খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়গুলো মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হচ্ছেন মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মু’যিযা শরীফ। মু’যিযা শরীফ ব্যতীত তো সৃষ্টি জগৎ অক্ষম। আর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি ‘পবিত্র ইজায শরীফ’।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দয়া দান ইহসান মুবারক অর্থাৎ উনাদের মহাপবিত্র ইজায শরীফ’ উনার মাধ্যমেই আসমান-জমিন নিরাপত্তা লাভ করছে, রহমত-বরকত-সাকিনা লাভ করছে। মহাপবিত্র ই’জায শরীফ’ ব্যতীত এক মুহুর্তও কায়িনাত স্থায়ী হবে না।
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহাপবিত্র মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। উনারই আখাছছুল খাছ বিশেষ শান মুবারক সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
(১৬) এক পীরবোন উনি যখন সন্তান সম্ভাবা ছিলেন তখন উনার ডেঙ্গু জ্বর হয়। যার কারণে রক্তে প্লাটিলেট অনেক কমে যায়। উনি একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ও একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছিলেন। ডাক্তাররা খুবই চিন্তিত হয় এবং বলে, “প্রেগনেন্সির সময় ডেঙ্গু জ্বর হওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এ অবস্থায় প্লাটিলেট না বাড়লে বাচ্চা বিকলাঙ্গও হতে পারে। যেখানে স্বাভাবিক ভাবে প্লাটিলেট এর লেভেল থাকে লাখের উপরে, সেখানে উনারটা ত্রিশ হাজারে নেমে এসেছিল। উনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ক্বদম মুবারকে বিষয়টি জানিয়ে দোয়া মুবারক চান। এরপর তিনি দোয়া মুবারক করেন এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার নিয়ত করে হাদিয়া করতে বলেন। উক্ত পীরবোন তিনি হাদিয়া করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চেয়ে পুনরায় টেস্ট করেন। এরপর দেখা যায়, প্লাটিলেট লাখের উপরে উঠে গিয়েছে অর্থাৎ স্বাভাবিক স্তরে চলে এসেছে। পরবতীর্তে উনার একটি সম্পূর্ণ সুস্থ সবল ফুটফুটে মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। (সুবহানআল্লাহ)।
যেকোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ক্বদম মুবারকে কেউ আরজী পেশ করে দোয়া মুবারক চাইলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দোয়া মুবারক উনার উসীলায় আরজুকারীকে শিফা দান করে থাকেন। যা কোন ডাক্তারের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পবিত্র নিয়ামত মুবারক উনার যথাযথ হক্ব আদায় করার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)
-আহমদ ত্বলায়াল বুশরা।