খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয

সংখ্যা: ১৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

الحمد لله نحمده و نستعينه و نستغفره،

ونؤمن به ونتوكل عليه، ونعوذ بالله من شر ور انفسنا، ومن سيئات اعمالنا، من يهده ا لله فلا مبضل له، ومن يضلله فلاهادى له، ونشهد ان لا اله الا الله وحده لاشريك له، ونشهد ان سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا ومولنا محمدا صلى الله عليه و سلم عبده ورسوله،

اما بعد: فاعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسم الله الر حمن الرحيم. ان الله وملئكته يصلون على النبى، يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما. اللهم صل على سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا ومو لنا محمد صلى الله عليه وسلم.

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর জন্য, যিনি আমাদেরকে এখানে হাযির হয়ে ওয়াজ-নছীহত শোনার তাওফিক দান করেছেন।   এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে ইরশাদ ফরমান,

وذكر فان الذ كر تنفع المؤمنين.

 “হে আমার হাবীব! আপনি নছীহত করুন। নিশ্চয়ই আপনার নছীহতগুলো মু’মিনদের জন্য উপকারী।” আর হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

ما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله يتلون كتب الله ويتدارسونه بينهم الا نز لت عليهم السكينة وغشيتهم الر حمة و حفتهم الملئكة و ذكرهم الله فيمن عنده.

“যখন কোন এলাকার লোক আল্লাহ পাক-এর ঘরে অথবা কোন স্থানে একত্রিত হয়ে আল্লাহ পাক-এর কিতাব তিলাওয়াত করে অথবা পরস্পর দ্বীনী আলোচনা বা দরস্-তাদরীস করে তখন আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে তাদের উপর সাকিনা বা শান্তি বর্ষিত হয়।  আল্লাহ পাক-এর রহমত তাদের উপর ছেয়ে যায় বা তাদেরকে আবৃত করে নেয়। আল্লাহ পাক-এর রহ্মতের ফেরেশ্তারা তাদেরকে বেষ্টন করে নেন এবং স্বয়ং আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর নিকটবর্তী ফেরেশ্তাদের সাথে সেই মাহ্ফিলের লোকদের ছানা-ছিফত ও তাদের সম্পর্কে আলোচনা করেন।”  আর হাদীছ শরীফে রয়েছে, “মাহ্ফিল যখন শেষ হয়ে যায়, তখন সকল মানুষ চলে যায়, ফেরেশ্তারাও চলে যান আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে।  আল্লাহ পাক-এর জানা থাকা সত্ত্বেও ফেরেশ্তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, “হে ফেরেশ্তারা! তোমরা কোথা হতে আসলে?” ফেরেশ্তারা বলেন, “আল্লাহ পাক! অমুক মাহ্ফিল হতে।”  তখন আল্লাহ পাক জিজ্ঞাসা করেন, “তারা কি চেয়েছে এবং কি থেকে পানাহ্ চেয়েছে?” ফেরেশ্তারা বলেন, “আল্লাহ পাক! তারা আপনার সন্তুষ্টি চেয়েছে। জান্নাত চেয়েছে এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ চেয়েছে।” আল্লাহ পাক পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, “হে ফেরেশ্তারা! তারা কি আমাকে দেখেছে?”  ফেরেশ্তারা বলেন, “না, তারা দেখেনি।”  আল্লাহ পাক বলেন, “তারা কি জান্নাত-জাহান্নাম দেখেছে?”  ফেরেশ্তারা বলেন, “না, তারা দেখেনি। যদি আপনাকে দেখতো তাহলে আপনার রেযামন্দী বা সন্তুষ্টির হাছিলের জন্য আরো বেশী বেশী কোশেশ করতো। আর জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলে, জান্নাত বেশী বেশী তলব করতো এবং জাহান্নাম থেকে বেশী বেশী পানাহ্ তলব করতো।” ইত্যাদি অনেক কথপোকথনের পর আল্লাহ পাক বলেন,

فاشهدكم انى قدغفرت لهم.

“(হে ফেরেশ্তারা)! তোমরা সাক্ষী থাক, আমি এই মাহ্ফিলে যারা এসেছে, তাদের প্রত্যেককে ক্ষমা করে দিলাম।” (সুবহানাল্লাহ্)

قال ملك من الملائكة فيهم فلان ليس منهم انما جاءلحاجة.

“তখন একজন ফেরেশ্তা বলেন, “আয় আল্লাহ পাক! এ মাহ্ফিলে এমন একজন লোক ছিল, যে মূলতঃ ওয়াজ-নছীহত শুনার উদ্দেশ্যে আসেনি। সে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তার কাজে। তখন দেখলো যে, এখানে মাহ্ফিল হচ্ছে, সে দেখার জন্য এখানে এসেছিলো ও বসেছিলো। প্রকৃতপক্ষে লোকটা খুব বদ্কার, গুনাহ্গার। আপনি কি তাকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন?”

قال هم الجلساءلايشقى جليسهم.

“তখন আল্লাহ পাক বলেন, এই মাহ্ফিলে যে সমস্ত নেককার লোক এসেছিল, আমি সেই নেক্কারদের উছীলায় ঐ বদ্কারের গুনাহ্খতাও ক্ষমা করে দিয়েছি।” (সুবহানাল্লাহ্) এবার চিন্তা ফিকির করে দেখুন, ওয়াজ মাহ্ফিলের অর্থাৎ দর্স-তাদরীসের মাহ্ফিলের কত ফযীলত।  প্রকৃতপক্ষে ওয়াজ মাহ্ফিল হচ্ছে সাকিনা হাছিলের মাহ্ফিল। রহ্মত, বরকত হাছিলের মাহ্ফিল। সর্বোপরি ওয়াজ মাহ্ফিল হচ্ছে নিজের গুনাহ্খতা মাফ করার মাহ্ফিল। অতএব, খুব ধ্যান ও খেয়ালের সহিত শুনতে হবে। আর শুনে মনে রেখে আমল করে খালিছ আল্লাহ্ওয়ালা হতে হবে। তাই আল্লাহ্ পাক বলেন,

كونوا ربانين.

“তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও।” অর্থাৎ মাথার তালু হতে পায়ের তলা এবং হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত আল্লাহ্ পাক-এর মতে মত ও আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথে পথ হতে হবে।         আজকের ওয়াজ আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত সম্পর্কে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে।  আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে মর্যাদা-মর্তবা দিয়েছেন, ফযীলত দিয়েছেন, বুযূর্গী দিয়েছেন, কালামুল্লাহ শরীফে সেটা বর্ণনা করেছেন।  আর স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফে সেটা ইরশাদ করেছেন। আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমন উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে যে মজলিস করা হয়, মাহফিল করা হয়, আলোচনা করা হয় সেটাকে “ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বলা হয়ে থাকে। ‘ঈদ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে, যেটা বার বার ফিরে আসে। ‘ঈদ’ শব্দের একটা অর্থ হচ্ছে, যেটা বার বার ফিরে আসে। ‘ঈদ’ শব্দের আরেক অর্থ হচ্ছে, খুশী প্রকাশ করা। আরেকটা অর্থ হচ্ছে, কোন স্মরণীয় যে ঘটনা রয়েছে সেটাকে স্মরণ করা। আরেক অর্থ রয়েছে তা হচ্ছে বিশেষ যে সমস্ত ঘটনা রয়েছে উল্লেখযোগ্য, সে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো।  ‘মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’-এর সমর্থবোধক তিনটি শব্দ রয়েছেঃ ‘মীলাদ’, ‘মাওলিদ’ ও ‘মাওলুদ’। মীলাদ শব্দের সাধারণ অর্থ হচ্ছে, জন্মের সময়। ‘মাওলিদ’ এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে জন্মের স্থান। আর ‘মাওলুদ’ এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে, সদ্য প্রসূত সন্তান। আর এক কথায়, “ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বলতে বুঝানো হয়েছে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অর্থাৎ আগমন উপলক্ষে যে খুশী প্রকাশ করা হয়ে থাকে তা। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, যিনি নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, উনার আগমন উপলক্ষে যেদিন খুশী প্রকাশ করা হয়ে থাকে সেদিনটাকে “ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”-এর দিন বলা হয়ে থাকে।  বিশেষ করে যেখানে মশহুর রেওয়ায়েত রয়েছে, ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার দিন আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে হাবীবুল্লাহ হিসেবে তাশরীফ এনেছেন, সেই দিনকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।     (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৩

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৫

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-২

ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-৩