খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার  ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৫

সংখ্যা: ১৬৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

কেন, কিসের জন্য এটা করা হলো? এটা কিন্তু আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, কি বলেছেন কুরআন শরীফে?

واذ نجينكم من ال فرعون يسومونكم سوء العذاب يذبحون ابناءكم ويستحيون نساءكم وفى ذكم باءمن ربكم عظيم واذ فرقنا بكم التحر فانجينكم واغرقنا ال فرغون وانتم تنظرون.

আল্লাহ পাক বলেন,

واذ نجينكم من ال فرعون.

আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম -এর ক্বওমকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমাদেরকে নাযাত দিয়ে দিলাম ফিরআউন ও তার আল, তার দলবল থেকে। কেন, কোন অবস্থায়?

يسومونكم سوء العذاب.

ফিরআউন তার দলবল তোমাদেরকে কঠিন একটা বিপদে ফেলে রেখেছিল

يذبحون ابناءكم وستحيون نساءكم

তোমাদের ছেলেদেরকে তারা কতল করে ফেলত। মেয়েদেরকে জীবিত রাখত, বাঁদী বানিয়ে রাখত।

وفى ذلكم بلاءمن ربكم عظيم.

এটা তোমাদের জন্য মহান, বিরাট একটা পরীক্ষা ছিল। এই পরীক্ষার পরও কি আল্লাহ পাক-এর মতে মত থাকতে পার? আল্লাহ পাক-এর নবী এবং রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম-এর পথে পথ থাকতে পার? এটা মহান আল্লাহ পাক-এর পরীক্ষা ছিল।

واذ فرقنا بكم البحر فانجينكم واغرقنا ا فرعون وانتم تنظرون.

আল্লাহ পাক বলেন, আমি তোমাদের জন্য লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে রাস্তা করে দিলাম। তোমাদের নাযাত দিয়ে দিলাম। ফিরআউন তার দলবলসহ সেখানে ডুবিয়ে হত্যা করলাম। নিশ্চিহ্ন করে দিলাম।

وانتم تنظرون

তোমরা সেটা দেখেছ। তোমরা তা নিজের চোখে দেখেছ।

এই যে কঠিন একটা আযাব, একটা গজব থেকে আল্লাহ পাক রেহাই দিলেন। আল্লাহ পাক-এর নবী হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালামকে ক্বওমসহ পার করে দিলেন। উনারা খুশি হয়ে গেলেন। এখানে ফিকির করতে হবে। ফিরআউন তার দলবল তার যারা লোক ছিল, কিবতী। এরা যালিম ছিল। এরা যুলুম করত। এদের যুলুম থেকে আল্লাহ পাক বাঁচিয়ে দিলেন। এই যুলুম থেকে বাঁচার কারণে আর যালিমরা নিশ্চিহ্ন হওয়ার কারণে আল্লাহ পাক-এর নবী এবং রসূল, যিনি জলীলুল ক্বদর রসূল, উলুল আযমে মিনার রসূল। যাঁর প্রতি তাওরাত কিতাব নাযিল হয়েছে। তিনি খুশি প্রকাশ করলেন।

এটাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আসলেন, যমীনে আগমন করলেন, আল্লাহ পাক-এর কায়িনাতের জন্য আযাব-গযব দূর করে দিলেন। আল্লাহ পাক-এর সাথে তায়াল্লুক মায়াল্লাহ, আল্লাহ পাক-এর সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিলেন। আল্লাহ পাক-এর খুশি দিয়ে দিলেন, রিযামন্দি দান করলেন এবং সকলের জন্য নাযাতের কারণ হয়ে গেলেন। সেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমরা পেয়ে গেলাম। তিনি এসে গেলেন। তাহলে সেই দিনটার কতটুকু খুশি প্রকাশ করতে হবে। কতটুকু সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হবে। সেজন্য কতটুকু খুশি হতে হবে। সেটাতো ফিকির ও চিন্তার বিষয়। একটা কাফিরের কবল থেকে বাঁচার কারণে, শত্রু নিশ্চিহ্ন হওয়ার কারণে যদি এতটুকু খুশী প্রকাশ করতে হয়, তা স্মরণ করতে হয় যুগ যুগ ধরে। তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন আগমন করলেন তিনি এসে সমস্ত বাতিল, গোমরাহ, গইরুল্লাহকে দূরিভূত করে দিলেন, নিশ্চিহ্ন করে দিলেন, চিহ্নিত করে দিলেন, ঈমানের উপর ইস্তিক্বামাত থাকার জন্য সমস্ত পাথেয় দিয়ে দিলেন। আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে কিতাব আনলেন, ইসলাম আনলেন সব এনে দিলেন। নবীদের জন্য, রসূলদের জন্য সুপারিশের কারণ হয়ে গেলেন। তাহলে সেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব যেদিন আসলেন, সেদিন কতটুকু শুকরিয়া আদায় করতে হবে, কতটুকু খুশী প্রকাশ করতে হবে এটা চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়।

এটাতো বদ আক্বীদা, বদ মাযহাবের লোকেরা খারিজী, রাফিজী, ওহাবী, সালাফী যারা রয়েছে গোমরাহ ফিরকা এরা জীবনেও সেটা বুঝতে পারবে না। সেটা খুব ফিকিরে ও চিন্তার বিষয়।

এজন্য আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

فكر ساعة خيرمن عبادة ستين سنة.

কিছুক্ষণ সময় ফিকির করা হচ্ছে ষাট বৎসর নফল ইবাদত থেকে উত্তম। সুবহানাল্লাহ।

এখন এটাই চিন্তা করতে হবে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর  যে ব্যাপারটা রয়েছে। কারণ, আল্লাহ পাকতো কুরআন শরীফে নিজেই বলেছেন,

لئن شكرتم لا زيدنكم ولئن كفرتم ان عذابى لشديد.

আল্লাহ পাক স্পষ্ট বলেছেন কুরআন শরীফে

لئن شكرتم لازيد نكم

আমার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে আমি নিয়ামত বৃদ্ধি করে দেই।

তোমরা যদি আমার নিয়ামতকে অস্বীকার কর। আমি তোমাদের জন্য কঠিন আযাব রেখেছি। আমার আযাব কঠিন। তোমাদের জন্য কঠিন আযাব-গযব থাকবে। নিয়ামতে আর বরকত হবে না। এই নিয়ামতকে ইহানত করার কারণে তোমরা কঠিন আযাব-গযবে গ্রেফতার হয়ে জাহান্নামী হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ।

তাহলে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-এর এ আয়াত শরীফ বুঝেছেন, আমল করেছেন, উম্মতদেরকে আমল করতে বলেছেন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও বলেছেন।

এখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলেন, এখন আমরা কতটুকু খুশী হব, কতটুকু শুকরিয়া আদায় করব, কতটুকু সন্তুষ্টি প্রকাশ করব, সেটাতো চিন্তা ফিকিরের বিষয়। এখানে যদি কেউ খুশী না হয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ না করে সেতো ঈমানদার হিসাবে থাকতে পারবে না, সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হিসাবে থাকতে পারবে না।

উদূ লেখা ঢুকবে…………………………………

নিয়ামতের শুকরিয়া নেক বখতির শহরের দিকে নিয়ে যায় যে শুকরিয়া করে তার নিয়ামতের আরও বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ।

কাজেই, এটা মনে রাখতে হবে আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমন উপলক্ষ্যে কতটুকু সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হবে। খুব চিন্তা ফিকিরের বিষয়। يوم عظيم বলা হয়েছে সেই আশুরার দিনকে। হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও ক্বাওম শত্রুর কবল থেকে বাঁচার কারণে। তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আসলেন। আমরা যে শয়তানের কবল থেকে বেঁচে গেলাম। গইরুল্লাহ থেকে বেঁচে গেলাম। শুধু আমরাই নয়, আল্লাহ পাক-এর ক্বায়িনাতের সকলেই বেঁচে গেল, সকলেই মর্যাদা পেয়ে গেল, সকলেই ফযীলত লাভ করলো। তাহলে সেই দিন কত বড় يوم عظيم সেই ভাষা মানুষের জানা নেই।

আমরা সেজন্য বলে থাকি ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, এতটুকু। এর চাইতে ভাল ভাষা আমাদের যানা নেই। আমরা এতটুকু বলি। বরং সে দিনটা এর চাইতে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি মর্যাদা সম্পন্ন হবে, যার ভাষা মানুষের জানা নেই। (অসমাপ্ত)

 

 

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৯

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১০

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আ’লম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১২

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৩