চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

সংখ্যা: ১২২তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ফের ওয়াদা ভঙ্গ করে তারা সময়ের সর্ব নিকৃষ্ট উলামায়ে ‘ছূ’ হিসেবে সাব্যস্ত হলো হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ্ পাক-এর যমীনে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জীব আলিম। আর আল্লাহ্ পাক-এর যমীনে সবচেয়ে মন্দ বা খারাপ হলো নামধারী আলিম; যাদেরকে বলা হয় উলামায়ে ‘ছূ।” পরকালে মুনাফিকদের শাস্তি সবচেয়ে বেশী হবে বা জাহান্নামের গভীর তলদেশে হবে সে সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বর্ণনা রয়েছে। তাহলে উলামায়ে ‘ছূ’দের অবস্থান হবে কোথায়? সেটা একটা প্রশ্ন হতে পারে?

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ‘সব রসূলই যেমন নবী কিন্তু সব নবীই রসূল নয়’ এ ধরণেরই উল্টো একটি রূপ বা দৃষ্টান্ত এখানে বিরাজমান।  অর্থাৎ খোলাসা করে বলতে হয় যে, উলামায়ে ‘ছূ’ই আসলে কাট্টা মুনাফিক, কিন্তু সব মুনাফিক উলামায়ে ‘ছূ’ নাও হতে পারে। মুনাফিক মূর্খও হতে পারে। তবে মুনাফিকের যে বৈশিষ্ট্য সেটা উলামায়ে ‘ছূ’দের মাঝে পুরোই বিদ্যমান থাকে। যেমন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “মুনাফিকের আলামত চারটি। যথা- ১। যখন সে কথা বলে তখন সে মিথ্যা কথা বলে, ২। যখন ওয়াদা করে তখন ভঙ্গ করে, ৩। যখন তার নিকট কোন আমানত রাখা হয়, সেটার খিয়ানত করে, ৪। কারো সাথে বিবাধ হলে ফ্যাসাদ বাধায়, গালি-গালাজ করে।

পাঠক! উপরিল্লিখিত সব কয়টি বৈশিষ্ট্যই হুবহু পাওয়া যায় বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘ছূ’দের মাঝে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ঝাউতলা এলাকার সাম্প্রতিক কালের ঘটনা-প্রবাহও তা প্রমাণ করে। গত ১২ই সেপ্টেম্বর/২০০৩ ঈসায়ী তারা চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও খুলশী এলাকার তথাকথিত জাগ্রত তৌহিদী জনতার ব্যানারে রাজারবাগ শরীফের প্রতি ভণ্ডামী ও প্রতারণার তোহমত দিয়ে তথা অপবাদ রটনা করে তথাকথিত এক সম্মেলন  ডাকে।   প্রথমতঃ তারা বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যিনি নিজে কেবল সুক্ষ্মতিসূক্ষ্ম সুন্নতের অনুসারীই নন বরং যার উছীলায় বর্তমান যামানায় হাজারো লুপ্ত প্রায় সুন্নত লাখ লাখ মানুষের আমলের মধ্যে এসেছে, যার উছীলায় মানুষ যাবতীয় বেদ্বীনী-বদ্ দ্বীনী আক্বীদা ও আমল থেকে বাঁচতে পেরেছে যিনি উলামায়ে ‘ছূ’দের হাজারো গোমরাহী ও বিদ্য়াতী কার্যকলাপ থেকে আলাদা করে ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত দ্বীন ইসলামকে একশত ভাগ ফুটিয়ে তুলছেন।      যাঁর তরফ থেকে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তাবৎ নাহক্বপন্থীরা যেখানে সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাঁর বিন্দুতম একটা ভুলও প্রমাণ করতে পারলোনা। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ভণ্ডামির অপবাদ রটনা করলে তা যে আল্লাহ্ পাক-এর আরশ কাঁপানোর মত মহা মিথ্যা হয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অর্থাৎ মুনাফিকদের প্রথম বৈশিষ্ট্যঃ ‘যখন কথা বলে মিথ্যা কথা বলে’ এই বদগুণ পাহাড়তলীতে উলামায়ে ‘ছূ’রা যথাযথভাবে দেখিয়েছে। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যঃ ‘মুনাফিক যখন ওয়াদা করে তখন তা ভঙ্গ করে।’ উল্লেখ্য, পাহাড়তলীতে ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে অপবাদ রটানোর ফলে ক্ষোভে ফেটে পরে এলাকাবাসী। তারা এর জোর প্রতিবাদ জানায় এবং উলামায়ে ‘ছূ’দের তথাকথিত সম্মেলন প্রতিহত করতে উদ্যত হয়।      পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের টনক নড়ে। এবং তারা উভয়পক্ষকে ডাকে। অতঃপর প্রশাসনের কাছে যখন রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পর্কে প্রতারণা ও ভণ্ডামির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয় এবং তাদেরকে এ সম্পর্কে কিঞ্চিত প্রমাণ পেশের জন্য বলা হয় তখন তারা লা-জাওয়াব (চুপ) হয়ে যায়। তারা কোনরূপ প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে প্রতারণার ও ভণ্ডামির অভিযোগ আনলেও উলামায়ে ‘ছূ’দেরই প্রতারণা ও ভণ্ডামি প্রশাসনের কাছে জাহির হয়ে পড়ে।          উল্লেখ্য, ১১/০৯/২০০৩ ঈসায়ী তারিখে খুলশী থানায়, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুন্ নূর এবং চট্টগ্রামের ডিসি (নর্থ) মিঞা লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। এতদ্বপ্রেক্ষিতে তারা কাচুমাচু করতে থাকে এবং প্রশাসনের কাছে উল্লেখ করে যে, সারা শহরে তাদের এত হ্যান্ডবিল পোস্টার ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে যে, এখন এমতাবস্থায় যদি তাদের কোনরূপ কোন সভা করতে দেয়া না হয় তবে তাদের লোকজনদের কাছে তারা বিপর্যস্থ হবে, বেকায়দায় পড়বে, অপমানিত হবে, লাঞ্ছিত হবে। তাদের এ করুণ পরিণতির কথা বিবেচনা করে প্রশাসন, চট্টগ্রাম মহানগর আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর নেতৃবর্গের কাছে কি করা যায় জানতে চাইলে নেতৃবর্গ পেশ করেন যে-   ঠিক আছে, তারা সম্মেলন করতে পারবে কিন্তু চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ২/১টি দৈনিকের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এজন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং যেহেতু রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পূর্ণই হক্ব কাজেই তাঁর বিরুদ্ধে কোন অশালীন বক্তব্য দেয়া যাবে না এই মর্মে ওয়াদা করতে হবে।    তখন খারিজী, ওহাবী, জামায়াতীরা মর্মে মর্মে বুঝতে পারে যে, খালি ময়দানে এমনিতেই ফাও ফাও রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নামে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু কার্যতঃ মুখোমুখি বসলে তাদের কিছুই বলার থাকেনা, লা-জাওয়াব হয়ে যেতে হয়। উপরন্তু রাজারবাগ শরীফের মাহাত্ম স্বীকার করে নিজেদের লেজ হারাতে হয়। কিন্তু লেজ হারালেও অন্ততঃ জীবনটা যাতে বাঁচে সেজন্য তারা খুলশী থানায় গত ১১/০৯/২০০৩ ঈসায়ী তারিখে মুচলেকা দেয়- যা পরদিন মুচলেকার শর্ত মুতাবিক চট্টগ্রামের বহুল পরিচিত দৈনিক আজাদী ও দৈনিক পূর্বকোণে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে ছাপাতে বাধ্য হয়। (দৈনিক পূর্বকোণ ১২ই সেপ্টেম্বর/২০০৩) বিজ্ঞপ্তি পাহাড়তলী ও খুলশী এলাকার জাগ্রত তৌহিদী জনতার উদ্যোগে ১২ই সেপ্টেম্বর/০৩ অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী মহাসম্মেলন উপলক্ষে যে সমস্ত লিফলেট প্রচার ও বিলি করা হয়েছে তাহাতে রাজারবাগের হুজুর ক্বিবলা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হইয়াছে তাহার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করিতেছি। আমাদের মহাসম্মেলনে রাজারবাগ-এর পীর হুজুর ক্বিবলা এবং অন্যান্য পীর বুজুর্গ সম্বন্ধে কোন অশালীন বক্তব্য প্রদান করা হইবে না। স্বাক্ষর- মোঃ আলী ওছমান, ১১/৯/০৩ সভাপতি- জাগ্রত তৌহিদী জনতা, পাহাড়তলী, খুলশী থানা। (দৈনিক আজাদী, ১২ই সেপ্টেম্বর/২০০৩) প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাহাড়তলী ও খুলশী এলাকার জাগ্রত তৌহিদী জনতার উদ্যোগে ১২ই সেপ্টেম্বর/’০৩ অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী মহাসম্মেলন উপলক্ষে যে সমস্ত লিফলেট প্রচার ও বিলি করা হয়েছে তাহাতে রাজারবাগী হুজুর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হইয়াছে তাহার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করিতেছি। আমাদের মহাসম্মেলনে রাজারবাগী হুজুর  এবং অন্যান্য পীর বুজুর্গ সম্বন্ধে কোন অশালীন বক্তব্য প্রদান করা হইবে না।  স্বাক্ষর- মোঃ আলী উছমান সভাপতি- জাগ্রত তৌহিদী জনতা, পাহাড়তলী, খুলশী থানা

 উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম তথা সারাদেশে সাধারন মানুষ জামায়াতী, খারিজী, ওহাবীদের এই মুচলেকা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ণ করে। তারা মনে করে যে এটি আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত পক্ষের প্রকাশ্য বিজয়।          এবং পাশাপাশি চট্টগ্রামের সকল জামায়াতী, খারিজী, ওহাবী গং তথা তাদের নেতৃবৃন্দ আনোয়ার হুসাইন তাহেরী জাবেরী, শাহ্ কুতুবুদ্দীন, মুফতী এজাহার ইত্যাদির প্রকাশ্য লাঞ্ছনা ও অবমাননা। কেননা, উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ভণ্ডামির তোহমত এনেই তথাকথিত ১২ তারিখের সম্মেলনে তাদের নাম তাদের প্রচারিত লিফলেটে,  পোস্টারে, ব্যানারে ছাপিয়েছিল। সেক্ষেত্রে যখন প্রশাসনের কাছে তারা রাজারবাগ শরীফের নামে দেয়া অপবাদ প্রতারণা ও ভণ্ডামি প্রমাণে ব্যার্থ হয় ও থানায় মুচলেকা দেয় এবং পরদিন চট্টগ্রামের সবচেয়ে চালু দৈনিকের মারফত ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন দেশবাসী এটাকে সামগ্রিকভাবে রাজারবাগ শরীফের সব বিরোধীদের প্রকাশ্য পরাজয় ও ক্ষমা স্বীকার বলে গ্রহণ করে নেয়। রাজারবাগ শরীফকেই হক্ব বলে সাব্যস্ত করে এবং তাদেরকেই মুনাফিকরূপে চিহ্নিত করে।      আর তারা যে মূলতঃ খাছ মুনাফিক পরদিন তারা নিজেরাই সে পরিচয় দান করে। উল্লেখ্য, থানায় মুচলেকা দেয়ার পরও চট্টগ্রামের বহুল প্রচলিত দু’টি দৈনিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে কোন অশালীন বক্তব্য প্রদান করবেনা এই মর্মে ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার পরও তারা প্রায় সর্বক্ষণই রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে অনর্গল অসত্য, অশালীন বিষোদগার করেছে। অর্থাৎ ‘মুনাফিক যখন ঝগড়া করে তখন অশালীন শব্দ ব্যবহার করে’ তারা মুনাফিকের এই তৃতীয় শর্তটিও সক্রিয়ভাবে পুরা করেছে। পাশাপাশি উল্লিখিত ওয়াদা পূরণ সাপেক্ষে এলাকার শান্তি রক্ষার আমানত তারা নিয়েছিল। কিন্তু তারা সে আমানত ভঙ্গ করে এলাকার মহা ফিৎনা-ফ্যাসাদ তৈরী করেছে। যে ফিৎনা সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক তাঁর কালাম পাকে ‘সূরা বাক্বারার’ ১৯১ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন, “ফিৎনা কতলের চেয়েও ভয়াবহ।”

অতএব, বলতে হয় যে, এত দিনে অতটা প্রকাশ্যে না হলেও এবারে দেশ ও জাতি গত ১২/০৯/২০০৩ ঈসায়ী তারিখের দৈনিক পূর্ব কোন ও দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে প্রকাশ্যে জানতে পারল যে, আনোয়ার শাহ্ জাবেরী, মুফতী ইজহার, কুতুবুদ্দীন গং এবং তাদের মানসিকতার অন্তর্ভুক্ত তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মাহিউদ্দীন, জাতীয় মসজিদের খতীব গং পুরোটাই আল বাইয়্যিনাত-এর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে কথা বলবেনা বলে ওয়াদা বদ্ধ হয়েছে এবং সে ওয়াদা খেলাফ করে সময়ের সর্ব নিকৃষ্ট মুনাফিক, নিকৃষ্ট উলামায়ে ‘ছূ’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

 -মুনজির মুহম্মদ গিয়াসুদ্দীন, চট্টগ্রাম।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩

প্রসঙ্গ রাজারবাগ শরীফের মাহফিলের বিরোধীতা॥ অখ্যাত বাতিল ফিরকাভুক্ত পত্রিকার প্রপাগান্ডা এবং হক্ব ও বাতিলের ফায়সালা