অন্যান্য নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের উপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনেক শ্রেষ্ঠত্বের মাঝে একটি বিশেষ দিক এই যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দ্বীন প্রচার করেছেন যমীনে একমাত্র তাই পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কামিয়াব হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামতসমূহ পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” (সূরা যায়েদা/৩) উল্লেখ্য, এ আয়াত শরীফ দশম হিজরীতে বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে নাযিল হয়। সেদিন ছিলো আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবদ্দশায় সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক সমাবেশ। প্রায় সোয়া লক্ষ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উপস্থিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সাথে জাবালে রহমতের নিচে স্বীয় উটনী আযবার পিঠে সাওয়ার হয়ে হজ্জের প্রধান রোকন অর্থাৎ আরাফার ময়দানে অবস্থানরত। সে কি মোহনীয় দৃশ্য, অভাবনীয় চিত্র- যা ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। একসময় অপূর্ব এক আবেশে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজিরান মজলিসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কোন্ মাস?’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ‘আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই ভাল জানেন।’ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এটা কি যিলহজ্জ মাস নয়?’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ‘জ্বী, এটা যিলহজ্জ মাস।’ এরপর আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এটা কোন শহর?’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ আবারো বললেন, ‘আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই ভাল জানেন।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এটা মক্কা শহর নয়?’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ‘জ্বী, এটা মক্কা শহর।’ এরপর আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার বললেন, ‘এটা কোন্ দিন?’ আগের মতই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ‘আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভাল জানেন।’ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐহীক কণ্ঠে ইরশাদ কললেন, ‘আজ কি আরাফার দিন নয়?’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ‘জ্বী, আজ আরাফার দিন, আজ ৯ই যিলহজ্জ।’ মুহাদ্দিছ, মুফাস্সিরগণ এ ঘটনার পিছনে অনেক কারণ ব্যক্ত করেছেন। তবে মূল যা তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন তা হলো যে, মহান আল্লাহ পাক যেদিন আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিনই মাসের তরতীব নাম ও বিশেষ মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট হুকুম-আহকাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু জাহিলী যুগে কাফিররা তাদের ইচ্ছেমত মাস পরিবর্তন করত। নিজেদের সুবিধার জন্য যখন যুদ্ধ জায়িয নেই তখনও যুদ্ধ করার জন্য তারা মাসের হেরফের করত। আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে। যার ফলে কাফিররা গোমরাহীতে পতিত হয়। এরা হালাল করে নেয় এক এক বছর এবং হারাম করে নেয় অন্য বছর। যাতে তারা গণনা পূর্ণ করে নেয় আল্লাহ পাক-এর নিষিদ্ধ মাসগুলোর। অতঃপর হালাল করে নেয় আল্লাহ পাক-এর হারামকৃত মাসগুলোকে। তাদের মন্দ কাজগুলো তাদের জন্য শোভনীয় করে দেয়া হলো। আর আল্লাহ পাক কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না।” (সূরা আত্ তওবা/৩৭) আয়াত শরীফে উল্লিখিত জাহিলী যুগের সে বদ প্রথাকে রহিত করেই বিদায় হজ্জের খুৎবায় আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন করে অনাগতকালের মানবজাতির জন্য মাস, দিন, তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। যার অর্থ হলো, পিছনে যা গেছে তা গেছে। কিন্তু তখন থেকে সে হিসাব অনুযায়ীই চলতে হবে। এজন্য বলা হয়েছে যে,মাস, দিন, তারিখের তথা চান্দ্র বছরের হিসাব সংরক্ষণ করা ফরযে কিফায়া এবং সঠিক হিসাব অনুযায়ী রোজা, নামায, হজ্জ করা ফরয। কিন্তু আখিরী যামানায় নব্য এক শ্রেণীর জাহিলরা যেন সেই আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন ঘটাচ্ছে। আর বাকিরা নির্বিবাদে সব মেনে নিচ্ছে। দুঃখজনক এবং অপ্রিয় হলেও সত্য, ঈদ-কুরবানী এমনকি হজ্জ নিয়েও এরকমটি হচ্ছে। ড ড ড ১৯৯৬ সালে হজ্জে গিয়েছিলেন ঢাকার গুলশান নিবাসী ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ হাবিবুল হক ছাহেব। সুবিধা পেয়ে একটু আগেই তিনি হজ্জে গিয়েছিলেন। যিলহজ্জের চাঁদ দেখার সুযোগও তাঁর হয়েছিলো। চাঁদ দেখার প্রেক্ষিতে সে বছর শুক্রবার হজ্জ হবে এটা তার সাথে গোটা সৌদি আরবেরও সবাই বুঝেছিলো। কিন্তু দুই দিন পরেই সরকারী ঘোষণা যে, ‘হজ্জ হবে তার পরের দিন। অর্থাৎ শনিবার।’ হাবীবুল হক ছাহেব বিস্ময়ে বিপর্যস্ত হলেন। তাহলে কি তিনিসহ সারাদেশবাসীর প্রকাশ্যে চাঁদ দেখাকে ভুলে যেতে হবে? অস্বীকার করতে হবে? যেদিন হজ্জ নয় বা হজ্জের দিন পার হবার পর লোক দেখানো হজ্জ করতে হবে? মূলতঃ এ প্রশ্ন সেদিন সবার অন্তরেই জমাট বাঁধা বরফে পরিণত হয়েছিলো। এরপর দৃষ্টান্তটি দিয়েছেন কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমদ। গত ২২শে নভেম্বর ঈদ উদযাপন নিয়ে বিভ্রান্তি শীর্ষক লেখায় দৈনিক সংবাদে তিনি স্মৃতিচারণ করেন যে, ১৯৮২ সালে হজ্জের তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হয়। এবং সেবার বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্টেরও হজ্জের প্রোগ্রাম ছিলো। কিন্তু হজ্জের সাত দিন আগে এই তারিখ এগিয়ে আনার ফলে তখন প্রেসিডেন্টের প্রটোকল, এম্বেসীর অনেক কর্মকর্তাদের ঝামেলা পোহাতে হয়, গোলমাল বেঁধে যায়। মহিউদ্দিন ছাহেব লিখেছেন, “মাত্র সাত/আট দিন পরে হজ্জ। আর তখনই তারিখ বদলানো হলো। ব্যর্থতাটা যে আমাদের নয়, গোলমাল ঘটিয়েছে সৌদিরাই। এ বিষয়টি এরশাদের মার্শাল সরকারের অনেকেই তখন বুঝতে চায়নি। এছাড়া পূর্বঘোষিত (পূর্ব নির্ধারিত?) হজ্জের তারিখটা সৌদিরা এগিয়ে আনেইবা কি করে? তার এমনসব যথার্থ প্রশ্নের জবাব দিতে সৌদিরা কোনকালেই বাধ্য ছিলো না, এখনও বাধ্য নয়।” (দৈনিক সংবাদ ২২ নভেম্বর) মূলতঃ এসব প্রশ্ন সচেতন মহলে অনেকদিন যাবতই ঘুরপাক খাচ্ছিলো। এবং এতদিন সৌদিয়ানরাও তারিখ হেরফের করা কিছুটা হিসাবের মধ্যে রাখতো। কিন্তু এবার তাদের অজান্তেই খেয়ালীপনাটা একটু দেরীতে উদয় হয়। সাধারণত তারা অঙ্ক কষে নিজেদের সুবিধামত যে তারিখ দেয় এবারও সেভাবেই দিয়েছিলো। প্রসঙ্গতঃ বলতে হয়, ইদানিং কোন কোন তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ উদয় হয়েছেন, তারা প্রচার করছেন যে, বর্তমানে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি বের হয়েছে যার দ্বারা নির্ভুলভাবে হিসাব বের করা যাবে যে, চাঁদ কোথায়, কখন উঠবে। বলাবাহুল্য, সৌদিয়ানরাও এ হিসেবেই চাঁদের হিসাব-নিকাশ করে হজ্জের তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু সব মুহাক্কিক-মুদাক্কিক ইমাম ও ফুক্বাহায়ে কিরাম এই মর্মে একমত যে, চাঁদ উঠার সাথে শুধু নয়, শরীয়তের উছূল হলো চাঁদ দেখা। যেমন, অঙ্কের হিসাবে ২৯ তারিখে চাঁদ উঠলেও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ৩০ তারিখেই চাঁদ উঠবে বলে ধরতে হবে। এজন্য হাদীছ শরীফে আরো সাবধান বাণী করা হয়েছে যে, “২৯ তারিখ চাঁদ না দেখলে ৩০ তারিখে চাঁদ দেখলে সেটা একটু মোটা মনে হলেও তাকে যেন কেউ দ্বিতীয়ার চাঁদ না বলে।” ড ড ড ইসলামে গরু, ছাগল হালাল প্রাণী। কিন্তু যেটা মরে যায় বা যাকে গুলি করে মারা হয় অথবা যবেহ না করা হয় তাহলে তা যেমন খাওয়া জায়িয নয় তেমনি চাঁদ আকাশে উঠলেও যদি তা না দেখা যায় তাহলেও তা গ্রহণ করা যাবেনা। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, চাঁদের হিসাব সংরক্ষণ করা ফরযে ক্বিফায়া। সে হিসেবে সৌদি সরকার এবার চাঁদ দেখা নিয়ে যে খামখেয়ালীপনা করল তা সত্যিই গভীর ক্ষোভের বিষয়। গত ১৬ই জানুয়ারী ২০০৫ ঈসায়ী এদেশের পত্রিকায় ছাপা হয়- “চাঁদ দেখায় ভুল, হজ্জ পালিত হবে ১৯শে জানুয়ারী।” পবিত্র হজ্জ আগামী ২০শে জানুয়ারীর পরিবর্তে ১৯শে জানুয়ারী হবে। সৌদিআরব কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার এক ঘোষণায় হজ্জ পূর্ব তারিখ থেকে একদিন আগে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায়। -রয়টার্স। যিলহজ্জ মাস গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে যিলহজ্জ মাস শুরু হয়েছে ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার ১২ জানুয়ারী নয়।” (দৈনিক প্রথম আলো) উল্লেখ্য, ১৫ই জানুয়ারী ২০০৫ ঈসায়ী কমিটি এ সংশোধনী বিবৃতি দেয়। তার মানে হজ্জের মাত্র তিনদিন আগে তারা তারিখ পরিবর্তন করে। আর এতে করেই খোলামেলাভাবে সবাই বুঝতে পারে যে, হজ্জের তারিখ নিয়ে সৌদিয়ানরা খেল-তামাশা করছেন। তারা কুরআন শরীফে উল্লিখিত জাহিলী যুগের মাস-দিন পরিবর্তনের বদ্ রসমের পুনঃ প্রচলন ঘটাচ্ছেন। তারা মনে করছেন যে, শুক্রবার দিন হজ্জ হলে হাজী ছাহেবদের উপঢৌকন দিতে হয়। যদিও এ ধারণা সত্য নয় তারপরেও তারা যে ক’বারই তারিখ পরিবর্তন করেছেন তার প্রায় সবগুলোই ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ তারা তাদের সুবিধার কারণেই তারিখ পাল্টাচ্ছেন। কিন্তু এতে করে যে প্রায় কোটি লোকের জামিউল ইবাদত হজ্জের মত ফরয কাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে তারা আদৌ ভেবে দেখছেন কি? কারণ, হজ্জ একটি ফরয হলেও অনুষঙ্গ হিসেবে তাতে থাকে ১. ইহরাম বাঁধা, ২. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা, ৩. তওয়াফে যিয়ারত করা ইত্যাদি ফরয কাজ এছাড়া ১. মুযদালিফায় অবস্থান করা, ২. সাফা-মারওয়ায় মাঝে সায়ী করা, ৩. কঙ্কর নিক্ষেপ করা, ৪. মাথা মুণ্ডন করা ও কুরবানী দেয়া। এসবই নির্দিষ্ট তারিখের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাহলে নির্দিষ্ট তারিখই যদি ভুল হয় তবে এসব কাজও ভুল হয়। এমনকি ইহরাম খোলাও শুদ্ধ হবে না। কিন্তু সে সবের দিকে আদৌ কোন অনুভূতি, কোন দৃষ্টি, কোন মহলের থেকেই দেখা গেলো না কেউ এ ব্যাপারে টু’ শব্দটি করলো না কেউ এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ জানালো না কেউ কিছু লিখলো না কেউ কোন সমাবেশ করলো না কেউ কোন বিবৃতি দিলো না কেউ জুমুার খুৎবায় কিছু বললো না। বরং জাতীয় নামধারী খতীব বললেন যে, সৌদির হজ্ব পরিবর্তনে আমাদের দেশের ঈদের তারিখে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু মুসলমানদের ফরয হজ্জের ব্যাপারে যে কি হবে সে ব্যাপারে তারা আদৌ চিন্তা করলেন না। কোন প্রতিক্রিয়া দেখালেন না। কারণ, এটি তাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির বেনিফিসিয়ারী কোন বিষয় ছিলো না। এখানে মন্ত্রী, এমপি হওয়ার বা কোন ফায়দা হাছিলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ছিলো না। মূলতঃ এদের লক্ষ্য এখন ইসলাম নয়, ইসলামী আমল নয় বরং শুধু আর শুধু ইসলামের নামে ব্যবসা। তাই ইসলামী আমলের কি হলো, আর না হলো সেদিকে এদের ভ্রুক্ষেপ নেই। এরা বরং সৌদি সাহায্য হারানোর আশঙ্কায় দুরু দুরু বক্ষে কম্পনরত। ওহাবী আক্বীদার প্রচার-প্রসারে নিবেদিত। তাদেরকেই হুযূর হুযূর করতে প্রচেষ্ট। তারা হারামকে হালাল বললেও সেটাকে সাবেত করতে সচেষ্ট। হাদীছ শরীফের ভাষায় ‘এরা বোবা শয়তান ছাড়া কিছুই নয়।’ যারা অন্যায় দেখার পরও কোন প্রতিবাদ জানায় না। স্বার্থ হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকে।
-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১