খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৩

সংখ্যা: ১৬৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাহলে দেখা যাচ্ছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর যাঁরা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মর্যাদার তো শেষ নেই। আল্লাহ পাক কত মর্যাদা দিয়েছেন? বেমেছাল মর্যাদা। উনাদেরকে যারা অনুসরণ করবে, তাঁদেরকে যারা অনুসরণ করবে তাঁদের জন্যও আল্লাহ পাক মাগফিরাত ঘোষণা করে দিয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ)

সেই ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, একাধিক হাদীছ শরীফে একাধিক ঈদের কথা ঘোষণা  করেছেন। এখন একাধিক ঈদ যদি কেউ না মানে তাহলে বলতে হবে সে আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব,  ছাহাবায়ে কিরাম অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ তথা ইসলামকেই পরিপূর্ণ অস্বীকার করল। সে কাট্টা কাফির,  চির  জাহান্নামী হয়ে গেল। (নাঊযুবিল্লাহ)

আর বিশেষ করে যে  হাদীছ শরীফগুলো বর্ণনা করেছেন। তারমধ্যে একটা হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত  উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার ছানা-ছিফতের কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ পাক-এর হাবীব উনাকে ফারূক লক্বব দিয়েছেন। সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী। উনার সম্পর্কে অনেক হাদীছ শরীফ রয়েছে। তাফসীরে বর্ণিত রয়েছে,  হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রস্তাব দেয়ার পর বাইশটারো বেশি বিষয়ে আল্লাহ পাক সরাসরি আয়াত শরীফ নাযিল  করে দিয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ)

আল্লাহ পাক-এর হাবীব তো ওহী ছাড়া চলতেন না।

وما ينطق عن الهوى. ان هو الا وحى يوحى.

ওহী ছাড়া আল্লাহ পাক-এর হাবীব কথাও বলেন না, কাজও করেন না। যেহেতু হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যেটা ভালো বুঝেছেন বলেছেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনে হয় এটা করা প্রয়োজন রয়েছে?

আল্লাহ পাক-এর হাবীব চুপ করে রয়েছেন, আল্লাহ পাক ওহী নাযিল করে দিয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ)

সে জন্য হাদীছ শরীফে এসেছে,

عن ابن عمر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله جعل الحق على لسان عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه وقلبه.

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জবানের মধ্যে হক্ব রেখেছেন এবং অন্তরের মধ্যে। তাই তিনি যা বলতেন তার উপরে ওহী নাযিল  হয়ে যেত।

عن ابى ذر رضى الله تعالى عنه قال ان الله وضع الحق على لسان عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه يقول به.

হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন যে, আল্লাহ পাক হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জবানের মধ্যে হক্ব রেখেছেন। সেটা  দিয়ে তিনি কথা বলতেন।

অর্থাৎ হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  যা বলতেন  সেটা আল্লাহ পাক সমর্থন করতেন ওহী নাযিল করে। এতটুকু তিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর খালিছ ছাহাবী ছিলেন। বেমেছাল ছাহাবী। উনার এত মর্যাদা, মর্তবা। সে জন্য বলা হয়েছে,

عن عقبة بن عامر رضى الله تعالى عنه قال  قال النبى صلى الله عليه وسلم لو كان بعدى نبى لكان عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه.

হযরত উক্ববা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেছেন, আমার পরে যদি কেউ নবী হতেন, সে ব্যক্তিত্ব হতেন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার মত ব্যক্তিত্ব হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, তাতে বর্ণিত রয়েছে জুমুয়ার দিন, আরাফার দিন হচ্ছে ঈদের দিন। তাহলে এটাকে অস্বীকার করলে উনাদের অস্বীকার করা  হলো।

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, জুমুয়ার দিন, আরাফার দিন ঈদের দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জন্য আল্লাহ পক-এর হাবীব দুয়া করেছেন। অনেক দুয়া করেছেন।

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

عن ابن عباس رضى الله نعالى عنه قال ضمنى النبى صلى الله عليه وسلم الى صدره فقال اللهم علمه الحكمة اللهم علمنه الكتاب.

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজে বর্ননা করেন যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব একদিন আমাকে কি করলেন? জড়িয়ে ধরলেন, মুয়ানাকা করলেন, সিনা মুবারকে আমাকে লাগালেন।

الى صدره.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব স্বয়ং নিজে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে ধরে সিনা মুবারকে লাগালেন, লাগিয়ে দুয়া করলেন-

اللهم علمه الحكمة اللهم علمه الكتاب

আল্লাহ পাক! হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হিকমত শিক্ষা দান করুন, কিতাব শিক্ষা দান করুন। সুবহানাল্লাহ।

এবং তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব এ রকম একাধিকবার আমার জন্য দুয়া করেছেন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হযরত ইবনে  আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জন্য দুয়া করেছেন এবং দ্বীনের ছহীহ সমঝের জন্য দুয়া করেছেন।

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال ان النبى صلى الله عليه وسلم دخل الخلاء فو ضعت له وضوء فلما خرج قال من وضع هذا فاخبر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم فقهه فى الدين.

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব একদিন বাইতুল খালাতে প্রবেশ করলেন। আমি তখন বাইরে ওযুর জন্য পানি রেখে দিলাম। উনি খুব বাচ্চা শিশু ছিলেন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব যখন বিদায়  নেন তখন উনার বয়স ইখতিলাফ রয়েছে, তের থেকে পনের। তিনি বললেন, আমি ওযুর জন্য বদনায় পানি রেখে দিলাম। আল্লাহ পাক-এর হাবীব যখন বের হয়ে আসলেন। এসে বললেন,  من وضع هذا এই বদনা পানি কে রেখেছে? উনাকে বলা হলো যে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনি রেখেছেন,

فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم فقهه فى الد ين.

আল্লাহ পাক! হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দান করুন। সুবহানাল্লাহ।

অথচ আল্লাহ পাক-এর হাবীব অন্য হাদীছ শরীফে বলেছেন-

عن معاوية رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من يرد الله به خيرا يفقهه فى الدين وانما انا قاسم والله يعطى.

হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ পাক যার ভালাই চান তাকেই দ্বীনের সমঝ দান করেন। সুবহানাল্লাহ। আরো বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক দাতা আর আমি বণ্টনকারী।

অথচ আল্লাহ পাক-এর হাবীব সরাসরি উনার জন্য দুয়া করলেন যে, আল্লাহ পাক উনাকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দান করুন।

তাহলে কি উনাকে ছহীহ সমঝ দেয়া হয়নি? এটা যদি কেউ বলে যে, উনাকে ছহীহ সমঝ দেয়া হয়নি, সে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। সেই ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করলেন যে, কি?  জুমুয়ার দিন, আরাফার দিনকেও আল্লাহ পাক-এর হাবীব ঈদ হিসাবে ঘোষণা করেছেন।

 (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৯

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১০

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আ’লম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার  ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৫