জোট সরকারের শরীকদার তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী আমিনী এবং জামাতী মওদুদীর ফতওয়াতে পরিষ্কারভাবে রয়েছে-“গণতন্ত্র একটি কুফরী, শিরেকী ও হারাম মতবাদ।” শুধুমাত্র ধর্মব্যবসায়িক কারণেই আজকে তারা তা চেপে প্রকাশ্য মুনাফিকী করছে-২

সংখ্যা: ১৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

রসূন কোয়া কোয়া। কিন্তু সব রসূনের গোড়া যেমন এক তেমনি দেওবন্দিরা কেউ পীর ছাহেব, কেউ তাবলীগি, কেউ মুফতী, কেউ শাইখুল হাদীছ ইত্যাদি নামে থাকলেও আসলে সবার গোড়া তথা মতাদর্শ একই।  একথা তারাও স্বীকার করে থাকে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক তৎপরতায় কিছু ভিন্নতা আছে বলে তারা প্রচারও করে থাকে। তবে রাজনৈতিক তৎপরতার ক্ষেত্রেও একটি বিষয়ে, জোট সরকারের অংশীদার হওয়ার পূর্বেও তাদের ঐক্যমত্য ছিলো। তাহলো- ‘ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র হারাম।’  তথাকথিত শাইখুল হাদীছ থেকে তথাকথিত মুফতী আমিনী সবাই একথা বলেছেন। এমনকি এখনও অনেক ক্ষেত্রে বলছেন। যদিও জোট সরকার প্রধানের কাছে গিয়ে তারা সেকথা বেমালুম চেপে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের লিখনী, পত্রিকা এমনকি কিতাবে এখনও সেকথা জ্বলজ্বল। প্রসঙ্গত ভোট ও গণতন্ত্র করা, ইলেকশনে দাড়ানো বিশেষত যে মহিলা নেতৃত্বের অধীনে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ ভোট ও জোট করেছেন সে মহিলা নেতৃত্ব সম্পর্কে সে কঠোর বাণী তার রচিত “আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” নামক বইয়ে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেটা নীচে উল্লেখ করা হল। শুধু চারদলীয় জোটের প্রধান নয়; চারদলীয় সমন্বয় কমিটির নেত্রীরূপে মানলেও তিনি যে মরদা মেয়েলোক ও জাহান্নামী সে প্রসঙ্গে শাইখুল হদস তার “আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” বইয়ের ১৫২ পৃষ্ঠায় লিখেছে            মরদা মেয়ে লোক যারা মেয়েলোক হয়েও পুরুষের মত হাটে-মাঠে,  শহরে-বন্দরে, স্কুল-কলেজে যায়, ভোট বা ইলেক্শনে দাঁড়ায়, যাদের পর্দা-পুশিদার কোন বালাই নেই; পুরুষের মত চালচলন করে, গলার আওয়াজ ও চাল চলনে পুরুষ ও মেয়েদের কোন তফাৎ নেই। এরাও পরকালে কঠিন আযাব ভোগ করবে। ……. নারী নেতৃত্বের হাতে রাজ ক্ষমতার বিষোদগারকরে শাইখুল হদস  শুধু কুরআন-সুন্নাহ্র উদ্ধৃতিই নয়, দুনিয়াবী ঐতিহাসিক তথ্য দিয়ে তার “আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” বইয়ের  ৯৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে-       অবশেষে সেই সপ্ত পর্দার অন্তরালে অবস্থানকারিনী নারীরাই ক্লাবে, থিয়েটারে গমন করতে লাগলো। বলরুমে, রঙ্গমঞ্চে আর নাচের আসরে মেয়েদের নৃত্যগীতের পেশা আবিষ্কৃত হলো। পরিণামে মহিলাদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা এমনভাবেই বৃদ্ধি পেলো যে, যেসব খ্যাতনামা পুরুষ দেশ শাসন ও রাজ্য পরিচালনার খাতিরে পার্লামেন্ট বা সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হতেন তারাও মহিলাদের ভোটে নিযুক্ত হতেন। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির পর থেকেই রোমান সাম্রাজ্যের উপর দিয়ে নানা ধরনের ধ্বংসলীলা বয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস পর্যালোচনাকারীদের প্রত্যেকেই চরম বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে দেখতে পান যে, মহিলাদের নরম লাজুক হাতই কেমনভাবে রোমান সাম্রাজ্যের এই বিরাট বিলাসপূর্ণ সুরম্য প্রাসাদ আর সুদৃঢ় ইমারতের এক একটি ইট পর্যন্ত খসিয়ে ফেলেছে এবং এর সমস্ত গৌরব মহিমাকে ধুলিসাৎ করে ছেড়েছে।   মহিলা এম. পি হওয়া প্রসঙ্গে শাইখুল হদস তার “আল কুরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” নামক বইয়ের ১৪৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেঃ …… এখন বলুন তো, একজন পার্লামেন্ট সদস্য রাজনীতিক মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করলেন এবং এক পর্যায়ে সদস্যদের পারস্পরিক বাক বিতণ্ডা মল্লযুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করে তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, তখন বেচারী মহিলা সদস্যের কি অবস্থা দাঁড়াবে অথবা ধরুন, মহিলা কোন আইন রহিত করলেন অথবা কোন ধারা উপধারার সংশোধনী সম্পর্কে আলোচনা করতে উঠলেন এবং অতঃপর একজন ভাগ্নী সদস্য দাঁড়িয়ে অসংখ্য অকাট্য যুক্তি দ্বারা তার শ্রাদ্ধ করে ছাড়লেন। এখন বলুন দেখি, এমতাবস্থায় লজ্জা ও অপমানে মহিলা সদস্যটি ও তার গর্ভে ধারণ করা সন্তানের কি অবস্থা হতে পারে? বস্তুত এর ফল মহিলাটির গর্ভ অথবা দুধের ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। …….” তথাকথিত শাইখুল হাদীসের মতে মহিলাদের প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া হচ্ছে অপেশাদারী বেশ্যাগিরি করা- এ প্রসঙ্গে সে তার “আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” বইয়ের ১৩৪ পৃষ্ঠায় লিখেছে- “… রং বেরংয়ের পোশাক, লিপিষ্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া, আর বেশ্যাবৃত্তি করা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার  বেশ্যাবৃত্তি করা। ….” অতএব, যেসব ইসলামের খোলসধারী, ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলকভাবে চাচ্ছে যে, আল বাইয়্যিনাতের উপর সরকারের খড়গহস্ত নেমে আসুক, তাদের উচিৎ আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নেয়া। এবং একথা ভালো করে মনে রাখা যে, পরের জন্য কুয়া খুঁড়লে নিজেকেই তাতে পড়তে হয়। তাদের মনে রাখা উচিত যে, আল বাইয়্যিনাত নিজ থেকে বা বানানো কোন কথা বলেন না। আল বাইয়্যিনাত শাশ্বত এবং সনাতন ও ছহীহ ইসলামের কথা নির্ভিকচিত্তে, দ্ব্যার্থহীনকণ্ঠে উচ্চারণ করে মাত্র। আর এটা অনিবার্য যে, যারাই আজকে ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করছে, তার পুঁজি হিসেবে প্রথমে তাদেরকে ইসলামের কথাই বলতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে আজকে আল বাইয়্যিনাতের ফতওয়াগুলোকে তাদেরকে প্রতিধ্বনি করেই ইসলামের লেবাছ তাদের গায়ে দেখাতে হয়েছে। অতঃপর সে লেবাছে লোক দেখানো পর্যায়ের ভিত্তি মজবুত হলেই তারা আজকের ধর্মব্যবসায়ে নামতে পেরেছে। কিন্তু শুরুতে তাদেরকেও আল বাইয়্যিনাতের পথেই চলতে হয়েছে। সে বিষয়ে আল বাইয়্যিনাত আল্লাহ পাক-এর রহমতে যথাযথ বাইয়্যিনাত তথা দলীল দেয়ার হিম্মত রাখে ইনশাআল্লাহ।

-মুহম্মদ ওয়ালিউর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন