চুড়ান্ত গোমরাহীতে অশুভ পরিণতির আরেকটি মেছাল

সংখ্যা: ১৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক যুগে যুগে দিশেহারা বান্দাদেরকে দিশা দিতে, সিরাতুল মুস্তাকীম বাতলে দিতে, চিরস্থায়ী জান্নাতের পথকে সুগম করে দিতে হযরত আষ্টয়া আলাইহিমুস সালামগণকে যেমন প্রেরণ করেছেন অদ্রুপ আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের মুবারক আহবানকে প্রত্যাখান করে, নিজেদের গোমরাহীতে নিমজ্জিত থেকে হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামহগণের সাথে বেয়াদবী করে, অপবাদ আরোপ করে, বারবারই লানতগ্রস্থ হয়েছে, খোদায়ী আযাব গযবে গ্রেফতার হয়েছে এমন শত শহস্র উদাহরণ কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ এবং নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থে বিদ্যমান রয়েছে। যেগুলো স্বয়ং আল্লাহ পাক রলুল ইজ্জত পরবর্তী বান্দাদের জন্য নছীহত স্বরূপ সংরক্ষণ করেছেন। উক্ত নছীহতগুলো থেকে মূলত যুগে যুগে যে সমস্ত উলিল-আমর দাবীদারগণ থাকবেন তারাই শিক্ষা নিয়ে সে অনুযায়ী তাদের কওম কে তথা জাতিকে শিক্ষা দিয়ে পরিচালিত করার কথা। আফসুস এবং দুঃখের সাথে উপরোক্ত ভূমিকা টানতে হলো সদ্য মৃত ফুরফুরা সিলসিলার গদ্দীনসীন আলা হযরত আব্দুল কাহহার ওরফে আবুল আনসারের পরিশ্রুতি দেখে। বিখ্যাত সিলসিলার সুবিখ্যাত ওলী আল্লাহদের বংশধর কায়েম মোকাম দাবী করার পরও চরম নির্লজ্জ-বেহায়ার মত সারা জীবন রাপ-দাদার আমলের বিপরীত আক্বিদা আমলে অভ্যন্ত হয়ে, কুফরী, শেরেকী, বিদয়াতে লিপ্ত থেকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া সুফী সম্প্রদায়কে গোমরাহীতে লিও করার কাজটি ষোল আনাই পুরা করেছে। তাকে সতর্ক-সাবধান যেমন জামানার মহান মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী করেছেন তদ্রুপ বাপ-দাদার উছিলায় আল্লাহ পাক এর কুন্দরতী ইশারাও তার উপর একাধিকবার প্রয়োগ হয়েছে। যতদূর জানা যায়, বাপ-দাদার নামে ফেরীকরে বেড়াতে বেড়াতে তার পারের বৃদ্ধাংগুলীতে এমন পচন ধরেছিল যে শেষ পর্যন্ত চিরতরে বৃদ্ধাংগুলী কেটে ফেলতে হয়েছে। এর পরও তার কুফরী-শেরেকী গোমরাহীর বিস্তার না থামলে তারই ভাষ্যমতে একদিন সিড়ি দিয়ে রুমে প্রবেশ করার সময় কে যেন অদৃশ্য শক্তি থেকে তাকে এমন এক ধাক্কা মেরেছিল যে অনেকদিন পর্যন্ত লুলা-ল্যাংড়া হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছিল। তখন মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে ওহাবী মত পথে দিক্ষিত অপরিপক্ক ছেলেকে তার কুফরী-শেরেকী তথা গোমরাহীর গদ্দীনসীন ঘোষণা করে। কিছুকাল পরে সে সুস্থ হয়ে আবার চলাফেরা শুরু করে পূর্বের ন্যায় গোমরাহীর প্রচার-প্রসার করতে থাকে। এ অবস্থায় মেহেরপুর গিয়ে দু’জন আউলিয়া রাহবার হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এর শানে চরম বেয়াদবীমূলক কুটুক্তি করে, ঐ রাতেই প্যারালাইসিসে গ্রেফতার হয়ে পড়ে। মাসাধিক কাল এ অবস্থায় পড়ে থাকলে আল্লাহ পাক পুনরায় সদয় হয়ে তাকে তওবা-ইস্তেগফার করার সুযোগ করে দেন। কিন্তু দাড়াতে না দাড়াতেই পুনরায় তার কুফরী-শেরেকী-বিদাতি মতবাদ প্রচারের জন্য কথিত ওয়াজ মাহফিলের জন্য অপতৎপরতা চালাতে থাকে। কিন্তু আল্লাহ পাক তার অব্যহত কু-চেষ্টা চিরতরে নির্মূল করে দিতে তার বদকার জানটিকে কবজ করে নেন। মৃত্যুর পর তার হাক্বীকত সমঝদার সকলের নিকট উন্মোচিত হয়ে পড়ে। চেহেরা নূরানী কিংবা স্বাভাবিক থাকার পরিবর্তে ফ্যাকাসে কালচে বর্ণ ধারণ করে। মাত্র দু’ দিন লাশকে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার পরও মৃত্যু আবুল আনছার এর শরীর থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। আরো আশ্চর্যের কথা হলো একজন সাধারণ মু’মিন মুসলমানের লাশের মাথা হয় স্বাভাবিক সোজা থাকে নতুবা ডান দিকে হেলে পড়ে অথচ কথিত পীর আবুল আনসারের লাশের মাথা ডান দিকে কিবলা মুখি হওয়ার পরিবর্তে বার বার বাম দিকেই কাৎ হয়ে পড়েছিল অবশেষে এ অবস্থায়ই তাকে কবরস্থ করা হয়। কিন্তু সারা জীবন কুফরী-শেরেকী গোমরাহীতে মত্ত হয়ে করবরস্থ হলে এরপর যে কি হবে তা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান নর-নারী মাত্রই জানার কথা।

উল্লেখ্য, তথাকথিত গদ্দীনশীন পীর আবুল আনসার সাহেবের মৃত্যুর কিছু দিন পূর্বে ইসলামের নামে হারাম ভোট-নির্বাচনকারী, চর্মনাই পীর মারা যায়। মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় তার একটি ছবি প্রকাশ করে যাতে পরিষ্কার ভাবে দেখা যায় চর্মনাইর চেহেরার চরম আকৃতি-বিকৃতি ঘটেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঐ অবস্থায় হাসপাতালেই তার মৃত্যু ঘটলে অতি সংগোপনে তার লাশ বরিশালের চরমোনাইতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকেই তার মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তড়িঘড়ি করে চর্মনাইর লাশের গোসল কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণ লোকতো দূরের কথা তার নিজের মুরিদদেরকে পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে লাশের চেহারা দেখতে দেয়া হয়নি বরং কাফনে আবৃত অবস্থায় লাশ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ জানাজার আগে-পরে লাশ দেখানো খাস সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরছালিন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ, ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ এর বিদায়ের পর তাদের মুবারক চেহেরা উপস্থিত সকলেই জিয়ারত লাভ করে ধন্য হন। মুবারক সুন্নতের এমন ধারাবাহিকতা পরিহার করে কি এমন রহস্যময় কারণে চর্মনাইর লাশের চেহারা দেখানো হলো না এ প্রশ্নটি এখনো সাধারণ মানুষ তো বটে চরমোনাইবাসীর অন্তরেও বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

-ইবনে আহমদ, শেওড়াপাড়া, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২