“ছবি তোলার বিষয়ে ভোটার আইডি কার্ডের মত ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য” ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কুপম-কতা, স্ববিরোধিতা এবং রাজনৈতিক সংস্কারের ন্যায় ধর্মের সংস্কারের অপচেষ্টা দেশবাসী ধর্মপ্রাণদের প্রবল প্রতিবাদ ও প্রচ- প্রতিরোধ প্রসঙ্গেঃ

সংখ্যা: ১৬৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ধারণা এদেশবাসীর কাছে নতুন। সম্প্রতি ভোটার তালিকার পাশাপাশি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কথাও বেশ জোরেশারে শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে এ জন্য যে, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সাথে নাগরিক সুবিধার বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকলে কোন ব্যক্তি তার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন এমন ঘোষণাও বেশ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। চরম আপদকালীন সময়ের রিলিফ, ভিজিএফ কার্ড থেকে রেশন, গ্যাস বিল, পানি বিল দেয়া এমনকি শিশুদের ভর্তি পর্যন্ত ন্যাশনাল আইডি কার্ডের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। সহজ কথায় কারো ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় সব নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ কথা হল যে এ লেখার সময়কাল পর্যন্ত (২৮-০৫-০৭) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন ছবি ছাড়া ভোটার কার্ড তৈরি হলেও ছবি ছাড়া আইডি কার্ড তৈরি হবে না। অন্য কথায় যারা ছবি তুলবেন না তারা আইডি কার্ড পাবেন না।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার থেকে আরম্ভ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পর্যন্ত তাদের এতসব ঘোষণা তথা কর্মকা-কে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারের অংশ হিসেবেই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তারা মনে করছেন। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক তত্ত্বই প্রশ্নবিদ্ধ ও অসার এবং অপ্রাসঙ্গিক প্রতিভাত হয়ে  অবশেষে পরিবর্তিত হয়েছে।

বস্তি উচ্ছেদ থেকে আরম্ভ করে রাজনৈতিক নেত্রীদের দেশে ফেরা বা বিদেশে নির্বাসন তত্ত্ব সবই স্থগিত বা পরিবর্তিত হয়েছে।

এসব ঘটনা দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কার তত্ত্ব যে প্রায়ই সত্য ও বাস্তবতা বিমুখ হয়ে ভুল পথে ঘুরপাক খাচ্ছে তা প্রমাণিত হচ্ছে। কিন্তু উল্লেখ করার মত বিষয় হল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচারিত সব তত্ত্বই কিন্তু কল্যাণমূলক সরকারের ধারণা প্রসূত সুশীল কায়দায় হয় না। বরং অনেকটা রাজ-রাজরা বা প্রজা নিপীড়নকারী জমিদারদের-নায়েবদের ঢেড়া পেটানোর মত হালুম করে তার আবির্ভাব ঘটে। অথচ একটু নির্বিকার চিত্ত প্রদর্শনেই প্রমাণিত হয় আসলে তা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছুই নয়।

গত ২৩/০৫/০৭ তারিখে এমনই এক কাগুজে বাঘীয় উচ্চারণ শোনা গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত সাহেবের কণ্ঠে। আগের দিন ইলেকটনিক মিডিয়ায় ব্যক্ত হলেও পরের দিন দৈনিক ভোরের কাগজের বৈকালিক সংস্করণ (২৩-০৫-০৭) “দিনেরশেষে” পত্রিকায় নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত সাহেবের বরাতে পত্রস্থ হয় ‘ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে তার এক বছর জেল ও জরিমানা দুই হতে পারে।’ এক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনের আগে কোন কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফতওয়া দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয় বলে উল্লেখ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত সাহেব এখানে হিসাবে একটি বড় ভুল করে বসেন। তা এই যে, শুধুমাত্র গুটিকয়েক ইসলামের নামধারী রাজনৈতিক দল ধর্মকে ব্যবহার করে যদি ফায়েদা লাভ করতে চায় তাহলে কেবল তাদেরই প্রতিকার করা যায়। কিন্তু তাই বলে তাদেরকে প্রতিহত করতে গিয়ে ধর্মবিরোধী ঘোষণা দিয়ে গোটা ধর্মপ্রাণদের প্রতিরোধ করা যায় না। ধর্মের উপর আঘাত হানা যায় না। ধর্মকে বদলিয়ে দেয়া যায় না। রাজনৈতিক দলের উপর সংস্কার চাপিয়ে দেয়ার মত ধর্মের উপরও সংস্কার চাপিয়ে দিলে ধর্মপ্রাণরা তা বরদাশত করবেনা বা করতে পারে না।

বিশেষতঃ সময়টি, যুগটি যখন মুযাদ্দিদে আ’যমের। এবং বেমেছাল রূহানী শক্তি, বেপরওয়া তাজদীদি কুওওয়াত ও রোব নিয়ে তিনি বহাল তবিয়তে এ সময়ে, এ যুগে, এ পৃথিবীতে বিদ্যমান।

গত ২৫ শে মে শুক্রবার সুন্নতি জামে মসজিদে হাজার হাজার মুছল্লীর সামনে নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি যে বেমেছাল ও ঐতিহাসিক প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন, পরের দিন তা যামানার দৈনন্দিন তাজদীদি মুখপত্র দৈনিক আল ইহসানে ৪ লাইন ব্যাপী ব্যানার হোর্ডি-এ ছাপা হয়ঃ

“নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আহবান”

‘ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে’- ইসলাম বিরোধী এ কাট্টা কুফরী বক্তব্য মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে তীব্র আঘাত হানায় তওবা করতে হবে”

“মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় এ বক্তব্য অবশ্যম্ভাবীরূপে অতি শীঘ্রই প্রত্যাহার করতে হবে”

“তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন মনে না করে যে, জরুরী অবস্থার নামে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলে এবং করে বেড়াবে।”

 উল্লেখ্য, তাঁর এ জ্বালালী বক্তব্যে এবং তার খোদায়ী রোবের কারণে নির্বাচন কমিশনের ভিত কেঁপে উঠে। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়। এ সম্পর্কে গত ২৮শে মে সোমবার দৈনিক আল ইহসানে প্রথম লিড নিউজ হয়।

মুযাদ্দিদে আ’যম-এর রোবের তাছির

বদলে গেলো নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

সিইসি বললেন- ছবি ছাড়াও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে’ শীর্ষক এই খবরে বলা হয়-

আল ইহসান প্রতিবেদন: স্মরণকালের সাহসী উচ্চারণ করেছিলেন, মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। বর্তমান সময়ে সবাই যখন একটা চাপা ভীতি আর অজানা আশঙ্কার মধ্যে বিরাজ করছে; সে সময় তিনি বেমেছাল সাহসিকতার সাথে খোদায়ী যবানে নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত সাহেবের ‘কেউ ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে তার এক বছর জেল ও জরিমানা হবে’- এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্য কাট্টা কুফরী হয়েছে। তাকে তওবা করতে হবে এবং তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য দ্বারা নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত ছাহেবের সে বক্তব্য প্রত্যাখাত হয়েছে।

ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কেউ ছবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে কি হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে গতকাল এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেউ ছবি তুলতে অস্বীকৃতি জানালেও তাদের নাম ভোটার তালিকায় উঠবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্য দ্বারা ‘ছবি তোলার বিরুদ্ধে কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বললে তার এক বছর জেল ও জরিমানা হবে’ সে বিতর্কিত বক্তব্যের মূলতঃ অবসান হয়েছে।

গত বুধবার দেয়া নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত ছাহেবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা একযোগে নিশ্চুপ থাকলেও যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খোদায়ী যবানে গর্জে উঠেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্য সরাসরি ইসলামের উপর আঘাত। যা আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধাচারণ তথা খোদ আল্লাহ পাক-এর বিরুদ্ধাচারণ। কারণ, হাজার হাজার হাদীছ শরীফে ছবি তোলার বিরুদ্ধে রয়েছে। আর সেখানে নির্বাচন কমিশনারের ‘ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল জরিমানা হবে’- সে কথা বলে মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত দিয়েছেন। কাজেই নির্বাচন কমিশনারকে তওবা করতেহবে। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর এ তাজদীদী বয়ানে ধর্মপ্রাণদের মাঝে শিহরণ খেলে যায়। চেতনা জাগ্রত হয়।

বিশেষতঃ এ তাজদীদী বয়ানের পাশাপাশি মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিশেষ রোব জাহির হয়।

ফলশ্রুতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য পাল্টে নতুন বক্তব্য দেন। ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা তুলে নেন। ছবি তোলার সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। যদ্বারা ‘ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে এক বছর জেল-জরিমানা হবে’- সে বক্তব্য অপসৃত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে, ‘হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে, যে ছবি তোলে বা আঁকে।’

(তথ্য সূত্র: আবাস, বাসস, বিডিনিউজ, এনএনবি, ইউএনবি)

অন্যান্য পত্রিকায়ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার-এর এ বক্তব্য পত্রস্থ হয়। দৈনিক খবরপত্রে বলা হয়:

‘এদিকে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন জানায়, আমাদের দেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়। ধর্মীয় কারণে কেউ ছবি তুলতে না চাইলে তাদের ব্যাপারে বিকল্প চিন্তা করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা হবে। (২৮-০৫-০৭)

উল্লেখ্য, মাত্র ২ দিন আগে যে নির্বাচন কমিশনার ভোটার তালিকার ক্ষেত্রে ছবি তোলার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ এমনকি পরোক্ষভাবে বললেও তার এক বছর জেল ও জরিমানার জন্য …. ঘোষণা দেন; মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বেমেছাল জালালী প্রতিবাদের কারণে তিনিই সুর সুর করে বক্তব্য পাল্টিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে, ধর্মের আশ্রয়ে বাঁচলেন।

কিন্তু তারপরেও তাদের অবিমৃষ্যকারীতা, স্ববিরোধিতা মিথ্যা উম্মাদনা এখনও রয়ে গেছে। তারা বলেছেন, ছবি ছাড়াও হলেও ভোটার তালিকা করা যাবে। কিন্তু ছবি ছাড়া ন্যাশনাল আইডি কার্ড হবে না।

সঙ্গতকারণেই তাদের নিকট প্রশ্ন জোরদার হয়ে উঠে যে, মুসলমানদের ধর্ম তথা ইসলাম কি তাহলে শুধু ভোটার আইডি কার্ডের জন্য প্রযোজ্য আর ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জন্য প্রযোজ্য নয়।

একজন মুসলমান কি শুধু ভোটার আইডি কার্ডের সময় ধর্মপ্রাণ থাকবেন আর ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সময় ধর্মহীন হয়ে যাবেন?

সহজ কথায় একজন ধর্মপ্রাণ ভোটার আইডি কার্ডের সময় ধর্মের বিধিবিধান মানতে পারবেন, ধর্মপালনের সুযোগ পাবেন কিন্তু ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সময় তিনি আর ধর্মপ্রাণ মুসলমান থাকতে পারবেন না। তাই তিনি তখন খ্রিস্টান, ইহুদী কমপক্ষে অধর্মপ্রাণ মুসলমান হতে বাধ্য। (নাউযুবিল্লাহ)।

মুসলমান বা ধর্মপ্রাণ হিসেবে তিনি তখন ইসলাম পালনের সুযোগ পাবেন না। (নাউযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য, এসব কথা যেমন স্ববিরোধী তেমনি তা সংবিধান বিরোধীও বটে। বিশেষতঃ সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের সম্পূর্ণ খিলাফ।

বাংলাদেশ সংবিধানে ৪১(ক) ধারায় বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।”

উল্লেখ্য, হাজার হাজার হাদীছ শরীফসহ বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফেও উল্লিখিত রয়েছে, ‘যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা থাকে না।’ কিয়ামতের ময়দানে ঐ ব্যক্তির সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে যে ছবি তোলে বা আঁকে।

কাজেই দেখা যাচ্ছে ছবি শুধু না তোলাই নয় পাশাপাশি হাজার হাজার হাদীছ শরীফের ভিত্তিতে ছবি না তোলার জন্য বলা তথা ছবি তোলার বিরুদ্ধে বলা ও ছবির বিরুদ্ধে প্রচারণাও বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী মুসলমানদের জন্য অবিচ্ছেদ্য ধর্মীয় অধিকার।

আর নির্বাচন কমিশনার সাহেব সে ধর্মীয় তথা সাংবিধানিক অধিকারই ক্ষুন্ন করতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন এবং ধর্মভীরুদের কথা বলে, ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্মের আশ্রয় নিয়েই অবশেষে রক্ষা পেয়েছেন।

 কিন্তু এই ধর্মের আশ্রয় টুটে যাবে যদি তারা ভোটার আইডি কার্ডের পাশাপাশি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ক্ষেত্রেও ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা না তুলে নেন।

উল্লেখ্য, ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে পাঁচ বছরে একবার মাত্র। আর ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে জীবন চলার প্রতি পদক্ষেপে প্রতি মুহূর্তে।

 সেক্ষেত্রে একজন মুসলমান, মুসলমান হওয়ার প্রেক্ষিতে, ধর্ম প্রাণ হওয়ার কারণে, ধর্মের প্রতি অনুভূতিশীল, ধর্ম বিধিবিধান পালনে নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার সুবাদে ৯০ই ভাগ মুসলমানের এই দেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সম্বলিত সাংবিধানিক প্রস্তাবনার এই দেশে, নিগৃহীত হন, বঞ্চিত হন, দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পর্যবসিত হন তবে তা নির্বাচন কমিশনার সরকার তথা দেশ ও জাতির জন্য আদৌ সুখকর হবে না তা বলাইবাহুল্য। বরং সে চাপা ক্ষোভ যে, যে কোন সময় ফেটে পড়তে পারে, বিস্ফোরিত হতে পারে, সে ছাইচাপা আগুন যে, যে কোন সময় দাবানল ঘটাতে পারে। তার আচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যত আগে অনুভব করবেন ততই তাদের জন্য মঙ্গল বটে।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মনে রাখা উচিত তথাকথিত রাজনৈতিক সংস্কারেই যেখানে তারা এত হিমশিম খাচ্ছেন, নাস্তানাবুদ হচ্ছেন সেখানে ধর্মের উপর, ইসলামের উপর সংস্কার করতে গেলে মুসলমান কখনো মেনে নিবে না। কারণ মুসলমান কালিমায় বিশ্বাসী। মুসলমান আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আখিরী নবী ও রসূল মানতে বিশ্বাসী, তাঁর জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা তার ধর্মবিরোধী তত্ত্ব বা সংস্কারের জন্য নয়।

মুহম্মদ আলম বদরী, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২