জীবিত ব্যক্তির জামায় হাতার নীচে ডান ও বাম দুই পাশে^র্ মোট চারটি কাপড়ের টুকড়া ব্যবহার করা হয়। উক্ত চার টুকড়া কাপড়ের একটি টুকড়াকে দিখরীছ বলা হয়। আর একত্রে চারটি টুকড়াকে দাখারীছ বলা হয়। যা চার কোণ বিশিষ্ট ও উপরের দিকে সরু এবং নীচের দিকে প্রশস্তÍ হয়ে থাকে। যার প্রান্ত সমূহ সেলাই করা থাকে।
জামার সামনের এক টুকড়া ও পিছনের এক টুকড়ার প্রত্যেকটিকে ((اَلْكُفَّةُ আল কুফ্ফাতু বলা হয়।
তাহলে চার টুকড়া দিখরীছ ও দু’ টুকড়া ((اَلْكُفَّةُ আল কুফ্ফা সহ সর্বমোট ছয় টুকড়া বিশিষ্ট ক্বামিছ পরিধান করাই পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য যে, ফাতওয়ার কিতাব সমূহে উল্লেখ রয়েছে যে, হাটা-চলার সুবিধার্থে জীবিত ব্যক্তির জামায় উক্ত দিখরীছ ব্যবহার করা হয়। সেই কারণেই মৃত ব্যক্তির ক্বামীছ বা জামায় উক্ত দিখরীছ ব্যবহার করা হয়না। এবং হাতাও ব্যবহার করা হয়না। এই বিষয়ে নিম্নে দলীলসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আরবী লোগাত সহ বিভিন্ন গ্রন্থসমূহে دِخْرِيْصٌ এর অর্থ প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে, তার কতিপয় নিম্নরূপ,
دِخْرِيْصُ القميص ما يزادُ في عَرْضِه
অর্থ: জামা প্রশস্তÍ করতে যা বৃদ্ধি করা হয়। তাকে দিখরীছ বলে। (শামসুল উলূম ওয়া দাওয়াউ কালামিল আরব মিনাল কুলূম ৪/২০৫৫)
دَخَارِيْصَهُ جَمْعُ دِخْرِيْصٍ وَهُوَ مَا يُـوَسَّعُ بِهِ
অর্থ: دِخْرِيْصٌ শব্দটি একবচন। বহুবচনে دَخَارِيْص অর্থ হলো যার দ্বারা প্রশস্তÍ করা হয়। (আল গুরারুল বাহিয়্যাহ ফী শরহিল বাহজাতিল ওয়ারদিয়্যাহ ২/৮২)
دِخْرِيص ما يضاف لتوسعة القميص من الجانبين
অর্থ: ক্বামীছকে প্রশস্তÍ করতে কামীছের দুই পাশে^র্ যা সেলাই করা হয় তাকে دخريص বলা হয়। (আল-ফিক্বহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতিহী ২/১৫০১, ক্বাওয়ায়িদুল ফিক্বহি ২৯০ পৃষ্ঠা)
الدخاريص جمع واحده دخريص وهو ما يوصل به بدن الثوب أو الدرع ليتسع
অর্থ: শরীরের কাপড় বা জামাকে প্রশস্ত করতে যা সংযুক্ত করা হয়, তাকে دِخْرِيْصٌ বলা হয়। (আল হাউই ফিল ফিক্বহি আ’লা মাজহাবি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল পৃষ্ঠা – ৪৪৯, মু’জামুল ওয়সীত পৃষ্ঠা-২৭৪)
الدخريص مُعرَّب أصله فارسى وهو عند العرب البنيقة واللِّبنَة والسُّبْجة والسُّعَيْدة
অর্থ: دخريص শব্দটি ফারসী ভাষায় ব্যবহৃত অনারবী শব্দ। আরবগণ উক্ত دخريص কে البَنِيْقةُ -اللِّبْنةُ- السُّبْجَةُ- السُّعَيْدَة বলে থাকে। (লিসানুল আরব ৭/৩৫, আল মু’জামুল আরাবিয়্যি লি আসমাইল মালাবিস পৃষ্ঠা- ৪৫১)
دخريص কে بنيقة ও বলা হয়
بَنيقَةُ القميصِ الَّتِي تُسمَّى الدَّخاريصُ والجمعُ بنائقُ وقالَ غيرُهُ البَنيقَةُ الرُّقعةُ الَّتِي تحْتَ الكُمّ
অর্থ: بَنِيْـقَةُ القميْصِ কে دخاريْصُ বলা হয়। بَنِيْـقَةُ শব্দটির বহুবচন হলো بَنَائِقُ। অন্যান্যগণ বলেন, بَنيقَة বলা হয় ঐ এক টুকড়া কাপড়কে, যা কামীছে হাতার নীচের থাকে। (আত্ব তালখীছু ফী মা’রিফাতি আসমায়িল আশইয়া ১৪৭ পৃষ্ঠা)
الدخريص ويسمى البنيقة هو قطعة تضاف إلى الثوب ليتسع
অর্থ: دخريص কে بنيقة বলা হয়। دخريص বলা হয় এক টুকড়া কাপড়কে, যা ক্বামিছকে প্রশস্তÍ করতে ক্বামীছের পাশে^র্ সেলাই করা হয়। (লিসানুল আরব, আল মাওসূয়াতুল ফিক্বহিয়্যাহতুল কুয়েতিয়্যাহ ১৩/২৩৯)
الْبَنِيقَةُ الَّتِي تُجْعَلُ تَحْتَ الْإِبْطِ كَالرُّقعَة-
অর্থ: এক টুকড়া কাপড়ের ন্যায়, যা বোগলের নীচে সেলাই করা হয় তাকে بنيقة বলা হয়। (আশ শরহুল কাবীর ও হাশিয়াতুদ দাসূক্বী- ১/২২০)
-البَنيقَةُ كل رقعة في الثوب نحو اللبنة وشبهها
অর্থ: বানীকাতু হচ্ছে কাপড়ের প্রত্যেক ঐ টুকরা যা ইট বা তার অনুরূপ।
بنيقة ما زيد في عرض القميص تحت كميه
অর্থ: بنيقة বলা হয়, ঐ টুকড়া কাপড়কে, যা ক্বামীছকে প্রশস্তÍ করতে দুই হাতার নীচে দুই পাশে^র্ সেলাই করা হয়। (কিতাবুল ইফছাহি ফী ফিক্বহিল লুগাতি)
بَنيقَة القميص للقطعة من الشقة بجنب القميص
অর্থ: ক্বামীছের পাশে^র্ সেলাই করা কাপড়ের এক খণ্ড টুকড়াকে بنيقة বলা হয়। (তাছহীহুত তাছহীফ ওয়া তাহরীরূত্ব তাহরীফ পৃষ্ঠা- ১৬৯, আল মাদখালু ইলা তাক্বউইমিল লিসান ওয়া তা’লিমিল বয়ান – ৩৭ পৃ:)
পবিত্র সুন্নতী ক্বমীছ উনার মধ্যে হাতার নীচের এক টুকড়া কাপড়কে দিখরীছ বলে,
আর চার টুকড়া কাপড়কে দাখারীছ বলে
এ প্রসংঙ্গে আলিমুন বিল আদাবি ওয়াল লুগাত, ছহিবুত তাছানীফিল হাসানাহ, খত¦ীবুন বিল ইসকাফী ছুম্মার রয়ী, হযরত আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত শরীফ ৪২০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার “মাবাদিউল লুগাতি মায়া’ শরহি আবইয়াতিহী” কিতাব উনার ৯৭ পৃষ্ঠায় باب الكسوة অর্থাৎ পোশাকের অধ্যায়ে বলেন,
اَلدَّخَارِيْصُ جَمْعُ دِخْرِصَةٍ وَهِيَ أَرْبَعُ خِرَقٍ مُسْتَطِيْـلَةٍ يُوصَلُ بِهَا الْبَدَنِ مِنْ تَحْت الكُمَّيْنِ –
অর্থ: دَخَارِيْص (দাখারীছ) শব্দটি دِخْرِصَة (দিখরীছাতুন) শব্দের বহুবচন। শরীরে ব্যবহৃত ক্বামীছ বা জামায় দুই হাতার নীচে লম্বালম্বি সেলাই করা চার টুকড়া কাপড়কে (دَخَارِيْص) দাখারীছ বলাহয়।
দিখরীছের বৈশিষ্ট্য বা ধরণ
والبنيقة كاللَّبِنَة مرَبَّعة فوقَه دخارِيصُ ويقال للدَّخارِيص بَنائِق-
অর্থ: بنيقة-বানীক্বাহ, হলো ইটের সদৃশ যার উপরের দিকটা চার কোণ বিশিষ্ট। দাখারীছকে বানায়িক্বও বলা হয় (মাবাদিউল লুগাতি মায়া’ শরহি আবইয়াতিহী পৃষ্ঠা-৯৭)
وخَصَّ الدَّخَارِيصَ لِدِقَّةِ رُؤُوسِها وسَعَةِ أَسَافِلِها
অর্থ: দিখরীছের বৈশিষ্ট্য বা ধরণ হলো: তার উপরের দিকে মাথার দিকটা সরু বা চিকন এবং নীচের দিকটা হলো প্রশস্তÍ। (শরহু মুয়াল্লাক্বাতিত তিসয়ী পৃষ্ঠা- ৫১, শরহুল ক্বছায়িদিল আশার পৃষ্ঠা-৭০)
الدَّخَارِيصِ جَمْعُ دِخْرِيصٍ وَهِيَ الْمُسَمَّاةُ بِالنيَافِقِ وَرُءُوسُهَا هِيَ الْخِيَاطَةُ الَّتِي فِي أَسْفَلِ الْكُمِّ-
অর্থ: دِخْرِيصٌ শব্দটি এক বচন, বহু বচনে دَخَارِيص । এটাকে নায়াফিক্বও বলা হয়। দিখরীছ হাতার নীচে থাকে যার প্রান্ত সমূহ সেলাই করা হয়। (আত-তাজরীদু লি নাফয়িল আবীদ- হাশিয়াতুল বুজাইরিমিয়্যি আলা শরহিল মিনহাজ- ১/৪৫৩)
মৃত ব্যক্তির ক্বামীছ বা জামায় দিখরীছ ব্যবহার করা নিষেধ
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ انَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صلَّى الله عليه وسلَّم كُفِّنَ فِىْ ثَلَاثَةِ اَثْـوَابٍ يَمَانِيَّةٍ بِيْضٍ سَحُوْلِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ لَيْسَ فِيْـهَا قَمِيْصٌ وَ لَا عِمَامَةٌ
অর্থ: উম্মুল মুমিনীন হযরত আছ-ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহান আল্লাহ পাক উনার দিদার মুবারকে চলে যান, তখন উনার কাফন মুবারক ইয়ামান দেশের তৈরী মোটা সাদা সূতি কাপড়রের তিনটি পোশাক মুবারক উনার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছিল। যার মধ্যে ক্বমীছ ও পাগড়ী মুবারক ছিলনা। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
আমরা জানি, মৃত ব্যক্তির কাফনে ক্বমীছ থাকা আবশ্যক। চাই তা পুরুষ হউক বা মহিলা হউক। কিন্তু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে কাফন মুবারক উনার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে لَيْسَ فِيْـهَا قَمِيْصٌ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাফন মুবারক উনার মধ্যে ক্বমীছ মুবারক ছিলেন না। এখানে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ক্বমীছ মুবারক না থাকার অর্থ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ঊমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু তিনি বলেন-
وقال حَضْرَتْ ابن عمر رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْه الـمراد بقولها ليس فيها قميص أي جديد أو له دخاريص أو الذي غسل فيه بل نزع عنه-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কাফন মুবারক উনার মধ্যে কোন ক্বামীছ মুবারক ছিলনা তার অর্থ হলো: নতুন ক্বামীছ বা জামা মুবারক ছিলনা অথবা উক্ত ক্বামীছ মুবারক উনার মধ্যে কোন “দাখারীছ” ছিলনা তথা পবিত্র ক্বামীছ মুবারক উনার দুই পাশে^র্ চার টুকড়া লাগানো হয়নি। অথবা যে ক্বামীছ মুবারকে গোসল মুবারক দেয়া হয়েছিল তা খোলে ফেলা হয়েছিল। (আত- তাওদ্বীহু লি শরহি জামিয়িছ ছহীহ- ৯/৪৭১)
উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত “দাখারীছ” তথা পবিত্র ক্বামীছ মুবারক উনার দুই পার্শ্বের দু’হাতার নীচে লম্বা-লম্বি চার টুকড়া লাগানো সুন্নত।
ফাতওয়ার কিতাব সমূহ থেকে
দিখরীছের বর্ণনা
والقميصُ من المنكب إلى القدم بلا دخاريص لأنها تفعل في قميص الحي ولاجيب ولا كُمّيْن ولا يُكفّ أطراف والدخريص: الشقُّ الذي يفعل في قميص الحي ليتّسع في المشي-
অর্থ: আর মৃত ব্যক্তির জামা দিখরীছ (হাতার নীচের দিকে লম্বালম্বি দুটি করে চারটি কাপড়ের টুকড়া) ব্যতিত হবে। কেননা এটা জীবিত ব্যক্তিদের ক্বামীছের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। আর মৃত ব্যক্তির ক্বামীছের ক্ষেত্রে গলাবন্ধনী, হাতা থাকবেনা এবং পার্শ^সমূহ সেলাই করা যাবেনা। হাটা-চলা করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে কারণে জীবিত ব্যক্তির জামায় দিখরীছ সেলাই করা হয়। (আত-তা’রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ পৃষ্ঠা-১৭৭)
فإن قميص الكفن ليس له دخاريص ولا كمان حتى لو كفن في قميصه قطع جيبه ولبته وكماه، قاله الكبيري من الحنفية-
অর্থ: অতপর নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তির কাফনের ক্বামীছে কোন দাখারীছ তথা হাতার নীচের দিকে লম্বালম্বি (চার কোণা বিশিষ্ট) দুটি করে চারটি কাপড় সেলাই করা থাকেনা, এবং হাতাও থাকেনা। এমনকি যদি মৃত ব্যক্তির পরিহিত জামা দ্বারা কাফন করা হয় তাহলেও উক্ত জামার দু‘হাতা, গলাবন্ধনী ও বুকের উপরিভাগের অংশ কেটে দিতে হবে। এটা সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার পূর্ববর্তীগণ উনাদের কথা। (মিরয়াতুল মাফাতীহি শরহু মিশকাতিল মাছাবীহ ৫/৩৪৬)
وفي كتب الفقه أن قميص الميت كقميص الحي إلا أنه لا يكون فيه دِخْرِيص لأن الميتَ لا يحتاجُ إلى الـمَشي وغيره ولم يصرح واحدٌ منهم أنه لا يخاط أيضًا
অর্থ: ফিক্বহের কিতাব সমূহে বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই মৃত ব্যাক্তির ক্বামীছ জীবিত ব্যক্তির অনুরূপ, তবে তাতে দিখরীছ হবেনা। কেননা, মৃত ব্যক্তিদের হাটা-চলা ও অন্যান্য কাজের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু একথা কেউই স্পষ্ট করে বলেন নাই যে, নিশ্চয়ই উহা সেলাই করাও হবেনা। (ফয়জুল বারী ৩/১৩)
وَالْقَمِيصُ مِنْ الْمَنْكِبَـيْنِ إلَى الْقَدَمَيْنِ وَهُوَ بِلَا دَخَارِيص وَلَا جَيْبٍ وَلَا كُمَّيْنِ وَلَا يَلُفُّ أَطْرَافَهُ-
অর্থ: মৃত ব্যক্তির ক্বামীছ হলো কাধঁ থেকে দু’পায়ের পাতা পর্যন্ত। যাতে কোন দাখারীছ তথা হাতার নীচের দিকে লম্বালম্বি (চার কোণা বিশিষ্ট) দুটি করে চারটি কাপড়ের টুকড়া থাকবেনা, গলাবন্ধনী থাকবেনা, কোণা সমূহ সেলাই করা থাকবেনা, এবং হাতা থাকবেনা। (দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহকাম ১/১৬২, মারক্বিঊল ফালাহ শরহু নূরুল ঈদ্বাহ পৃষ্ঠা- ২১৬, আল মাহইয়াউ ফী কাশফিল আসরারিল মুয়াত্বা ২/৯২, আল বিনায়াতু শরহুল হিদায়া ৩/২০০, হাশিয়াত্ব ত্বাহতাভী পৃষ্ঠা- ৫৭৫, বাহরুর রায়িক্ব ২/২৮৯, আন নাহরুল ফায়িক্ব ১/৩৮৬, আল লুবাব ফী শরহিল কিতাব ১/১২৮, দুররুল মুখতার ২/২০২, মাজমাউল আনহার ১/১৮১, তাবয়ীনুল হাক্বায়িক্ব ১/২৩৭, নূরুল ঈদ্বাহ ওয়া নাজাতিল আরওয়াহ পৃঃ -৯২, তুহফাতুল মুহতাজ ৩/১০১)
ক্বামীছ বা জামার সামনের এক টুকড়া ও পিছনের এক টুকড়া প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
والكُفّةُ: ما ثُنِىَ من جانب إحدى الخرقتين على الأخرى إذا خيطتا
অর্থ: ক্বামীছ বা জামা সেলাই করার পর, যার দুই টুকড়ার এক টুকড়ার প্রান্ত সমূহ অন্য টুকড়ার প্রান্তের উপর লম্বা-লম্বিভাবে দু’ভাগ হয়ে থাকে, তাকে الكُفّةُ (আল-কুফ্ফাতু) বলা হয়। (মাবাদিউল লুগাতি মায়া’ শরহি আবইয়াতিহী লিল-ইসকাফী পৃষ্ঠা-৯৮)
মূল কথা হলো- পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই ছয় টুকরা বিশিষ্ট ক্বামীছ পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের আমল মুবারক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় সকলকে সুন্নতী ক্বামীছ নিয়মিত পরিধান করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।