٌّ يَـجْمَعُوْنَ لِأَهْلِ الْإِسْلاَمِ وَيَـجْمَعُ لَهُمْ أَهْلُ الْإِسْلاَمِ . قُلْتُ الرُّومَ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ وَتَكُونُ عِنْدَ ذَاكُمُ الْقِتَالِ رَدَّةٌ شَدِيْدَةٌ فَيَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُوْنَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلَّا غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُوْنَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلَاءِ وَهَؤُلَاءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُـمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُوْنَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لَا تَرْجِعُ إِلَّا غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُوْنَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلَاءِ وَهَؤُلَاءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُوْنَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لَا تَرْجِعُ إِلَّا غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُوْنَ حَتَّى يُمْسُوا فَيَفِيْءُ هَؤُلَاءِ وَهَؤُلَاءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الرَّابِعِ نَهَدَ إِلَيْهِمْ بَقِيَّةُ أَهْلِ الْإِسْلَامِ فَيَجْعَلُ اللهُ الدَّبْرَةَ عَلَيْهِمْ فَيَقْتُلُوْنَ مَقْتَلَةً إِمَّا قَالَ لَا يُرَى مِثْلُهَا وَإِمَّا قَالَ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا حَتَّى إِنَّ الطَّائِرَ لَيَمُرُّ بِجَنَبَاتِهِمْ فَمَا يُخَلِّفُهُمْ حَتَّى يَخِرَّ مَيْتًا فَيَتَعَادُّ بَنُو الأَبِ كَانُوْا مِائَةً فَلاَ يَجِدُونَهُ بَقِيَ مِنْهُمْ إِلاَّ الرَّجُلُ الْوَاحِدُ فَبِأَىِّ غَنِيمَةٍ يُفْرَحُ أَوْ أَىُّ مِيرَاثٍ يُقَاسَمُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذٰلِكَ إِذْ سَمِعُوا بِبَأْسٍ هُوَ أَكْبَرُ مِنْ ذٰلِكَ فَجَاءَهُمُ الصَّرِيْخُ إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَلَفَهُمْ فِي ذَرَارِيِّهِمْ فَيَرْفُضُوْنَ مَا فِي أَيْدِيْهِمْ وَيُقْبِلُوْنَ فَيَبْعَثُوْنَ عَشَرَةَ فَوَارِسَ طَلِيْعَةً . قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّيْ لَأَعْرِفُ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ اٰبَائِهِمْ وَأَلْوَانَ خُيُوْلِهِمْ هُمْ خَيْرُ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ أَوْ مِنْ خَيْرِ فَوَارِسَ عَلٰى ظَهْرِ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, বৃহৎ দল খ্রিস্টান শত্রু শামবাসী দলের সাথে যুদ্ধ করতে সৈন্যদেরকে সংগ্রহ করবে, মুসলমানগণ তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে সৈন্যদল সংগ্রহ করবেন, উনারা একদল অগ্রগামী সৈন্য নির্বাচন করবেন- যারা এই শর্ত করবেন যে, উনারা হয় জয়যুক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন, না হয় মৃত্যুকে বরণ করে নিবেন। উভয় দল যুদ্ধে লিপ্ত হবে, এমনকি উভয় দলের মধ্যে রাতের অন্তরাল হয়ে পড়বে। উভয় দল বিনা জয়-পরাজয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং উক্ত শর্তকারী মুসলমানগণ শহীদ হয়ে যাবেন। তারপরের দিন মুসলমানগণ একদল সৈন্য নির্বাচন করবেন- উনারা শর্ত করবেন যে, হয় জয়ী হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন, না হয় শহীদ হয়ে যাবেন। উভয়দল যুদ্ধে লিপ্ত হবেন, এমনকি উনাদের মধ্যে রাত অন্তরাল হয়ে যাবে।
তখন উভয় দল বিনাজয়-পরাজয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং শর্তকারীগণ শহীদ হয়ে যাবেন। এরূপ তৃতীয় দিবস হবে। চতুর্থ দিবস হলে, অবশিষ্ট মুসলমানগণ খিৃস্টানদের বিরুদ্ধে অভিযান করবেন, এতে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের উপর পরাজয় নির্দেশ করবেন, তারা এরূপ যুদ্ধ করবেন, যার তুল্য পরিলক্ষিত হয়নি, এমনকি পাখি তাদের চারদিকে উড়ে যেতে থাকবে, উক্ত পাখি মৃতবস্থায় পতিত হবে, কিন্তু উক্ত নিহতদেরকে অতিক্রম করে যেতে পারবে না। বংশের লোকদেরকে গণনা করা হবে, তারা শতজন ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ব্যতীত কাউকেও জীবিত পাবেনা। কাজেই কোন যুদ্ধলব্ধ মালে আনন্দ করা যাবে? এবং কোন মৃত ব্যাক্তির পরিত্যাক্ত সম্পত্তি বণ্টন করা হবে? তারা এমতাবস্থায় তদপেক্ষা সমধিক ভয়ঙ্কর ঘটনার সংবাদ শ্রবন করবেন, একজন ঘোষণাকারী আগমন করে ঘোষণা করবেন, নিশ্চয়ই দাজ্জাল উনাদের আগমনের পরে উনাদের পরিজনের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে, এতে উনারা উনাদের হস্তগত অর্থসম্পদ ত্যাগ করে (পরিজনদের দিকে) রওয়ানা হবেন, উনারা দশজন অশ্বারোহীকে অগ্রগামী সৈন্যরূপে প্রেরণ করবেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমি উনাদের নাম, উনাদের পিতৃগণের নাম এবং উনাদের ঘোড়াগুলির রং জানি, উনারা সেই সময়ে ভু-পৃষ্ঠে শ্রেষ্ঠতম অশ্বারোহী হবেন। (মুসলিম শরীফ)