খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪১

সংখ্যা: ১৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

আর সাধারণ ‘আওয়ামুন্ নাস’ তাদের জন্য আলাদা হুকুম দিয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেন,

 يايها الذين امنوا لاتدخلوا بيوت النبى الا ان يؤذن لكم.

 হে ঈমানদারেরা!

 لاتدخلوا بيوت النبى الا ان يؤذن لكم.

 তোমরা আমার হাবীব, আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুজরা শরীফে অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করবে না। আর ‘আওয়ামুন্ নাস’-এর জন্য বলেন,

 يايها الذين امنوا لاتدخلوا بيوتا غير بيوتكم حتى تستانسوا وتسلموا على اهلها.

 হে ঈমানদাররা! لاتدخلوا بيوتا غير بيوتكم. তোমারা তোমাদের ঘর ছাড়া অন্য লোকের ঘরে প্রবেশ কর না। حتى تستانسوا وتسلموا على اهلها. সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে প্রবেশ কর। সালাম ব্যতীত, অনুমতি ব্যতীত, কারো ঘরে তোমরা প্রবেশ করো না। এখানে আল্লাহ পাক দুই সূরার মধ্যে দু’টা হুকুম করেছেন। এখানে দু’টা আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। একটা হলো সাধারণ লোকের জন্য। তারা সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে যেন প্রবেশ করে। আর একটা আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য খাছ করে নির্দিষ্ট করেছেন। যে, উনার অনুমতি ব্যতীত, কোন মতেই যেন উনার হুজরা শরীফে প্রবেশ না করে। মুফাস্সিরীনে কিরাম যারা, মুহাক্কিক-মুদাক্কিক, ইমাম-মুজতাহিদ, তাঁরা দু’আয়াত শরীফকে দু’দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। যথাঃ একটা ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামুন্ নাসের জন্য অর্থাৎ সাধারণ লোকদের জন্য, তারা সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে। আর একটা আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য করা হয়েছে। এ আয়াত শরীফ যারা নায়িবে নবী, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া, উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী রয়েছেন তাঁদের শানে উনারা পেশ করেছেন। যে, তাঁদের বাড়ীতে প্রবেশ করতে হলে, তাঁদের খাছ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আওয়ামুন্ নাসের জন্য সালাম ও অনুমতির অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এরপরেও যারা উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী, নায়িবে নবী ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া হবেন, তাঁদের গৃহে প্রবেশ করতে হলে আলাদাভাবে বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহ পাক আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য আলাদাভাবে আয়াত শরীফ নাযিল করে দিয়েছেন যার মাধ্যমে নায়িবে নবী, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়াগণকে পার্থক্য করে দেয়া হয়েছে।  কাজেই অনুমতি ব্যতীত, সালাম না দিয়ে, অনুমতি না নিয়ে কারো ঘরে প্রবেশ করা যাবে না। এরপর বলা হয়েছে, যখন তোমরা রাস্তা চলবে, তখন কিভাবে চলবে?

 قل للمؤمنين يغضوا من ابصارهم ويحفظوا فروجهم ذلك ازكى لهم ان الله خبير بما يصنعون وقل للمؤمنت يغضضن من ابصارهن ويحفظن فروجهن.

 মু’মিন পুরুষ যারা রয়েছে, তাদেরকে বলে দাও, দৃষ্টি অবনত রেখে, অর্থাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে পথ চলতে হবে এবং নিজের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করবে সেটাই পবিত্রতা অর্থাৎ প্রত্যেকের জন্যই এখানে পবিত্রতা রয়েছে, পরহেযগারী রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক জানেন তারা যা করে। আবার ঠিক মহিলাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা দৃষ্টি নিচু করে চলবে। নিজেদেরকে হিফাযত করবে।  এখন পুরুষ হিফাযত করবে, কি করে হিফাযত করবে? পুরুষ হিফাযত করবে নিজের দৃষ্টিকে, এবং তারা পথে-ঘাটে চলার সময় যেন কোন বেগানা মহিলার সাথে তাদের শরীর স্পর্শ না হয়। সেদিকে তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আর মহিলারা নিজেকে হিফাযত করবে, তাদের দৃষ্টি নিচু রাখবে এবং তাদের নিজেরা নিজেদেরকে বেগানা পুরুষ থেকে সবসময় সরিয়ে রাখবে। সেটাই বলা হয়েছে। পুরুষদের জন্য আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন,

 نهى النبى صلى الله عليه وسلم ان يمثى الرجل بين المراتين.

 আল্লাহ পাক-এর রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষদের নির্দেশ করেছেন, দু-দু’জন মহিলার মধ্য দিয়ে তোমরা হেঁেটানা। দু’জন মহিলা হেঁটে যাচ্ছে তার মাঝ দিয়ে তোমরা হেঁটোনা। এক কিনার দিয়ে হাঁটবে।  আর মহিলাদের জন্য বলা হয়েছে,

 ليس لهم نصيب فى الطريق الا الحئط.

 মহিলাদের জন্য রাস্তায় কোন অংশ নেই। একমাত্র কিনারা ব্যতীত। একমাত্র কিনারা ব্যতীত। মহিলারা রাস্তার এক পাশ দিয়ে অর্থাৎ এক কিনার দিয়ে হাঁটবে। এভাবে সতর্কতার সাথে তারা তাদেরকে হিফাযত করবে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতা। এবং এরপর যেটা বলা হয়েছে, তারা পর্দা ঢেলে দিবে।

 وليضربن بخمرهن على جيوبهن.

 তারা তাদের যে পর্দা রয়েছে বা বোরকা রয়েছে, সে কাপড়টা সিনা পর্যন্ত লম্বা করে দিবে বা ঢেলে দিবে। এর মধ্যে যেন কোন প্রকার ত্রুটি না হয়।  কাপড় ছোট-খাটো হলে, মুখ খুলে রাখবে তা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও কোন কোন মুফাস্সির কোন কোন ব্যক্তি অনেকে বই লিখেছে, পর্দার বই প্রকাশ করেছে, সেখানে তারা লিখেছে সাধারণভাবে

 ولايبدين زينتهن الاما ظهر منها.

 এর ব্যাখ্যায় তারা বলেছে, চেহারা মুখ, হাতের কবজী থেকে অতিরিক্ত আর পায়ের গীরা থেকে নীচে যা রয়েছে তা বের করা জায়িয রয়েছে।  মূলতঃ ব্যাখ্যাটা শুদ্ধ নয়। ব্যাখ্যাটা হবে, নামাযের জন্য, নামাযের সময় মহিলাদের জন্য তাদের চেহারা খোলা জায়িয রয়েছে। হাতের কবজীর অতিরিক্ত আঙ্গুলগুলি খোলা রাখা জায়িয রয়েছে। পায়ের গীরার নীচের দিকে যা কিছু রয়েছে সেটা খোলা জায়িয রয়েছে। কিন্তু নামায ব্যতীত যখন কোন বেগানা পুরুষের সামনে চলবে রাস্তা-ঘাটে হাঁটবে তখন তার কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সে বের করতে পারবে না। সম্পূর্ণটা সে ঢেকে রাখবে। সেটাই বলা হয়েছে,

 وليضربن بخمرهن على جيوبهن.

 তারা যেন তাদের পর্দাটাকে, কাপড়টাকে তাদের সিনা পর্যন্ত ঢেলে দেয়। অর্থাৎ ঢেকে দেয়, যার ফলে সিনা পর্যন্ত কাপড় মাথা থেকে নেমে গেলে কিছুই দেখা যাবেনা, সামনে পিছনে দেখা যাবে না। পুরুষও দেখবে না, মহিলাও দেখবে না। এবং

ولايبدين زينتهن الاما ظهر منها.

 তোমরা তোমাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ করনা, তবে যেটা আপছে আপ বের হয়ে যায়। অর্থাৎ বোরকা পরেও, কাপড় পরেও, চাদর গায়ে দিয়েও চলার সময় একটা মানুষের আকার-আকৃতি, চালচলন লক্ষ্য করা যায়। যদি কেউ সেটা করে, আল্লাহ পাক যেটা বলেছেন, সেটা তোমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও যতটুকু প্রকাশ পায় সেটা গুনাহ্ হবে না। ইচ্ছাকৃত যদি কেউ আট্শাট্ কাপড় পরে চলে, আট্সাট্ বোরকা পরে, অথবা কিছু চালচনের মধ্যে অঙ্গ-ভঙ্গি করে তাহলে সেটা কঠিন ও শক্ত গুনাহ্ হবে। সেটা সে করতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবে সে তার শরীরে এত কাপড় প্যাঁচাবে যাতে তার আকার-আকৃতি বোঝা না যায়। শুধু এতটুকু বোঝা যাবে, সে একজন মহিলা। পর্দা অবস্থায় সে রাস্তা চলছে অর্থাৎ তার অঙ্গ-ভঙ্গি, আচার-আচরণ, আকার-আকৃতি, ছূরত কোনটাই বোঝা যাবেনা। এতটুকু তাকে পর্দা করতে হবে। সেটাই আল্লাহ পাক বলে দিয়েছেন। আরো বলেছেন,

 ولايضربن بارجلهن ليعلم ما يخفين من زينتهن.

 তোমরা এমনভাবে হেঁটো না। অর্থাৎ হাঁটার বর্ণনা দিয়েছেন। যে এমনভাবে হাঁটবে না যাতে তোমাদের পদাঘাতের কারণে বা পা মাটিতে মাড়ার কারণে, তোমাদের গুপ্ত সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়ে যায়। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৩৯

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাত রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪০

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪২

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৩

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৫