খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৬

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

এখন যারা বলে থাকে, “শরীয়তে অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসে এই দু’ঈদ ব্যতীত কোন ঈদ নেই”- এখানেও তাদের কথাটা ভুল বলে প্রমাণিত হলো, মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলো। এরা কাট্টা মিথ্যুক। এরা মিথ্যা কথা বলছে, মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে, তারা মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণিত হলো।

এখন বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, ত্বীবী, তালিকুছ ছবীহ এ ধরনের যত হাদীছ শরীফের কিতাবাদী রয়েছে, প্রত্যেক হাদীছ শরীফের কিতাবেই এটা রয়েছে। এমনকি তাফসীরের মধ্যেও রয়েছে। এ আয়াত শরীফের তাফসীরেও সমস্ত বড় বড় তাফসীর যা রয়েছে, মাশহুর তাফসীর, বিশ্বখ্যাত তাফসীর সেখানে একই কথা বর্ণিত রয়েছে। যে, মুসলমানদের জন্য জুমুয়ার দিন এবং আরাফার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)

তাহলে দু’ঈদ ব্যতীত দেখা গেল, জুমুয়ার দিনকেও আমরা ঈদের দিন হিসেবে পাচ্ছি হাদীছ শরীফের মাধ্যম দিয়ে। আরাফার দিনকেও ঈদের দিন হিসেবে পাচ্ছি। এখন আরাফার দিন তো বছরে একদিন। আরাফার দিন হচ্ছে হজ্জের যেদিন সেদিনকে বলা হয় অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্জকে আরাফার দিন বলা হয়। সেটা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন।

আর জুমুয়ার দিন কিন্তু বছরে একদিন নয়। আরবী বৎসর হিসেবে যদি গণনা করা হয়, আরবী বৎসর ইংরেজী ও বাংলা থেকে কিন্তু কিছু কম হয়ে থাকে- ৩৫৪, ৩৫৫, ৩৫৬ দিন হয়ে থাকে।

অর্থাৎ ইংরেজীতে যেমন ৫২ সপ্তাহে এক বৎসর হয়ে থাকে সাধারণত। আরবীতে সেটা নয়। আরবীতে ৫০ অথবা ৫১ সপ্তাহ হয়ে থাকে। সাধারণত ৫০ সপ্তাহে এক বৎসর হয়। অতিরিক্ত কয়েক দিন হতে পারে। চার, পাঁচ, ছয় দিন হতে পারে। এখন যদি ৫০ সপ্তাহ হয়ে থাকে আরবীতে, আরবী বৎসরে তাহলে ৫০টা জুমুয়া হবে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, ৫০টা জুমুয়াতে ৫০টা ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য, এক বৎসরে কমপক্ষে এখানে ৫০টা ঈদ পাওয়া যাচ্ছে। আরাফার দিন ধরলে হচ্ছে আরো একটা অর্থাৎ ৫১টা হয়ে গেলো।

এরপর হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে, কি বর্ণিত রয়েছে?

قال ر سول الله صلى الله عليه وسلم لكل مؤ من فى كل شهر ار بعة اعياد اوخمسة اعياد.

আল্লাহ পাক এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- দেখ, প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানের জন্যে প্রতি মাসে চারটা অথবা পাঁচটা ঈদ রয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইরশাদ, হাদীছ শরীফে রয়েছে, বিশ্বখ্যাত ফিক্বাহ, ফতওয়া, তাফসীরে বর্ণিত রয়েছে, “যা আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানের জন্যে প্রতি মাসে চারটা অথবা পাঁচটা ঈদ রয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)

اربعة اعياد اوخمسة اعياد

এটা আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ। যে, প্রতি মাসে মু’মিনের জন্যে চারটা অথবা পাঁচটা ঈদ রয়েছে। এই চারটা অথবা পাঁচটা ঈদ হচ্ছে সোমবার দিন। এখন চারটা বা পাঁচটা সোমবারে চারটা বা পাঁচটা ঈদ। কাজেই, শুক্রবার বা জুমুয়ার দিন যেমন এক বৎসরে ৫০টা কমপক্ষে। তেমনি সোমবারও ৫০টা হবে। এখন ৫০+৫০ = ১০০ হয়ে গেল। আরাফার দিন একদিন = ১০১টা হয়ে গেলো।

অতএব, যারা বলে থাকে, “বৎসরে দু’টা ঈদ ছাড়া আর ঈদ নেই শরীয়তে, তৃতীয় ঈদ আসলো কোথা থেকে? এটা কোন ঈদ?”- তাহলে দেখা যাচ্ছে, এরা আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল, মুর্খ। এরা হাদীছ শরীফ সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ।

কারণ, মাশহুর হাদীছ শরীফের কিতাবের মধ্যে রয়েছে, “জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দিনকে ঈদের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। আরাফার দিনকে ঈদের দিন ঘোষণা করা হয়েছে।” তাহলে এখানে কমপক্ষে আমরা ১০১টা ঈদ পাচ্ছি। এরপরে আবার বুখারী শরীফে বর্ণিত রয়েছে,

عن ابى هر يرة رضى الله تعا لى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للصا ئم فر حتان فر حة عند فطره وفر حة عند لقاء ربه.

এটা ‘মুত্তাফাকুন আলাইহি’ বুখারী, মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

للصا ئم فر حتان

রোযাদারের জন্য দু’টা খুশী রয়েছে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন, এখানে দু’টা ঈদ রয়েছে, দুটা খুশী দু’টা ঈদ রয়েছে। কখন,

عند فطره وعند لقاء ربه.

একটা হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর সাক্ষাতে যখন কোন রোযাদার যাবে তখন তার খুশী হবে, ঈদ হবে সেটা। (সুবহানাল্লাহ)

ইন্তেকালের পরে বান্দা যখন, রোযাদার যখন আল্লাহ পাক-এর সাক্ষাতে যাবে তখন আল্লাহ পাক-এর সাক্ষাতে গেলে সেটা তার জন্য ঈদের দিন, খুশীর দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)

অনেক হাদীছ শরীফে রোযাদারের অনেক ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে রোযাদারের জন্য জান্নাতে একটা আলাদা দরজা থাকবে,

فى الجنة ثما نية ابواب منها باب يسمى الريان.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জান্নাতের মধ্যে আটটা দরজা থাকবে তার মধ্যে একটা দরজার নাম হলো রাইয়ান।

لا يد خله فيه الا الصا ئم

সেখানে প্রবেশ করবেনা রোযাদার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি। অর্থাৎ সেই রাইয়ান যে জান্নাতের দরজাটা রয়েছে, সেই দরজা দিয়ে একমাত্র রোযাদার ব্যক্তি প্রবেশ করবে। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তার জন্য খুশীর ব্যবস্থা করা হবে। এ হলো একটা বিষয়।

আরেকটা হচ্ছে عند فطره ফিত্রের সময়, ইফতারের সময়। এখন ইফতার কখন করে? যেটা হাদীছ, তাফসীরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শরীয়তে ইফতারি দু’প্রকার। ইফতারিয়ে ছোগরা, ইফতারিয়ে কোব্রা। অর্থাৎ, একটা ছোট ইফতারি, একটা বড় ইফতারি। বড় ইফতারি হচ্ছে ঈদুল ফিত্র। একমাস রোযা রাখার পর যে ইফতারের দিন বলা হয়েছে, ঈদুল ফিত্র খুশীর দিন যেটা, সেটা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। আর ছোগরা যেটা ছোট ইফতার বলা হয়েছে। প্রতিদিন রোযাদার রোযা রেখে মাগরিবের সময় সে যে ইফতার করে থাকে, সেটা ইফতারিয়ে ছোগ্রা। সেটাকেও তার জন্য খুশীর দিন বলা হয়েছে। (সুবহানাল্লাহ)

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এক বৎসরে রোযা হয় ২৯ বা ৩০ দিন। রোযার দিন মুসলমানদের জন্য খুশীর দিন। এখন ইফতারির সময়টা খুশীর সময়। এক বৎসরে ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে রোযা। তাহলে রোযাদারের যে ইফতারির সময়, সেখানে রোযাদারের জন্য খুশীর সময় রয়েছে, ইফতারিয়ে ছোগরা। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, যদি খুশীর দিন ধরা হয়, ঈদের দিন ধরা হয়, তাহলে জুমুয়া এবং সোমবার মিলে ১০০ দিন, আরাফার দিন একদিন। আর রমাদ্বান শরীফের রোযা যদি আমরা ২৯ দিনও ধরি তাহলে ১৩০ দিন হয়ে যায় কমপক্ষে। ১৩০ দিন হয়ে যায় কমপক্ষে খুশীর দিন, ঈদের দিন।

তাহলে যারা বলে থাকে, যে সমস্ত লোকেরা বলে থাকে, বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা, খারিজী, রাফিজী, মু’তাজিলা, ওহাবী যারা রয়েছে, যারা আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, ইলম্-কালাম যাদের নেই বললেই চলে, যাদের অন্তরে নিফাকী রয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি যাদের কোন মুহব্বত নেই, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, চু-চেরা, কিল ও কাল রয়েছে, এই শ্রেণীর লোকেরা বলে থাকে, “শরীয়তে ঈদ রয়েছে, দু’টা। তৃতীয় ঈদ কোথা থেকে আসলো?”

আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, হাদীছ শরীফে অর্থাৎ বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফের কিতাবে রয়েছে, যেই সমস্ত কিতাবগুলো তারাও মেনে থাকে। কাজেই এই সমস্ত কিতাবাদির মধ্যে যেমন রয়েছে, “ঈদুল ফিত্র ও ঈদুল আদ্বহা’র কথা বা বর্ণনা তেমন এই দু’ঈদ ব্যতীতও আরো শতাধিক ঈদের কথা বা বর্ণনা রয়েছে।” অর্থাৎ রোযার ঈদ এবং কুরবানীর ঈদ যেমন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত ঠিক, এই ঈদগুলোও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এখন এই ঈদগুলো অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। আর হাদীছ শরীফ অস্বীকার করলে কাট্টা কাফির হয়ে যায়।

(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৩

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম-৪৫

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম,ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-২

ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-৩