গণতন্ত্র ও নারী নেতৃত্ব’ দু’টো-ই মুসলিম বিশ্বের জন্য মার্কিনী মূলো

সংখ্যা: ১৪৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রেসিডেন্ট বুশ দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় এসে মুসলিম বিশ্বে গণতান্ত্রায়নের সুপারিশ নয়, সরাসরি নির্দেশেই ক্ষ্যান্ত থাকেননি বরং রীতিমত হুঙ্কার ছেড়েছেন। সৌদি আবর, মিশরকে প্রকাশ্য হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ভাষণ জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্বে যেসব দেশের শাসকরা তাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও চর্চার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে না, তাদের সাথে ওয়াশিংটনের সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কোন সম্ভাবনা নেই।” আর সুসম্পর্ক না রাখলে কি হবে- ইরাক, আফগানিস্তান করে ওয়াশিংটন তা মুসলিম বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে বটে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫ ঈসায়ী সৌদি আরবে গণতান্ত্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথম নির্বাচন হয়। যদিও সে নির্বাচনে মহিলা ভোটাধিকার স্থগিত থাকে। কিন্তু চলতে থাকে প্রক্রিয়া ও প্রচেষ্টা। এ ধারাবাহিকতায় গত ৩রা মে ২০০৫ ঈসায়ী একজন সিনিয়র সৌদি কর্মকর্তা আদেল আল যোবায়ের বলেন, রক্ষনশীল সৌদি আরবে মোটামুটি সবাই ঐক্যমতে পৌঁছে গেছেন যে, মহিলাদের ভোট দেয়ার অধিকার থাকতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেছেন, তিনি আগামীতে কোন এক সুযোগে মহিলাদের ভোটাধিকারের বিষয়টি অনুমোদন করবেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সর্বত্র ঐক্যমত হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে মহিলারা পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে ভোট দিবেন। এদিকে কুয়েতেও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গড়া এজেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদ রোলা দাশতি নারী ভোটাধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। গত ৭ই এপ্রিল ২০০৫ ঈসায়ী তারা পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট ও তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েত- যার তিন পাশে রয়েছে শক্তিশালী সৌদি আরব, ইরাক ও ইরান। ২৭ লাখ অধিবাসীর এ দেশটির প্রধান ধর্ম ইসলাম। আরবি ভাষাভাষীর এ দেশের নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন হয়েছে বিতর্ক। ১৯৯৯ সালে কুয়েতের আমির শেখ জাবির আল আহমেদ আল সাবাহ পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সমান রাজনৈতিক অধিকার দেয়ার লক্ষ্যে একটি ডিক্রি জারি করেন। গত মাসে কুয়েতের নারীরা দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার লাভ করেছেন। সদ্য পাওয়া এ অধিকারের শক্তিশালী প্রকাশ তারা ঘটাতে পারবেন ২০০৭ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে। তবে কুয়েতের নারীরা যে রাজনৈতিক অধিকার পেতে শুরু করেছেন, তার দৃষ্টান্ত ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। যেমন, সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৌর পরিষদে নারী সদস্য নির্বাচনের বিষয়টি। এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে। কুয়েতের ১৬ সদস্যের পৌর পরিষদে এবার যে ছয়জনকে সরাসরি নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দু’জনই হচ্ছেন নারী সদস্য। উল্লেখ্য, পৌর পরিষদে অপর ১০ পুরুষ সদস্য গত ২ জুনের নির্বাচনের মাধ্যমে মনোনীত হয়েছেন। কুয়েতের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ফয়সাল আল হাজ্জি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের গত রোববারের সাপ্তাহিক বৈঠকে দু’জন নারীকে পৌর পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। যা হচ্ছে কুয়েতের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ঘটনা।’ কুয়েতের বার্তা সংস্থা কুনা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচিত দু’সদস্যের একজন হচ্ছেন ফাতিমা আল সাবাহ। যিনি ক্ষমতাসীন পরিবারের একজন সদস্য। আর অপরজন হচ্ছেন ফৌজিয়া আল বাহার নামের একজন প্রকৌশলী। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে কুয়েতের নারীরা ২০০৭ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এবং ২০০৯ সালের পৌর নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। বিবিসির উপসাগরীয় প্রতিনিধি জুলিয়া হুইলার জানান, পার্লামেন্টে উপজাতীয় ও ইসলামিস্ট অংশের শক্তিশালী বিরোধিতার মুখে কুয়েতের আমির নারীর ভোটাধিকারের বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। আর গত রোববারের মন্ত্রিপরিষদের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন, ওমান ও কাতারের পাশাপাশি কুয়েতও নারীদের ভোট দেয়ার এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার প্রদানকারীদের তালিকায় যুক্ত হলো।- বিবিসি অনলাইন।” শুধু তাই নয়, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা মাসুমা আল মুবারককে পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। অর্থাৎ এভাবেই প্রথম মহিলা মন্ত্রী করা হলো। এদিকে মালেশিয়ায় উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কেলান্টান রাজ্যে যেখানে কিছু ইসলামী ভাবধারা বিদ্যমান সেখান থেকেও তা উঠিয়ে দেবার পায়তারা চলছৈ। সেখানে মুসলিম মহিলাদের বোরখা ও স্কার্ফ ছিল বাধ্যতামূলক। গত বছরের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত এই রাজ্যের ক্ষমতাশীন ইসলামিক পার্টি মহিলাদের কোনো রাজনৈতিক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়নি। সম্প্রতি দলটি এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং ৯ জন মহিলা প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সুযোগ দেয়। দলটির ব্যাপারে কোনো কোনো মহলে যে উদ্বেগ রয়েছে সেটা দূর করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলা হয়। মহল বলতে যে বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার কথা এসে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়ায়? আমেরিকা এখন সমানতালে দু’টো বিষয় মুসলিম বিশ্বের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। এক. গণতন্ত্র, দুই. মহিলা নেতৃত্ব।  উল্লেখ্য, এ দু’টো যে আমেরিকা মুসলিম বিশ্বের অগ্রগতি সাধনে চাইছে তা আদৌ নয়। বরং আমেরিকা মনে করছে যে, এ দু’য়ের মাধ্যমে মুসলিম দেশগুলো থেকে খুব সহজেই ইসলামী ভাবধারা উঠিয়ে দেয়া সম্ভব। দলাদলির গ্যাড়াকলে ফেলে মুসলমানদের শত বিভক্ত করা সম্ভব। নারী নেতৃত্বের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে উদ্ভৃত বিশৃঙ্খলা, অরাজাকতা আর অনৈসলামিক আবহের প্রেক্ষিতে মুসলমানদের অধীনস্থ ও অপদস্থ করে রাখা সম্ভব। মূলত: গণতন্ত্র ও নারী নেতৃত্ব এ দু’টো হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের জন্য মার্কিনী মুলো। কাজেই এ মূলোর পিছনে দুটো মার্কিনী গাধা সাজা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যার কিছুটা অনুধাবন করেছিলেন মাহাথির মুহম্মদ। তিনি বলেছিলেন তৃতীয় বিশ্বের জন্য গণতন্ত্র আদৌ সুখকর নয়।

-খন্দকার মুহম্মদ মুসলিম, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন