চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১১

সংখ্যা: ১৭০তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

        (বর্তমান সংখ্যার আলোচনাঃ হিলাল বা বাঁকা চাঁদ দেখতে পাওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে “কৌণিক দূরত্ব” আরও একটি শর্ত। এ সংখ্যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা) একমাত্র অমাবস্যার সময় সূর্য, চন্দ্র পৃথিবী মোটামোটিভাবে একই রেখা বরাবর অবস্থান করে। পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের ঘূর্ণন গতির দরুন চাঁদ তার অবস্থান থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। পৃথিবী পৃষ্ঠের একজন দর্শক যদি তার চোখ থেকে সূর্যে এবং চাঁদে দুটো রেখা কল্পনা করে তবে এই রেখাদ্বয় দর্শকের চোখে যে কোণ তৈরী করবে সেটাই হবে চাঁদ-সূর্যের কৌণিক দূরত্ব। এই কৌণিক দূরত্বকে ইংরেজীতে Angular separation বা Elongation বা Arc of light বলা হয়। অমাবস্যার সময় চাঁদ-সূর্যের কৌণিক ব্যবধান শুন্য ডিগ্রী। অমাবস্যার পর থেকে চাঁদ যত সরে আসতে থাকে সূর্যের সাথে তার কৌণিক ব্যবধানও বাড়তে থাকে। আমরা জানি যে, চাঁদ সূর্য থেকে ৭ ডিগ্রী পরিমাণ সরে আসলেও চাঁদ থেকে সূর্যের কোন প্রতিফলিত আলো পৃথিবীতে এসে পৌছায় না। চাঁদের মধ্যে যে সকল পাহাড়, পবর্ত রয়েছে সেগুলো এই আলো প্রতিফলিত হতে বাঁধার সৃষ্টি করে। তবে এই ৭ ডিগ্রী পরিমাণ সরে আসতে বা কৌণিক দূরত্ব তৈরী করতে চাঁদের সময় লাগে ৮.৫ ঘণ্টা থেকে ১৫.৫ ঘণ্টা প্রায়। অর্থাৎ চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে থাকে, তখন লাগে প্রায় ৮.৫ ঘণ্টা আর চাঁদ যখন পৃথিবীর দূরে থাকে তখন লাগে ১৫.৫ ঘণ্টা প্রায়। ১৯৩০ সালে ফ্রান্সের একজন এস্ট্রোনমার এন্ড্রি ডেনজন প্রথম এই ধারণা দেন যে, চাঁদ সূর্য থেকে ৭ ডিগ্রীর চেয়ে কম সরে থাকলে পৃথিবী থেকে কখনই চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। ৭.২ ডিগ্রী থেকে ৮.৫ ডিগ্রী কোণে চাঁদ, সূর্য থেকে অবস্থান করলে কিছু আলো যদিও প্রতিফলিত হয়, কিন্তু দিগন্তের উজ্জলতার চেয়ে চাঁদের উজ্জলতা কম থাকার দরুণ খালি চোখে চাঁদ দৃশ্যমান হয় না। বর্তমানে বায়ুম-লের দূষণ, আলোর দূষণ এবং ধূলাবালির কারণে চাঁদ সূর্য থেকে ১০-১০.৫ কখনও ১২ ডিগ্রী পর্যন্ত সরে আসলে তারপর চাঁদ দৃশ্যমান হয়। এই পরিমাণ কোণ তৈরী করতে চাঁদের লাগে প্রায় ১৭ থেকে ২১ ঘণ্টা। চাঁদের কৌণিক দূরত্বের পর, চাঁদ দেখতে পাবার জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দিগন্ত রেখার উপর চাঁদের উচ্চতা, চাঁদের পূরুত্ব বা চাঁদের মোটা আলোর ফালি যথেষ্ট পরিমাণ থাকলেও সূর্যাস্তের সময় চাঁদ, দিগন্ত রেখা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ উচ্চতায় না থাকলে চাঁদ দৃশ্যমান হয় না। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ পর্যবেক্ষণ স্থানে যদি চাঁদের কৌণিক দূরত্ব ১২ ডিগ্রী অথবা বেশী হয় এবং দিগন্তরেখা থেকে চাঁদের উচ্চতা নূণ্যতম ১০ ডিগ্রী হয় তবে সে স্থানে চাঁদ দৃশ্যমান হতে পারে যদি মেঘ এবং অন্যান্য উপদান বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। যদি তার একটি মানও কম হয় তখন দেখা যাবার সম্ভাবনা কমে আসবে। যখন Angular separation বা Elongation বা Arc of light -এর Threshold ১০.৫ ডিগ্রী এবং দিগন্ত রেখা থেকে চাঁদের উচ্চতার মান ৮.৫ ডিগ্রীর কম হয় তখন একজন সতর্ক এবং অভিজ্ঞ দর্শকেরও চাঁদ দেখার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। চাঁদ দেখার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে ইলিয়াস-এ এবং R.G.O-67 (Royal Green-Witch observatory) পদ্ধতি দুটো চাঁদের কৌণিক দূরত্ব এবং চাঁদের উচ্চতা এ দুটো মান নিয়ে কাজ করে। আমরা পরবর্তী সংখ্যায় চাঁদ দেখার আরেকটি শর্ত “দিগন্তরেখায় চাঁদের উচ্চতা” এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

১৪২৮ হিজরীর শাওয়াল  মাসের চাঁদের রিপোর্ট

নিউমুন সংঘটিত হবে ১১ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ভোর ৫টায়। (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)। সেদিন দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের অগ্রভাগে এবং পলিনেশিয়ান দ্বীপপূঞ্জে চাঁদ প্রথম দেখা যেতে পারে। এ অঞ্চলগুলো ছাড়া সেদিন পৃথিবীর আর কোথাও চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। ১২ই অক্টোবর, শুক্রবার, চাঁদ দৃশ্যমান হতে পারে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে এবং আফ্রিকাতে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে ১২ই অক্টোবর, শুক্রবার।

বাংলাদেশ ও ১৪২৮ হিজরীর  শাওয়াল মাসের চাঁদের রিপোর্ট

বাংলাদেশে ১২ই অক্টোবর, শুক্রবার চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এবং চাঁদ দেখতে পাবার বিভিন্ন শর্তসমূহ উপযুক্ত অবস্থায় থাকলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিক থেকে দেখা যাবার ক্ষীন আশা রয়েছে। তবে ১৩ই অক্টোবর, শনিবারই বাংলাদেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা বেশী। সেদিন ঢাকায় সূর্য অস্ত যাবে ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং চাঁদ অস্ত যাবে ৬টা ৩৬ মিনিটের দিকে। প্রায় ১ ঘণ্টা সময় চাঁদ আকাশে অবস্থান করবে। ১৩ই অক্টোবর সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ৫৪ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট প্রায় এবং দিগন্তরেখা থেকে চাঁদ ১১.৭ ডিগ্রী উচ্চতায় অবস্থান করবে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাঁদ দেখতে পাবার সম্ভাবনা বেশী।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২