হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালিম
(ধারাবাহিক) খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সেই মর্যাদা-মর্তবাকে সর্বসাধারণের বোধগম্য করার জন্য পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কিরামগণের প্রসঙ্গের অবতারণা। অন্যথায় তাঁর মেছাল তিনি নিজেই। যে সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাতিনী ছোহবত ইখতিয়ারকারী এবং দায়িমী (সর্বক্ষণ) জিয়ারতে ধন্য তিনি তাঁদের সকলের শীর্ষে। উল্লেখ্য যে, যারা আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাতিনী ছোহবত ইখতিয়ারকারী তাঁরা যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুণে গুণান্বিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই ছোহবত তথা মহান নৈকট্য লাভের জন্যই আউলিয়ায়ে কিরামগণের জীবন-মরণ সাধনা, রিয়াজত এবং মুশাক্কাত। আউলিয়ায়ে কিরামের সেই দীর্ঘ দিনের চেষ্টা-সাধনা, যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মুশাক্কাতের কারণে আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহসান বা দয়া করতঃ অনেক গুণাবলী দান করেন। যা লক্বব বা উপাধি আকারে বহিঃপ্রকাশ ঘটে
হুজ্জাতুল ইসলাম, ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সচ্চরিত্র বা উত্তম গুণাবলী দু’টি উপায়ে অর্জিত হয়। (১) আল্লাহ পাক-এর বিশেষ দান। অর্থাৎ জন্ম থেকে মানুষ পূর্ণ জ্ঞানী ও সচ্চরিত্রবান হয়। যেমন, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম এবং বিশেষ শ্রেণীর আউলিয়ায়ে কিরাম। (২) যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মুশাক্কাত তথা সাধনার দ্বারা অর্জন।” উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে ব্যক্তি দানশীলতার চরিত্র অর্জন করতে চায়, সে কষ্ট সহকারে দানশীলদের কাজ অর্থাৎ অর্থ ব্যয় অবলম্বন করে এবং মনের উপর জোর দিয়ে সব সময় এ কাজ করতে থাকে। অবশেষে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। ফলে সে দানশীল হয়ে যায়। অনুরূপভাবে কেউ যদি ফক্বীহ বা মুফতী হতে চায়, তবে প্রথমে সে ফক্বীহ বা মুফতীগণের কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, রীতি-নীতি অনুশীলন করে। অর্থাৎ ফিক্বাহ ও ফতওয়ার মাসয়ালা-মাসায়িল বার বার মুখে উচ্চারণ করে যাতে অন্তরের উপর ফিক্বাহ ও ফতওয়ার তাছির বা প্রভাব প্রতিফলিত হয়। সেটা হয়ে গেলে সে ফক্বীহ বা মুফতী হয়ে যায়। অপরাপর উত্তম গুণাবলী এমনিভাবে অর্জন হয়ে থাকে। (ইহয়াউউলূমিদ্দীন) খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উল্লিখিত প্রথম শ্রেণীর আউলিয়ায়ে কিরামের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ আল্লাহ পাক তাঁকে জন্মগতভাবেই সেই পরম নিয়ামত তথা গুণাবলী বিশেষভাবে দান করেছেন। তবে তিনি সেই বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তিতে শুকরিয়া স্বরূপ যেরূপ কঠোর যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মুশাক্কাত করেছেন তার বর্ণনা শুনলেই শরীর শিহরিয়ে উঠে। ইনশাআল্লাহ যথাস্থানে তার কিছু আলোচনা করা হবে। সুতরাং তাঁর সমস্ত লক্বব বা গুণাবলীর বর্ণনা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে অদ্যাবধি যা প্রকাশিত হয়েছে তন্মধ্যে আমরা আলোচ্য নিবন্ধে এক হাজার লক্বব মুবারকের ত্বাত্তিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করবো। (ইনশাআল্লাহ)
পীরে কামিল: খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর একটি লক্বব মুবারক হচ্ছে “পীরে কামিল।” অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন একজন ‘কামিল পীর ছাহেব।’ য