যুগের আবূ যাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০

সংখ্যা: ১৩৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

          মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)         উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে  আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।”      মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক।            অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব,ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

  (৬)           মিথ্যাবাদী, মুনাফিকের দল সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য আরো মিথ্যা অপপ্রচার করে থাকে যে, “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নাকি স্বপ্নে জানতে পেরেছেন যে, ‘তিনি আওলাদে রসূল। এর আগে তিনি জানতেন না যে, তিনি আওলাদে রসূল।”          মূলতঃ মিথ্যাবাদী, মুনাফিক ও জাহিলদের উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট বৈ কিছুই নয়।  কারণ, হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার নামে মিথ্যা বললো, সে যেন পৃথিবীতে থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নিল।” অতএব, কেউ ‘আওলাদে রসূল’ বলে নিজেকে প্রকাশ করলে বিনা চুঁ-চেরায় তা মেনে নেয়া উচিত। সে ব্যাপারে কোন দলীল-প্রমাণ তলব করা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করলে বিষয়টি আরো ভালভাবে বোধগম্য হবে।

সমরকন্দের এক মহিলা যিনি ‘আওলাদে রসূল’ ছিলেন। তিনি একবার অভাব-অনটনের কারণে সে এলাকার কাজী ছাহেবের নিকট গিয়ে বললেন, ‘হে কাজী ছাহেব! আমি একজন আওলাদে রসূল। আমি অভাবে আছি, তাই আপনার নিকট এসেছি কিছু সাহায্যের জন্য। আপনি আমাকে কিছু সাহায্য করুন।’কাজী ছাহেব বললো, ‘আপনি যে ‘আওলাদে রসূল’  এর কোন প্রমাণ আপনার নিকট আছে কি?’ মহিলা বললো, ‘সত্যিই আমি ‘আওলাদে রসূল।’ কাজী ছাহেব বললো, ‘না, বিনা দলীলে আমি আপনাকে ‘আওলাদে রসূল’ মেনে নিতে পারিনা। আর আমার পক্ষে আপনাকে সাহায্য করাও সম্ভব নয়।’ মহিলা কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে চলে গেল। রাস্তায় সাক্ষাত হলো এক বিধর্মীর সাথে। লোকটি মহিলাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনি কাঁদছেন কেন?’ মহিলা বললো, ‘আমি অভাবের কারণে কাজী ছাহেবের নিকট গিয়ে বললাম, আমি আওলাদে রসূল আমাকে কিছু সাহায্য করুন। কাজী ছাহেব আমার নিকট ‘আওলাদে রসূল’ হওয়ার প্রমাণ তলব করল। প্রমাণ না দিতে পারায় সে আমাকে ফিরিয়ে দিল।’ তখন লোকটি বললো, ‘আপনি চিন্তিত হবেন না। আমি যদিও বিধর্মী তবে ‘আওলাদে রসূলগণকে’ আমি মুহব্বত ও সম্মান করি। আপনার যতদিন ইচ্ছা এবং আপনি এবং আপনার আওলাদগণ আমার এখানেই থাকবেন। আপনার সমস্ত ব্যয়ভার আমিই বহন করব।’ এদিকে সেদিন রাত্রিবেলায় কাজী ছাহেব স্বপ্নে দেখে যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেকগুলো বালাখানাসহ দাঁড়িয়ে আছেন। কাজী ছাহেব বললো, ‘বালাখানাগুলো কাদের জন্য।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘বালাখানাগুলো মুসলমানদের জন্য।’ কাজী ছাহেব বললো, ‘আমিও তো মুসলমান। দয়া করে আমাকে একটি বালাখানা দিন।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তুমি যে মুসলমান তার কোন দলীল-প্রমাণ আছে কি? তুমি যদি বিনা দলীলে আমার ‘আওলাদকে’ মেনে নিতে ও বিশ্বাস করতে না পার তবে আমি তোমাকে বিনা দলীলে কিভাবে ‘মুসলমান’ মেনে নিতে পারি?’ কাজেই কেউ যদি নিজেকে ‘আওলাদে রসূল’ বলে প্রকাশ করে তবে সকলের উচিত তা বিনা চুঁ-চেরায় বিশ্বাস করা বা মেনে নেয়। তবে হ্যাঁ, সে যদি মিথ্যা দাবী করে থাকে তবে তাকে কঠিন আযাব ভোগ করতে হবে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে নিজ বংশ পরিবর্তন করলো সে জাহান্নামী।”  (চলবে) -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ