‘ছবি তোলা হারাম’- এ ফতওয়াকে অস্বীকার করে গো’আযম নিজামী ও সাঈদী গং নিজেদের গোমরাহ এবং মওদুদীকে জাহিল প্রতিপন্ন করছে॥ মওদুদীর ভাষ্যনুযায়ীই আজকের জামাত-শিবির গং অধঃপতনের শেষপর্যায়ে পৌঁছেছে

সংখ্যা: ১৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় দেয়াল লিখনী দেখা যেত- “৭১’ এর রাজাকার ৯০ এ গণতন্ত্রী সেজেছে।” সত্যিই সাজ পাল্টানোর অদ্ভূত  ক্ষমতা রয়েছে ইসলামের নামধারী ঐ জামাতটির। আজকে তারা শহীদ মিনারে, স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়। নারী নেতৃত্ব সমর্থন করে। ইসলামের নামে তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী কর্তৃক ‘হারাম’ ঘোষিত  নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। আজকে জামাতীরা তাদের পূর্ব প্রচারিত হারামকে হালাল করছে, শুধু তাই নয় বরং এসব হারামকে হারাম বলে জামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত যে একক ও কঠিন জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছে, সে জিহাদের প্রতিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, প্রচণ্ড বিরোধিতা করছে, অপপ্রচার করছে ইসলামের নামধারী ঐ জামাত। তারা আজ মাথার টুপি খুলে আমেরিকান মহিলা রাষ্ট্রদূতের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাত করছে, মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সামনাসামনি রসালো আলাপ করছে, পাশাপাশি বসে থাকছে। তারা আজ ইসলামের লেবেল এঁটে সিনেমা তৈরী করছে, নাটক করছে, ভিডিও, সিডি ইত্যাদি করছে। এসব ক্ষেত্রে যে প্রাণীর ছবি তুলতে হচ্ছে, সে ব্যাপার এখন তাদের কাছে নস্যি। বরং আল বাইয়্যিনাত-এর তরফ থেকে টিভি চ্যানেলে তাদের প্রোগ্রাম করার বিরোধিতা করা হয় বলে তারা আল বাইয়্যিনাতকে পাগল প্রচার করছে। এতে করে আল বাইয়্যিনাত-এর সুন্নত আদায় হচ্ছে। কারণ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাফিররা পাগল, যাদুকর বলতো। আল বাইয়্যিনাত যে সত্যিকার ইসলামের উপর আছে নাহক্ব পন্থী ও ধর্মব্যবসায়ী জামাতীদের তরফ থেকে এরূপ পাগল সম্বোধনও এক প্রমাণ বটে। শত শত হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ছবি তোলা সম্পূর্ণ নাজায়িয। যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা থাকেনা। ক্বিয়ামতের ময়দানে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে যে ছবি তোলে বা আঁকে।” -এসব হাদীছ শরীফের ভাষ্যকে এখন জামাতীরা তুচ্ছ জ্ঞান করে। এক্ষেত্রে তারা যে মূলত আল্লাহ পাক এর হাবীবকে অস্বীকার করে তদস্থলে নিজেরাই নতুন নবী দাবী করে; তা তারা কি করে অস্বীকার করবে? তাসবীর তথা চিত্রাঙ্কনের সাথে যে আজকের ফটোগ্রাফীর কোনই পার্থক্য নেই সে ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীও একমত।  আর সভা-সমিতি তথা নেতৃবৃন্দের ছবি তোলাও যে দোষমুক্ত নয় বরং সম্পূর্ণই গুনাহর কাজ সে সম্পর্কেও মওদুদীর একই মত। এমনকি এই ছবি দ্বারা যে পর্যায়ক্রমে স্মৃতিপূঁজার তথা মূর্তিপূজার প্রচলন হতে পারে যা কিনা ইসলামের তাওহীদী চেতনাকেই বিনষ্ট করতে পারে সে বিষয়েও মওদুদীর কঠিন ও শক্ত নির্দেশ রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মওদুদীর রাসায়েল ও মাসায়েল নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে: ছবি প্রসঙ্গঃ প্রশ্নঃ আমার এক ফটোগ্রাফার বন্ধুর ধারণা, ইসলামে ‘তসবীর’ (চিত্র) সংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা ফটোর ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়, বিশেষ করে অশ্লীল দৃশ্যের ফটো যদি তোলা  না হয়। এ সীমারেখার প্রতি দৃষ্টি রেখে ফটোগ্রাফীকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে কি? জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং সভা সমিতির ফটো তোলাতে কোনো দোষ আছে কি? মওদুদীর জবাবঃ ফটো সম্পর্কে এই নীতিগত কথাটা বুঝে নেয়া দরকার যে, সাধারণভাবে ইসলাম প্রাণসম্পন্ন জীবের ছবি চিত্র সংরক্ষণকে প্রতিরোধ করতে চায়। কেননা মানব ইতিহাসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, এই ছবি চিত্রই অধিকাংশ ফিতনা ও বিপর্যয়ের কারণ হয়েছে। যেহেতু ছবি চিত্র সংরক্ষণ করাটাই ফিতনার মূল কারণ। যেহেতু সেটা কোন পন্থায় সংরক্ষণ করা হবে সে বিষয়ে আলোচনার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। পদ্ধতি যেটাই হোক, সর্বাবস্থায় তা নাজায়েযই থাকবে।  কেননা সবগুলো পন্থাই মূল ফিতনা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সমভাবে কার্যকর। এ ব্যাপারে ফটোগ্রাফী এবং চিত্রাঙ্কনের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যেতে পারেনা। আর নিষেধাজ্ঞা যেহেতু প্রাণীর ছবি চিত্রের ক্ষেত্রে, এ জন্যে সর্বপ্রকার ছবি চিত্রই হারাম। চাই তা অশ্লীল হোক কিংবা না হোক। অবশ্য অশ্লীল ছবি চিত্র হারাম হওয়ার একটি অতিরিক্ত কারণ রয়েছে। এই সাধারণ বিধানের মধ্যে ব্যতিক্রম কেবল এতোটুকুই আছে যে, যেক্ষেত্রে ছবি চিত্রের দ্বারা সত্যিই তমদ্দুনিক কোনো কল্যাণ হয়, কিংবা কোনো রাষ্ট্রীয় কাজে একান্ত জরুরী হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে এগুলো করা যেতে পারে। যেমন পাসপোর্টের কাজে এবং অপরাধীকে সনাক্তের কাজে পুলিশ কর্তৃক ছবি সংরক্ষণ করা। ডাক্তারদের চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষাদানের কাজে রোগীদের ছবি চিত্র গ্রহণ করা এবং সামরিক প্রয়োজনে ছবি সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। এরূপ ক্ষেত্রে ছবির ব্যবহার সাধারণ নিষেধাজ্ঞার ব্যতিক্রম হবে। তবে শর্ত হলো, যে উদ্দেশ্যের জন্যে ‘ব্যতিক্রম’ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ করা হবে, সেই উদ্দেশ্যটি অবশ্য বৈধ হবে।  কিন্তু নেতৃবৃন্দ ও সভা মিছিলের ছবি চিত্র কোনো অবস্থাতেই ‘বৈধ’ এবং ‘প্রকৃত প্রয়োজনের’ সংজ্ঞায় পড়েনা। বিশেষ করে নেতৃবৃন্দের ছবি তো খোদার বান্দাদের সেই মহাবিপদের নিকটবর্তী করে দেয়, যে কারণে ছবি চিত্রকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।  এই যে কংগ্রেসের সভায় গান্ধীজির বায়ান্ন ফুট লম্বা ছবি স্থাপন, রাশিয়া কর্তৃক পোল্যান্ড দখল করার পর পোল্যান্ডের প্রতিটি জনপথে স্টালিনের চিত্র স্থাপন, রাশিয়ার প্রতিটি স্থানে লোকদের মাথার উপর স্টালিন এবং পলিট ব্যুরোর সদস্যদের ছবি স্থাপন, জার্মান সৈনিকদের বুকে হিটলারের ছবি লাগিয়ে রাখা এবং হাসপাতালে মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত সেই ছবি চোখে লাগিয়ে জীবন উৎসর্গ করা, সিনেমা হলে ব্রিটিশ রাজ্যের ছবি উদিত হওয়া এবং সাথে সাথে লোকদের দাঁড়িয়ে যাওয়া, শাসন কর্তৃত্বের নিদর্শন স্বরূপ মুদ্রার গায়ে সম্রাটের চিত্র অংকন করা, এসবই কী মূর্তি পূজার উৎসমূল নয়?  ইসলাম এজন্যেই ছবি চিত্র হারাম করেছে, যাতে করে লোকদের মন মগজে আল্লাহ ছাড়া আর কারো শ্রেষ্ঠত্বের চিত্র অঙ্কিত না হতে পারে। আমি (মওদুদী) তো এজন্যে ছোট বাচ্চাদের ছবি তোলাও অবৈধ মনে করি যে, ভবিষ্যতে হয়তো এদের কাউকে খোদা বানিয়ে নেয়া হবে এবং এসব ছবিই ফিতনার কারণ হয়ে বসবে। আজ পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের বাল্যচিত্রের পূজা চলছে। সুতরাং আপনি আপনার বন্ধুকে জানিয়ে দিন যে, শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে তার পেশা বৈধ নয়। তিনি যদি খোদাকে ভয় করেন তবে যেনো ক্রমান্বয়ে এ পেশা ত্যাগ করে অন্য কোনো উপার্জন মাধ্যম গ্রহণ করেন। আর তিনি যদি এ কাজই করতে চান, তবে যেনো এটাকে হালাল আখ্যায়িত করার চেষ্টা না করেন।  অনৈতিক অধঃপতনের নিকৃষ্ট পর্যায় হলো, মানুষ যে গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে, মিথ্যা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দ্বারা সেটাকে সঠিক ও বৈধ আখ্যায়িত করে। এই গর্তে নিমজ্জিত হবার পর কোনো ব্যক্তির সেখান থেকে উঠে আসার সম্ভাবনা থাকেনা। বিজ্ঞাপনের ছবিঃ প্রশ্নঃ আজকাল বিজ্ঞাপনের ক্যালেন্ডার প্রভৃতিতে নারীদের ছবি ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। এছাড়া খ্যাতিমান ব্যক্তি এবং জাতীয় নেতাদের ছবিও অনুরূপভাবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বাণিজ্যিক জিনিসপত্রের ডিব্বা, বোতল এবং প্যাকেটের উপরও অনুরূপ ছবি ব্যবহার করা হয়। এরূপ বিভিন্ন প্রকার ছবির দাপট থেকে একজন মুসলমান ব্যবসায়ী কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারে? মওদুদীর জবাবঃ আপনি নিজে যদি কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা ক্যালেন্ডার ছাপেন তবে তা ছবি মুক্ত রাখবেন।  আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যদি ক্যালেন্ডার প্রভৃতি ব্যবহার করতে হয় তবে প্রথমত ছবি বিহীন ব্যবহার করবেন, নতুবা ছবি ঢেকে রাখবেন কিংবা মুছে ফেলবেন। কিন্তু ডিব্বা, বোতল এবং প্যাকেটের ছবি তো সব আর আপনি মুছে ফেলতে পারবেননা। বর্তমান ছবিপূজারী বিশ্ব তো কোনো জিনিসকে ছবি মুক্ত না রাখার ব্যাপারে কসম খেয়ে বসেছে। ডাক টিকেট এবং মুদ্রার উপর পর্যন্ত ছবি ব্যবহার করা হয়। এ সর্বগ্রাসী তাগুতী জীবন ব্যবস্থা নিজের অপবিত্রতা ও নোংরামীকে শিকড় থেকে শাখা প্রশাখা এমনকি পত্র পল্লব পর্যন্ত ছড়িয়ে দিচ্ছে। বাস, নিজের সাধ্যের সীমা পর্যন্ত নিজে আত্মরক্ষা করুন।” (মওদুদী লিখিত রাসায়েল ও মাসায়েল, ২৩৩ পৃষ্ঠা) উল্লেখ্য, ছবি সম্পর্কে মওদুদীর উপরোক্ত শক্ত নিষেধাজ্ঞা থাকার পর এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, মওদুদী সম্পর্কে আজকের জামাতীদের মনোভাব ও মূল্যায়ন কি? এ বিষয়ে ‘বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন” শীর্ষক বইয়ে মওদুদীর স্থলাভিষিক্ত গোলাম আযম মওদুদী সম্পর্কে যা বলেন: “যারা সত্যিই আধুনিক শিক্ষিত সমাজের নিকট দ্বীন ইসলামকে যোগ্যতা ও বলিষ্ঠতার সাথে পরিবেশন করতে চান তারা মওলানা মওদুদীর সাহিত্য থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, প্রেরণা ও মনোবল হাসিল করতে পারেন। বিশেষ করে নিম্নলিখিত তিনটি বই সবচেয়ে বেশী সহায়কঃ রাসায়েল ও মাসায়েলঃ কয়েক খণ্ডে বিস্তৃত এ গ্রন্থে আধুনিক যুগ-জিজ্ঞাসার কোরআন হাদীছ ও যুক্তি ভিত্তিক বলিষ্ঠ জওয়াব রয়েছে। জীবনের সর্বদিক ও বিষয়ে এবং ইসলাম সম্পর্কে যত রকম প্রশ্ন মাওলানা মওদুদীকে করা হয়েছে সে সবের এমন চমৎকার জাওয়াব তিনি দিয়েছেন বা অন্তরকে আলোকিত করে এবং দ্বীনের ব্যাপক জ্ঞান দান করে। ইসলামের দিকে শিক্ষিত সমাজকে যারা আহবান জানায় তারা ঐ সব প্রশ্নের জওয়াব দেবার অদ্ভূত যোগ্যতা সৃষ্টি করার যাদুকরী ক্ষমতা এ বই থেকে হাসিল করা যায়।” গোলাম আ’যম বাস্তবে মওদুদীকে  মূর্খ মনে করেন অথবা তাকে মানেননা পাঠক! গো’আযম দ্বারা সুপারিশকৃত ও উচ্ছসিত প্রশংসিত মওদুদী লিখিত রাসায়েল ও মাসায়েল কিতাব থেকেই আলোচ্য ছবি হারাম হওয়া সম্পর্কে মওদুদীর শক্ত নির্দেশাবলী এতক্ষণ বিবৃত করা হয়েছে। কিন্তু কথা হলো, মওদুদীর এ নির্দেশকে আধুনিক যুগ-জিজ্ঞাসার কোরআন-হাদীছ ও যুক্তিভিত্তিক বলিষ্ঠ জওয়াব বলার পরও ‘গো’-আযম স্বয়ং মওদুদীকে অস্বীকার করছে। নিজে ছবি তুলে মওদুদীকে মূর্খ প্রতিপন্ন করছে। এবং এ ধারাবাহিকতায় আজকে নিজামী, সাঈদী ওরফে ইহুদী তথা গোটা জামাত-শিবির গংই তাই করছে। এক্ষেত্রে বর্তমানকালের গোটা জামাত শিবিরগং এর প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ফতওয়া হলো- (১) বর্তমান জামাত-শিবির সবচেয়ে বড় ফিৎনাবাজ। কারণ তারা সমানে ছবি তুলছে, ভিডিও করছে এমনকি তথাকথিত ইসলামী সিনেমা, নাটক, টিভি চ্যানেল, ভিডিও, সিডি ইত্যাদি সবই করছে।  আর মওদুদীর ভাষ্যঃ “ছবি বা চিত্র সংরক্ষণ করাটাই ফিৎনার মূল কারণ।”  (২) “ছবি তোলাও সম্পূর্ণ হারাম।” আর জামাতী নেতারা সে হারাম কাজটিই ব্যাপক হারে করে যাচ্ছে।  মওদুদীর ভাষ্যঃ কিন্তু নেতৃবৃন্দ ও সভা মিছিলের ছবি চিত্র কোন অবস্থাতেই বৈধ ও প্রকৃত প্রয়োজনের সংজ্ঞায় পড়েনা। (৩) জামাত-শিবির গং ছবির ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে মূর্তিপুজার মত শিরেকী কাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে।  মওদুদীর ভাষ্যঃ এই যে কংগ্রেসের সভায় গান্ধীর বায়ান্ন ফুট লম্বা ছবি … স্টালিনের চিত্র … হিটলারের ছবি…. মুদ্রার গায়ে ছবি …. এসবই কি মূর্তি পূজার উৎসমূল নয়? উল্লেখ্য, (ছবি তোলা সংশ্লিষ্ট) মওদুদী উল্লিখিত উপরোক্ত হারাম ও কুফরী দিক ছাড়াও মাসিক আল বাইয়্যিনাতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও নাপাকের মধ্যে ডুবন্ত, ধর্মব্যবসায়ী এবং বংশগত ও  মজ্জাগত মুনাফিক দল জামাত-শিবির বিভিন্ন বাহানা দিয়ে ছবিকে জায়িয বলছে, ছবি তুলছে ও ছবি ভিত্তিক আরো হাজারো হারাম কার্যক্রম চলাচ্ছে।  তারপরে তাতে মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে সেটাকে ইসলামী ও জায়িয বলে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এর জবাবে ওদের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীই যা বলে গেছেঃ  “নৈতিক অধঃপতনের নিকৃষ্ট পর্যায় হলো, মানুষ যে গুনাহর কাজে লিপ্ত থাকে, মিথ্যা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দ্বারা সেটাকে সঠিক ও বৈধ আখ্যায়িত করে। এই গর্তে নিমজ্জিত হবার পর কোনো ব্যক্তি সেখান থেকে উঠে আসার সম্ভাবনা থাকেনা।” অর্থাৎ মওদুদীর ভাষ্য অনুযায়ী জামাত-শিবির গং নৈতিক অধঃপতনের নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা আজকের ছবি তোলা, নারী নেতৃত্ব, ইসলামের নামে নির্বাচন ও গণতন্ত্র, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী ইত্যাদি সব হারাম কাজ নিজেদের ধর্মব্যবসার জন্য মিথ্যা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে জায়িয বলছে, করছে।  মওদুদীর ভাষ্যমতে, এরূপ হারাম গর্তের মধ্যে নিমজ্জিত হবার পর তাদের আর সেখান থেকে আসার সম্ভাবনা নেই। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক যাকে হিদায়েত করেন সে হিদায়েত প্রাপ্ত হয়। আর যে গোমরাহীর উপর দৃঢ় থাকে সে কখনও হিদায়েত হয়না। এই আয়াত শরীফের ভিত্তিতে বলা যায়, চরম ও ব্যাপক হারামে নিমজ্জিত মওদুদী জামাত-শিবির ক্বিয়ামত পর্যন্ত হিদায়েত পাবেনা। ধর্মব্যবসার কারণে ক্রমান্বয়ে তারা ধর্মের শেষ সংস্পর্শ থেকেও দূরে সরে যাবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন