যে অর্থে তারা মন্তব্যটা করেছেন সে অর্থে তা সত্য নয়। তারা বলেছেন ইসলামী দলগুলো ডঃ ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তিতে কোনো সাধুবাদ জানায়নি। মূলতঃ ইসলামী দল বলতে তারা ইসলাম নামধারী দলগুলোকেই বুঝে থাকেন।
কিন্তু না ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার, মুনাফিক দল জামায়াতে ইসলামী আপাত জনমতের জোয়ারে রং পাল্টাতে দ্বিধা ও দেরী করেনি। বরং প্রগলভতার সাথেই তারা স্বগতোক্তি করেছেঃ
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহম্মদ কামরুজ্জামান দাবী করেন ডঃ ইউনুসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রথমদিনেই আমরা বিবৃতি দিয়েছি। কিন্তু পত্রিকাগুলো তা ছাপেনি। এমনকি ছাত্রশিবির ডঃ ইউনুসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে। তিনি বলেন, ডঃ ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তিতে আমরা খুশি নই বলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে ডঃ ইউনুসকে স্বাগত জানিয়ে উহাদের আমীর যে বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ
“গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ডঃ মুহম্মদ ইউনুস নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করায় আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। তার এ নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্তি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাব মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। এটা বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষের গর্ব ও আনন্দের বিষয়। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প চালু করার মাধ্যমে তিনি যে নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্তির তিনি তারই স্বীকৃতি পেলেন। আমি আশা করি তিনি তার মেধা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবেন এবং জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ার ব্যাপারে অবদান রাখবেন।
আমি তার সুখ-সমৃদ্ধি সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।” (সংগ্রাম- ১৪ অক্টোবর/০৬ইং)
উল্লেখ্য ৭১ এর রাজাকার, ৯০ এ গণতন্ত্রী, ৯৬ এ আওয়ামী সহযোগী এবং ২০০১ এর জোটভূক্ত জামায়াত যে গিরগিটির ন্যয় ঘন ঘন রঙ পাল্টাতে পারঙ্গম তার আমীর হিসেবে নিজামী সাহেবের উপরোক্ত বিবৃতি দিতে মোটেই বিব্রত হতে হয়নি। তার দল জামায়াতে ইসলামীও বিব্রত হয়নি।
অথচ উপরোক্ত বিবৃতির দ্বারা যে তারা গ্রামীন ব্যাঙ্কের উচ্চ সুদ হারে ঋন, প্রায় এক কোটি গ্রামীন মহিলাদের বেপর্দা, বেহায়া তথা স্বামীর সংসার বিরোধী হয়ে তথাকথিত প্রগতিবাদী মনোভাবী হওয়াকে সমর্থন করলেন সে কথা তারা বেমালুম ভুলে গেলেন।
গ্রামীন ব্যাংকের মহিলা গ্রাহকদের মনোভাব কি তাও আজ কবিতার ছন্দে সর্বজন বিদিত। বহুল প্রচারিত তাদের সে কথা হলঃ “স্বামীর কথা মানবো না, ভাঙা ঘরে থাকবোনা।”
উল্লেখ্য, যে জামায়াতে ইসলাম ইসলামী ব্যাংকিং এর প্রতিষ্ঠা ও প্রসারে সূদ এর বিপরীত মনোভাব গড়তে এই বলে প্রচারণা চালায় যে, এক পয়সা সুদ খাওয়া মানে ৩৬ বার মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার শামিল। সে জামায়াত কি করে ৪৫ শতাংশ সুদী ব্যাংক গ্রামীন ব্যাংককে অভিনন্দন জানায় তা দেখে ধর্মপ্রাণ মুসলমান আরো হতবাক। তারা এই মুনাফিক ধর্মব্যবসায়ী দল সম্পর্কে আবারো সচেতন হওয়ার অবকাশ পেলেন।
উল্লেখ্য জামায়াতে ইসলাম নাম ধারণ করলেও আসলে যে এরা জামায়াতে অনৈসলাম এবং ইসলামী ব্যাংকের ছদ্মাবরণে আসলে যে এরা সূদী ব্যাংকিংই করছে তা এখন কোনই রাখ-ঢাকের ভেতরে নেই। নারী নেতৃত্ব জায়িয করার মত সুদকেও এখন তারা একান্তই জায়িয করে নিয়েছে। এবং জোট সরকারের সুবাদে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি ব্যাংক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিল্প ব্যাংকের যাবতীয় সূদী কায়-কারবারের দায়িত্বভার হোতা নিজামী ও তার দল সুদে এতই অভ্যস্ত ও আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িত হয়ে পড়েছেন যে, এখন তারা গ্রামীন ব্যাংককে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ৪৫ শতাংশ নির্যাতনী সুদকেও জায়িয করে দিলেন, বাহবা জানালেন। সে সাথে গ্রামীন ব্যাংকের পর্দা বিরোধী কার্যক্রমকেও তারা অম্লান বদনে সমর্থন করলেন যেমন করেছিলেন তাদের ম্যাডামকে।
এদিকে মুফতে আমিনী তথা কমিনী তার ডবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের আপাত সমালোচনা করলেও আবার বলেছেন ডঃ ইউনুসের নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে দুনিয়ার দিক থেকে একটি বড় সম্মান। (জনকণ্ঠ ১৯শে অক্টোবর/০৬, পৃষ্ঠা-১)
কিছুই সম্মানজনক হতে পারেনা। অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যস্থিত সবকিছুই লা’নতগ্রস্থ। কেবল আল্লাহ পাক এর যিকির, যিকিরকারী এবং যিকির সংশ্লিষ্ট সব কিছু ব্যতিরেকে।
কাজেই ডঃ ইউনুসের নোবেল পুরষ্কারকে দুনিয়ার দিক থেকে বড় সম্মান বলে মুফতে সাহেব নিজেও যে আসলে কত বড় দুনিয়াদার এবং এত বড় দুনিয়াদার হওয়ার কারনেই নারী নেতৃত্বের মত এত বড় কঠিন হারাম কাজটাকেও তিনি হজম করতে পেরেছিলেন, হালাল করতে পেরেছিলেন, সেটাই প্রমান করলেন।
উল্লেখ্য মুনাফিকী ধর্ম-ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা সংক্রামক ব্যাধি অথবা একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
জামায়াতীদের মত উগ্র মৌলবাদী ইনকিলাবরাও এখন ভোল পাল্টাতে বেশ চৌকস হয়েছে। রাজাকার মান্নান সাহেবের পুত্র বাহাউদ্দিন সাহেব বাপের মৃত্যুশোক ভুলতে না ভুলতেই বাপের আদর্শ ভুলে গেলেন। তাদের পোষ্য কলাম লেখকগুলোও চক্ষুলজ্জাকে উপরে ফেলেছেন। ইনকিলাবীরা তাদের এতদিনের এন.জিও বিরোধী ঐতিহ্য ভুলে রবীন্দ্রনাথের গীতি গেয়ে ইউনুসকে স্বাগত করলেন বহুদিন হতে ‘বাংলার বানী’ আদিল নীরবে অপমান মানি তুমি তারে আজি জাগায়ে তুলিয়া রটালে বিশ্বময় জ্ঞানমন্দিরে জ্বালিয়েছ তুমি যে নব আলোক শিখা তোমার সকল ভ্রাতার ললাটে ছিল উজ্জ্বল টিয়া।
পাঠক! ভাবতেও পারা যায় না যে এ ইনকিলাব সে ইনকিলাব যার পাতায় অহরহ ছাপা হত এনজিওর বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা কিভাবে হতদরিদ্র অসহায় মানুষের ঘরের টিন খুলে নিয়েছে, ছাগল নিয়ে গেছে। সবার সামনে মহা অপমান করেছে, সে অপমান সহ্য করতে না পেরে ঋণ গ্রহীতা আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে সে খবর পর্যন্ত..।
কিন্তু সে ইনকিলাবীরা এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনের উর্দি গায়ে চাপিয়েছে। আর সেটারই … হিসেবে তারা এখন নিেেজদেরই বিরোধীতা করছে। গ্রামীণ ব্যাংকের হাজারো অপকর্মের দলীল প্রমান রেখে আজ গ্রামীন ব্যাংকের ঢেরা পেটাচ্ছে, রবীন্দ্রবচনে গীত গেয়ে ইউনুসকে বন্দনা করছে। সত্যিই মুনাফিকরা খোলশ পাল্টাতে কত ভীষণ পারদর্শী।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতক যে সব সময়ই বিশ্বাসঘাতক, নতুন মিত্রের জন্যও বিশ্বাসঘাতক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ক্ষেত্রেও বিশ্বাসঘাতক, গো আযম নিজামীরাই তার এক প্রতীক তা আমরা ভালভাবেই জানি।
এদিকে সময়টা যে মুজাদ্দিদে আযমের তার প্রমাণ আবারো জাহির হলো।
উল্লেখ্য, মুজাদ্দিদে যামানের প্রকাশের প্রেক্ষাপট হল যে তখন হক্ব পন্থীরাও হক্ব বুঝতে অক্ষম হয়। অজ্ঞতার কারণে তারাও না হক্বের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। ঠিক তাই হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ফুরফুরার ক্ষেত্রে।
গত ২১শে অক্টোবর দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত হয়-
ফুরফুরা দরবার ও মাইনরিটি ফোরামে বিশেষ প্রার্থনা
নভেম্বরে ডঃ ইউনুসকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি
কলকাতা থেকে শুভ পালঃ ফুরফুরা দরবার শরীফে বুধবার সন্ধ্যায় নামাজের পর এক অভিনব আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুরফুরা শরীফ মোজাদ্দেদিয়া অনাথ ফাউন্ডেশন এবং অলইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে তালাক প্রথা, সন্ত্রাসবাদ ও রমযানের উপযোগিতা নিয়ে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন প্রদেশ কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য, মাইনরিটি ফোরামের ইদ্রিস আলী, মোজাদ্দেদিয়া অনাথ ফাউন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান পীরজাদা মাওলানা তোহা সিদ্দিকি ও পঞ্চায়েত প্রধান সামসুল আরেফিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুসের শুভ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেই মাইনরিটি ফোরামের সভাপতি ইদ্রিস আলী ঘোষণা করেন আগামী নভেম্বর মাসেই বাংলাদেশের নোবেল লরিয়েটকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ঐ অনুষ্ঠানে শত শত অনাথ শিশু এই মহান ব্যক্তিত্বকে তাদের গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। (ভোরের কাগজ-২১ অক্টোবর/০৬ ইং)
উল্লেখ্য, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীর এক প্রান্তে যদি কোন লোক কোন অন্যায় করে আর অপর প্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তাহলে তাকে তার সমান গুণাহ দেয়া হবে।
অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে ফাসিকের প্রশংসা করলে আল্লাহ পাক- এর আরশ কাঁপে।
যদি তাই হয়ে থাকে তবে জামাতী, ইনকিলাবী, ঐক্যজোট ও পীর সাহেব নামধারীরা ডঃ ইউনুসকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে কি করলেন তা কি তারা আদৌ ভেবে দেখেছেন?
তারা কুরআন সুন্নাহর স্পষ্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত সুদ ও বেপর্দাকে জায়িযই করেন নাই শুধু বরং অনাগত কালের জন্য এর সিলসিলাকে তারা জারি করলেন। গ্রামীন ব্যাংকের উচ্চ হারের সুদের নির্যাতনের ষ্টীম রোলে পিস্ট অবুঝ অবলা মহিলাদের হাহাকার, আর্তচিৎকার তাদের ইউনুস বন্দনার রবে চাপা পড়ে গেল। তাদেরকে বদদ্বীনী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করার কাজে বাধা প্রদান নিষিদ্ধ ঘোষিত হল। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে কোন অন্যায় দেখলে হাত দিয়ে বাধা দাও, না হলে মুখ দিয়ে বাধা দাও, না হলে অন্তর দিয়ে ঘৃনা কর- যা হল দুর্বল ঈমানের পরিচয়। ডঃ ইউনুস ও তার গ্রামীন ব্যাংককে স্বাগত জানিয়ে তারা যে দুর্বল ঈমানদারের তবকার বিপরীতে বরং কুফরীর মধ্যে পর্যবসিত হল। সত্যিই তারা আজ ঈমানহারা বিপর্যস্ত বটে।
ডঃ ইউনুসের সমর্থক সুশীল সমাজও প্রবাদটা প্রায়ই আওড়ান। – প্রদীপের পাদদেশে অন্ধকার বা আলোর নীচে অন্ধকার। উপমাটা মূলতঃ প্রায় সবারই জানা। এক্ষেত্রে তারা যদি ইউনুসের মধ্যে আলো দেখে থাকেন তবে সেটাকে কেবল আলেয়ার আলো বা মরীচিকাই বলা যেতে পারে। কিন্তু ঐ প্রদীপের পাদদেশের যে অন্ধকার সেটা দেখার জন্য মরীচিকার পেছনে ঘুরতে হবে না। সেটা তাদের কথিত আলো ইউনুসের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে।
লেখার এ পর্বে কেবলমাত্র একটা উদাহরণই মনে করা গেল। যেহেতু রাধুনীর জন্য ভাত একটা টিপলেই যথেষ্ট।
উল্লেখ্য ডঃ ইউনুস শুধু আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন আর হিলারী ক্লিনটনেরই বন্ধু নয়। তিনি অনেক আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিরও সখ্য বা দালালও বটে।
আমেরিকার এমনি একটি বহুজাতিক কোম্পানি হল মনসানটো। ইউনুস এই মনসানটো কোম্পানীর নির্লজ্জ দালালী করতে চেয়েছিলেন দেশের কৃষক ও কৃষি বিক্রী করে। তিনি মনসানটোর টার্মিনেটর বীজ বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছিলো। এটা ছিল এক ফসলী বীজ। এ বীজ থেকে যে ধান উৎপন্ন হয় সে ধানকে দ্বিতীয় বার বীজ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভভ নয়। যদি এ বীজের ব্যবহার শুরু হতো তাহলে আমাদের দেশের কৃষকের বীজতলা ধ্বংস হয়ে যেত এবং আমেরিকান মনসানটো কোম্পানির উপর নির্ভর ও তাদের দয়া দক্ষিণ্য ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা।
অর্থাৎ বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে খাদ্যের জন্য সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার উপর পুরোই নির্ভরশীল হয়ে পড়তো।
ডঃ ইউনুস বাংলাদেশে এই বীজ বাজারজাত করার উদ্যোগ নিলে বিভিন্ন মহল থেকে তার জোরদার প্রতিবাদ উঠে এবং শেষ পর্যন্ত সরকার তা আমদানী বন্ধে বাধ্য হয়। কিন্তু ততদিনে পরিস্কার হয়ে উঠে।
ডঃ ইউনুসের আসল চরিত্রের একটি উদাহরণ মাত্র।
এদিকে ডঃ ইউনুসের নোবেল শান্তি পুরুস্কার নিয়ে উঠেছে হাজারো কথা। (সে সম্পর্কে ইনশাআল্লাহ আগামী সংখ্যায় লেখা হবে।) তবে সহজ ও সংক্ষিপ্ত কথাহচ্ছে যে ডঃ ইউনুসের নোবেল শান্তি পুরুস্কার প্রাপ্তি স্বাভাবিক নয় রবং এর সাথে আগামী নির্বাচনে মার্কিনী হস্তক্ষেপের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি ডঃ ইউনুসকে নোবেল বিজয়ী করে তাকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত কার্যকর করার বিশেষ উদ্যেশ্য লুকায়িত রয়েছে। আর সে হীন ষড়যন্ত্র যতটা না দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে তার চেয়ে অনেক বেশী ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে।
-মুহম্মদ ইবনে হক, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫