তথাকথিত খতীবের ফতওয়ায় তথাকথিত শাইখুল হাদীছ জালিম ও জাহিল সাব্যস্ত

সংখ্যা: ১৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘আল বাইয়্যিনাত’ শব্দের অর্থ ‘অকাট্য, স্পষ্ট, উজ্জল, প্রকাশ্য ও প্রামাণ্য দলীল।’

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবরক করেন, “তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তবে দলীলসমূহ পেশ করো।”

যে কোন বিষয়ে অনেক দলীল-আদিল্লাহর উপস্থাপনার প্রেক্ষিতে এ সময়ে মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমতে কেবলমাত্র আল বাইয়্যিনাতই হক্ব তথা সত্য বলে প্রমানিত। যদিও আল বাইয়্যিনাত বিরোধী, ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা অপবাদ রটনা করে থাকে যে, ‘আল বাইয়্যিনাত এমন একটি পত্রিকা যাতে শুধু আলিম-উলামাদের (?) গীবত করা হয়।’

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, কয়েক প্রকার লোক রয়েছে যাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে গীবত হয়না। তন্মধ্যে অন্যতম হলো যারা নামধারী আলিম তথা ধর্মব্যবসায়ী। যারা একেকবার একেকরকম ফতওয়া দেয়। যাদের যবান এক-আমল অন্যরকম। যারা দ্বীন বিক্রি করে দুনিয়া হাছিলে প্রবৃত্ত। এদেরকে বলা হয় উলামায়ে ‘সূ’।

মূলত: আল বাইয়্যিনাত কেবল এসব উলামায়ে ‘সূ’দের দোষত্রুটিই উল্লেখ করা হয়।

হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম হাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ সময় যারা নামধারী আলিমদের দোষত্রুটি তুলে ধরা ষাট বছর বে-রিয়া নফল ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’

তার কারণ উলামায়ে ‘সূ’ বা গোমরাহ লোকের কাছে গিয়ে মানুষ গোমরাহ হয়ে যায়। যদি কেউ তার দোষত্রুটি বর্ণনা করে দেয় বা তার হাক্বীক্বত প্রকাশ করে দেয় তাহলে হাজার হাজার লোকের ঈমান হিফাযত হয়ে যাবে।

মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমতে আল বাইয়্যিনাত সে কাজটিই করে যাচ্ছে। যারা বলে থাকে, মাসিক আল বাইয়্যিনাতে আলিম-উলামাদের বিরোধিতা করা হয়, তাদের গালি-গালাজ করা হয়; তারা উদাহরণ হিসেবে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, ফযলুল হক কমিনী, মাহিউদ্দীন, পীর সাহেব নামধারী চর্ম নাই ফজলুল করিম ইত্যাদির কথা বলে থাকে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে, এরা প্রত্যেকেই একে অপরের বিরোধীতা করে থাকে, একে অপরকে নাহক্ব বলে থাকে, গোমরাহ দুর্নীতিবাজ বলে থাকে।

প্রসঙ্গত: তথাকথিত খতীবের একটি খুৎবা এবং তথাকথিত শাইখুল হাদীছের একটি ফতওয়া উল্লেখ করা যায়- তথাকথিত খতীবের খুৎবা (১)  তখাকথিত খতীব গত ২০শে মে-২০০৫ জুমুয়ার দিনে তার খুৎবায় বলেন, ….. “জেনে রাখ, ভাল আচরণ আর খারাপ আচরণ এক রকম নয়। খারাপের বিপরীতে ভাল আচরণ দিয়ে প্রতিবাদ কর। তাহলে তোমার দুশমনেরা তোমার বন্ধুতে পরিণত হবে। তিনি হরতালকে বাংলাদেশের উন্নয়নের বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, চীন কিছুদিন পূর্বে তাদের নিজস্ব বিমান নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বাংলাদেশে বিমান তৈরী দূরের কথা একটি সিএনজি ট্যাক্সি বানানোর ক্ষমতা নেই। কিভাবে থাকবে? যদি বছরে ৫০ দিন হরতাল থাকে তাহলে উন্নতি কোথা থেকে আসবে? যারা রাজনীতির নামে হরতাল করে গাড়ী জ্বালায়, ভাংচুর করে মানুষের ক্ষতি করে এটা তাদের রাজনীতি নয় ধ্বংসনীতি। তিনি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, যারা মানুষের প্রতি দয়া করে আল্লাহ পাক তাদের উপর দয়া করবেন। মানুষের রাস্তা বন্ধ করা কোন দয়ার আচরণ নয়। এসব কাজ থেকে নিজেরা ও কর্মীদের বিরত রাখতে হবে। এটা আল্লাহ ও রসূলের সন্তুষ্টির বিপরীত কাজ। … (দৈনিক সংগ্রাম, ২১ মে-২০০৫, পৃষ্ঠা ১) (২) স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক বলেছেন, হরতাল হলো শান্তি বিঘœকারী প্রক্রিয়া। এটি একটি ফাসাদ। যারা এটা এটা করবেন তারা গণদুশমনে পরিণত হবেন। যারা অতীতে জনগণের সাথে এ রকম আচরণ করেছে তারা কেউ পার পায়নি।” …  (দৈনিক মানবজমিন, ৫ জুলাই-২০০৩) (৩) … “যারা হরতাল ডেকে ওই ধরনের ভাঙচুর করেন, তারা মূলত ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চায়। এজন্য হরতাল আহবানকারীরা হরতালের দিনের আগেই গাড়ি ভাঙ্গে, আগুন জ্বালায়। তিনি তাদের জালিম আখ্যায়িত করে বলেন, বছর পর বছর ধরে তারা এদশে ধ্বংসাত্ম কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।” …  (দৈনিক দিনকাল, ৫ জুলাই-২০০৩) পত্রিকান্তরে প্রকাশিত উপরোক্ত রিপোর্টের থেকে সাব্যস্ত হয় যে,  (১) হরতাল দ্বারা দেশের ক্ষতি করা হয়। মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হয়। যা শরীয়তের দৃষ্টিতে কুফরী। (২) হরতাল দ্বারা ধ্বংস করা হয়। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই। অতএব, শুধু অপব্যায়কারীই যদি শয়তানের ভাই হয় তাহলে ধ্বংসকারী তো শয়তানের বড় ভাই তথা নাজায়িয ও হারাম কাজের বড় হোতা। (৩) হরতাল করা মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টির বিপরীত কাজ। অর্থাৎ লা’নতী কাজ বা তাগুতী কাজ।  (৪) যারা হরতাল করে তারা জাহিল ও জালিম। উল্লেখ্য যে, তথাকথিত খতীবের এ খুৎবা তা ফতওয়ার বিপরীতে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক্বের পত্রিকা রহমানী পয়গাম মে-২০০২ সালে হরতাল সম্পর্কে যে ফতওয়া দেয়া হয় তাহলো- (১) বর্তমান যুগে হরতাল বাতিল প্রতিরোধের অন্যতম পন্থা; যা ফলপ্রসু। (২) বিধর্মীদের অস্ত্র নিয়ে যদি যুদ্ধ করা যায় তাহলে তাদের প্রবর্তিত হরতাল করা যাবে না কেন? স্মর্তব্য, বিধর্মীদের তৈরী অস্ত্র এবং পদ্ধতি বা পন্থা এক নয়। যেমন, বিধর্মীরা গুলি ছুড়ে তাদের উপাস্যের নামে। কিন্তু মুসলমান আল্লাহ পাক-এর নামে। বিধর্মী ও মুসলমানের অস্ত্র চালনা পদ্ধতিও এক রকম নয়।  ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ এই কারণেই হয়েছিলো। কারণ, তখন মুসলমানরা জানতে পেরিছিলো যে, বন্দুকের টোটা শুকরের চর্বি দ্বারা তৈরী যা মুসলমানদের দাঁত দিয়ে ছিড়তে হত। তা ছোঁড়া হিন্দু বা খ্রীষ্টান সৈন্যের জন্য সমস্যা ছিলো না কিন্তু মুসলমান সিপাই’র জন্য তা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে গভীর আপত্তিকর ছিল বিধায় মুসলমান সেনারা বিদ্রোহ করেছিলো। মূলত: এর বিস্তারিত জাওয়াব মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১১৭তম সংখ্যায় দেয়া হয়েছে। যার বিন্দুমাত্র খণ্ডন করা অদ্যাবধি শাইখুল হদছ গং এর পক্ষে সম্ভব হয়নি।   যে কারণে তারা আল বাইয়্যিনাতে নিস্ফল বিরোধিতা করলেও এখন  গোস্সায় তাদের আঙ্গুল কামড়ানোর মত অবস্থা তৈরী হয়েছে। উপরোক্ত দলীল-প্রমাণ সাপেক্ষে এ লেখার যা মূল উপজীব্য তাহলো: তথাকথিত খতীবের হরতাল বিরোধী ফতওয়ায়; হরতাল সমর্থনকারী তথাকথিত শাইখুল হাদীছ সম্পর্কে যা সাবেত হয় – (১) হরতাল সমর্থন করে শাইখুল হদছ কুফরী কাজ করেছেন। (২) শাইখুল হদছ শয়তনে রড় ভাই। (৩) শাইখুল হদছ মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গভীর অসন্তোষমূলক বা খাছ লা’নতী কাজের সাথে যুক্ত তথা লা’নতী। (৪) তথাকথিত শাইখুল হাদীছ জাহিল ও জালিম।  যাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক জালিম সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।”

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন