খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৭

সংখ্যা: ১৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফতওয়া দিয়েছেন, “আহলে কুরআন হচ্ছে কাফির। যারা হাদীছ শরীফ মানেনা, কুরআন শরীফ মানে বলে দাবী করে থাকে, তারা কাফির।”

দেশে-বিদেশে একশ্রেণীর লোক রয়েছে তারা বলে থাকে, “হাদীছ শরীফ মানুষ লিখেছে, হাদীছ শরীফ মানুষ সংকলন করেছে, লিখেছে এটাতে ভুল থাকতে পারে।” (নাউযুবিল্লাহ) “আর কুরআন শরীফ আল্লাহ পাক-এর বাণী তাতে কোন ভুল নেই।” এটাও কুফরী কথা।

কারণ, হাদীছ শরীফ এটাও আল্লাহ পাক-এর কালাম (বাণী)। কুরআন শরীফও আল্লাহ পাক-এর কালাম (বাণী)। তবে হাদীছ শরীফ আর কুরআন শরীফের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে, وحىمتلو এবং   وحى غير متلو কুরআন শরীফ যা নাযিল হয়েছে, হুবহু সেটা তিলাওয়াত করতে হবে। আর হাদীছ শরীফ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভাষায় বলেছেন।

হাদীছ শরীফ লিপিবদ্ধ করেছেন, লিখেছেন, সংকলন করেছেন যে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুম, কুরআন শরীফকেও ঠিক সেই ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম লিপিবদ্ধ করেছেন।

আল্লাহ পাক নিজ হাতে কুরআন শরীফ যমীনে লিখে দিয়ে যাননি। তাহলে কুরআন শরীফে সন্দেহ নেই, হাদীছ শরীফে কেন থাকবে?

আর যদি হাদীছ শরীফে সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে কুরআন শরীফে সন্দেহ থাকতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ)

কারণ, হাদীছ শরীফ যেই ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ লিপিবদ্ধ করেছেন কুরআন শরীফও সেই ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ লিপিবদ্ধ করেছেন। তাহলে একটাতে সন্দেহ হলে আরেকটাতেও সন্দেহ হবে। আল্লাহ পাক তো বলেছেন,

افتؤ منون ببعض الكتب وتكفرون يبعض.

“কিতাবের কিছু মানবে কিছু মানবেনা তা তো হবেনা, পুরোটা মানতে হবে।”

তুমি কুরআন শরীফ মানবে; হাদীছ শরীফ মানবেনা, হাদীছ শরীফ মানবে; কুরআন শরীফ মানবেনা তাহলে তুমি মুনাফিক, তুমি কাফির।

হাদীছ শরীফের গুরুত্ব রয়েছে। আজকাল কিছু লোক রয়েছে ওহাবী, খারিজী, রাফিজী, মু’তাজিলা, বদ মাযহাব, বদ আক্বীদার লোক যারা আসলেই ছূরতান মুসলমান, হাক্বীক্বতান এরা কাফির এবং মুনাফিক।

কারণ, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফের প্রতি যাদের ঈমান নেই, বিশ্বাস নেই, আল্লাহ পাক এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি যাদের মুহব্বত নেই তারা কস্মিনকালেও ঈমানদার হিসেবে আল্লাহ পাক-এর কাছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে সাব্যস্ত হবেনা।

এরা ছূরতান যতই মুসলমান দাবি করুক না কেন হাক্বীক্বতান এরা মুসলমান থেকে খারিজ।

যার জন্য হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে,

عن ابى رافع رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا الفين احد كم متكيا على اريكته يأ تيه الا مر من امرى مما امرت به اونهيت عنه فيقول لاادرى ما وجد نا فى كتاب الله اتبعناه.

হযরত আবু রফে রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম,  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

لا الفين احدكم

আমি যেন তেমাদের কাউকে এ অবস্থায় না পাই! তোমরা খুব সাবধান হয়ে যাও, হে আসমানবাসী, যমীনবাসী! তোমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাও, সাবধান হয়ে যাও, জ্বীন-ইনসান যারা রয়েছ, যারা উম্মত রয়েছ তোমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাও।”

لا الفين احدكم متكيا على اريكته

তোমাদেরকে যেন আমি এই অবস্থায় না পাই, কোন অবস্থায়? তোমরা গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, তোমরা বিরাট আমীর ওমরাহ সেজে, বিরাট বড় মুফতী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির সেজে, জ্ঞানী ব্যক্তির রূপ ধারণ করে, ইসলামের ধারক বাহক সেজে তোমরা কি বলবে? যখন তোমাদের কাছে কোন হাদীছ শরীফ আসবে ,

يا قيه الامر من امرى مما امرت به اونهيت عنه.

তোমাদের কাছে যখন আমার নির্দেশসমূহের কোন নির্দেশ আসবে, যাতে আমি আদেশ অথবা নিষেধ করেছি অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেটা আদেশ করেছেন

অথবা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেটা নিষেধ করেছেন এমন কোন আদেশ-নিষেধ যখন তোমাদের কাছে আসবে তোমরা মুফতী, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির সেজে শায়খুল হাদীছ, শায়খুত তাফসীর, মুফাসসিরে কুরআন ইত্যাদি অনেক কিছু সেজে, খতীব সেজে, ইসলামী চিন্তাবিদ সেজে গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে তখন তোমরা বলবে,

কুরআন শরীফে যেটা পেয়েছি, শুধু সেটাই পালন করব অন্যটা আমরা মানব না। لا ادرى আমরা সেটা সম্মন্ধে জানি না, আমরা সেটা মানব না আমরা শুধু কুরআন শরীফে যা পেয়েছি সেটাই মানব। (নাউযুবিল্লাহ)

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা এ রকম হয়ো না। আমি তোমাদের যেন এই অবস্থায় না পাই।”

যে, তোমরা বলো,

ما وجد نا فى كتاب الله اتبعناه

“আমরা আল্লাহ পাক-এর কিতাবে কুরআন শরীফে যা পেয়েছি সেটাই শুধু মানব।” (নাউযুবিল্লাহ)

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যারা আহলে কুরআন তারা কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। তোমাদের এই অবস্থায় যেন না পাই। কাজেই, হাদীছ শরীফ অবশ্যই তোমাদেরকে মানতে হবে। কারণ, আল্লাহ পাকও সেটা বলেছেন।

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে কি বলেন?

وما اتكم الر سول قخذوه وما نهكم عنه فا نتهوا واتقوا الله ان الله شد يد العقاب.

আল্লাহ পাক বলেন,

وما اتكم الرسول فخذوه

“আমার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা এনেছেন, সেটা আঁকড়িয়ে ধর।

وما نهكم عنه فا نتهوا

আমার রসূল যা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাক।

واتقوا الله

এ বিষয়ে আল্লাহ পাককে ভয় কর।

ان الله شد يد العقاب

নিশ্চয়ই, আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা। এ বিষয় তোমরা সাবধান হয়ে যাও, সতর্ক হয়ে যাও।”

আল্লাহ পাক নিজেই বলেন, ইরশাদ করেন, আমার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা এনেছেন সেটা আঁকড়িয়ে ধর, আমার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক।

এ বিষয়ে আল্লাহ পাককে ভয় কর। অর্থাৎ আমার আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে আল্লাহ পাককে ভয় কর। আমার আদেশ-নিষেধ না পালন করলে আল্লাহ পাক তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন, কঠিন শাস্তি দিবেন, তোমাদেরকে জাহান্নামে দিবেন।

ان الله شديد العقاب.

এখানে আল্লাহ পাক বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা।”

(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৩

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৫

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-২

ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-৩