জিন্নাহ কিভাবে পূজনীয় হয়? জোট সরকার কেন মদের দাম কমায়? আক্বলমন্দকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়

সংখ্যা: ১৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

ধর্মের নামে গঠিত জোট সরকার মদের কারখানার অনুমোদনসহ বার বার মদের দাম কমানোর জন্য তীব্র সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু হা-ভাতে জনগণের জন্য চালের দাম যেখানে ঊর্ধ্বমূখী সেখানে মদের ক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা কেন?

এর জবাব একেবারে খোলামেলা না হলেও খুব একটা রাখঢাকের ভেতরও নেই। যেহেতু ধুয়া দেখেই আগুনের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।

গত ২৯ জুন-২০০৫ ঈসায়ী দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় পত্রস্থ হয়: – মন্ত্রীদের নেশা নিয়ে সংসদে হাস্যরসঃ

সংবাদবার্তা পরিবেশক: মন্ত্রীরা কে কি নেশা করেন- এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংসদে সিনিয়র মন্ত্রী এমপি ও স্পীকারের রসালো মন্তব্যে হাসির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও হাসি চেপে রাখতে পারেননি। …. এ সময় বিএনপি’র কে এম ওবায়দুর রহমান ফ্লোর নিয়ে বলেন, পান করার অভ্যাস থাকতেই পারে। জিন্নাহসহ এ অঞ্চলে যারা সাফল্যের শীর্ষে গেছেন তাদের সবারই শরাবের অভ্যাস ছিলো। কাজেই কারও পান করার অভ্যাস দোষের কিছু নয়। পরপারে বেহেশতেও শরাবের কথা বলা আছে। আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে ওখানে গিয়ে তো পারবো না …..।” (দৈনিক সংবাদ, ২৯ জুন-২০০৫ ঈসায়ী, ১ পৃষ্ঠা)

আফসুস! ধর্ম নিয়ে ধর্মের নামে জোট সরকারের কি নির্মম রসিকতা। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ তথা কুরআন শরীফে মদকে স্পষ্ট হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। মদের কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর দুনিয়াকে বলা হয়েছে পরীক্ষা ক্ষেত্র। একজন ছাত্র পরীক্ষার পর অবসর কাটাতে পারে, কিন্তু যে ছাত্র পরীক্ষার আগেই অবসর কাটায় তার পক্ষে পরীক্ষা দিয়ে পার পাওয়া দায়। তদ্রুপ বান্দার আমলের পরীক্ষা ক্ষেত্র দুনিয়াতে শরাব হারাম। কিন্তু বেহেশতে তা জায়িয। অর্থাৎ এমনকিছু বিষয় আছে যেগুলো দুনিয়াতে হারাম হলেও বেহেশতে হালাল।  যেমন শরাব (উল্লেখ্য, বেহেশতের শরাবে নেশা হবে না।) স্বর্ণের পাত্র, চারের অধিক স্ত্রী ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, যারা দুনিয়াতে এসব আরাম থেকে দূরে থাকবে তারাই বেহেশতে সেসব আরাম-আয়েশের অধিকারী হবে। এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, আল্লাহ পাক জান্নাতীদের দেখিয়ে জাহান্নামীদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “তোমরা যখন উদরপূর্তীতে মগ্ন থাকতে, তারা তখন রোযা রাখত। তোমরা যখন নিদ্রায় ডুবে থাকতে, তারা তখন ইবাদতে মশগুল থাকতো।”

কাজেই সাংসদ ওবায়দুর রহমান ছাহেবের “আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে ওখানে গিয়ে তো পারবে না”- এ বক্তব্য যে কতটুকু ধর্মবিরোধী হয়েছে তা ধর্মপ্রাণ মাত্রই উপলব্ধি করছেন।

ধর্মপ্রাণ আম জনতা আরো আশ্চর্যবোধ করেছেন যে, তার এ উক্তির পরও ধর্মের নামে গঠিত জোট সরকারের সহযোগী ধর্মব্যবসায়ী দলগুলো কি করে সংসদে-বাইরে চুপ করে থাকতে পারে?

পাশাপাশি “জিন্নাহসহ এ অঞ্চলের যারা সাফল্যের শীর্ষে গেছেন তাদের সবারই শরাবের অভ্যাস ছিলো। কাজেই কারো পান করার অভ্যাস দোষের কিছু নয়”- সাংসদ ওবায়দুর রহমানের এ বক্তব্যও বিশেষ পর্যালোচনার দাবী রাখে।

প্রথমত: এদেশের তথাকথিত মৌলভী ছাহেবরা যারা এখনও জিন্নাহকে তাদের জাতির পিতা গ্রহণে অবনত: তার মহিমা কীর্তনে সদারত; তাদের নিকট এটা প্রকাশ্যে আরেকবার উন্মোচিত হলো যে, জিন্নাহ কেমন মুসলমান নামধারী ছিলেন এবং অজ্ঞ ধর্মব্যবসায়ীরা কেমন লোককে তাদের নেতারূপে কবুল করে আসছেন।

আর শুধু শরাবই নয় সাথে পরস্ত্রী তথা খ্রিস্টান পত্মীর (মাউন্ট ব্যাটনের স্ত্রী) সাথে সম্পর্ক ছাড়াও অন্য সব বদগুণও জিন্নাহর মাঝে ছিলো।

এহেন জিন্নাহর মৃত্যুর পর তার বোনকেও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা নেত্রী হিসেবে কবুল করেছিলো। অর্থাৎ অজ্ঞতা, সামান্য স্বার্থের জন্য ধর্ম বিক্রির প্রবণতার প্রাবল্য তাদেরকে পরাস্ত করেছিলো।

সাংসদ বলেছেন, “যারাই সাফল্যের শীর্ষে গিয়েছেন তাদের সবারই শরাবের অভ্যাস ছিলো।”

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জোট সরকার মনে করছে যে, তারাই বর্তমানে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছে। তাহলে তারাও কি একইভাবে শরাবে অভ্যস্ত হয়ে আছেন?

বিষয়টি আরেকটু সত্য প্রমাণিত হয় সাংসদের এই বক্তব্যে, “কাজেই কারও পান করার অভ্যাস দোষের কিছু নয়।”

আর জোট সরকারের দৃষ্টিতে দোষের কিছু নয় বলেই কি তারা বার বার শরাবের দাম কমায়। শরাব তৈরীর কারখানার অনুমতি দেয়।

বলা হয়, ‘আক্বলমন্দকে লিয়ে, ইশারাই কাফি হ্যায়।’

পুনশ্চ: হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “আখিরী জামানায় মানুষ শরাব খাবে নাম পরিবর্তন করে। হারাম শরাবে তারা হালাল লেবেল লাগাবে।”

প্রসঙ্গত: প্রশ্ন বিদ্ধ হয়, জোট সরকারভুক্ত ধর্মব্যবসায়ী দলগুলি কি তাহলে সে কাজটিই করছে।

তারা ধর্মের নামে গঠিত জোট সরকারের অধর্মীয় কাজগুলোকে সেভাবেই জায়িয করছে। হারাম শরাবের গায়ে হালাল লেবেল লাগিয়ে, নাজায়িয নারী নেতৃত্বের গায়ে জায়িয তকমা এঁটে বিশ্ব বেহায়ার চাইতেও লজ্জা, ভয় ও ঈমানকে বিসর্জন দিয়ে ধর্মের নামে অধর্ম করছে। যা মূলত: কোন মুসলমানের জন্য স্বাভাবিক নয়।

হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “যার লজ্জা নেই, তার ঈমান নেই।”

-মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন