তথাকথিত খতীবের স্বীকারোক্তি: তথাকথিত ইসলামী দলের নেতারা একেকজন হিটলার ও একক ক্ষমতালোভী॥ তাদের দোষ যারা ধরিয়ে দেয় তারা হয়ে যায় আলিম-উলামা বিরোধী

সংখ্যা: ১৪৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তিনি মশার উপমা দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন না।” কুরআন শরীফে মাছের কথাও এসেছে।

মাছ সম্পর্কে প্রবাদ রয়েছে- “মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে।” আর মুসলিম সমাজে অধঃপতন শুরু হয় আলিম নামধারীদের পতন থেকে। মাছ সম্পর্কে আরেকটি প্রবাদ হলো, বোয়ালের ডিম বোয়ালই উদগীরণ করে।

তদ্রুপ বলতে হয় নামধারী উলামা তথা ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘ছূ’রা নিজেরাই নিজেদের হাক্বীক্বত ফাঁস করে। যেমনটি ফাঁস করেছেন, ধর্মব্যবসায়ী নেতা তথাকথিত খতীব।

গত ১২ই আগস্ট তিনি ইসলামের নামধারী সবগুলো দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন,

খতিব বলেন-  একেকজন নেতা কোন দলের প্রধান হয়ে নিজেকে হিটলার মনে করেন

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক বলেছেন, ইসলামী দলের নেতারা মুখে ঐক্যের কথা বলেন। অন্তরে নিজের নেতৃত্বের মানসিকতা রাখেন।

সব সময় ঐক্যবিরোধী কাজ করে। তাদের এসব ব্যাধির কারণেই শত চেষ্টা করেও কাঙিক্ষত ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

মাওলানা উবায়দুল হক বলেন, একেকজন নেতা কোন দল বা সংগঠনের প্রধান হয়ে নিজেকে হিটলার মনে করেন।

কাউকেই পরওয়া করেন না। কারও সঙ্গে কোন পরামর্শ করেন না। মনে যা খুশি তাই বলে দেন।

নিজের মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু বলে চালিয়ে দেন। দেশ ও জাতির শত্রু বলে চালিয়ে দেন। (দৈনিক মানব জমিন ১৩ই আগস্ট/২০০৫ ঈসায়ী)

এরপর গত ২৮শে সেপ্টেম্বর হাফেজ্জীর উপর একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তথাকথিত খতীব আরো খোলামেলাভাবে বলেন, আজ রাজনৈতিক দলসমূহে পরামর্শের চর্চা না থাকায় অনৈক্যের সৃষ্টি হচ্ছে। হাফেজ্জী সকল ছোট বড় কাজ পরামর্শের মাধ্যমে করেছেন। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী পাওয়ার পরও আল্লাহর নির্দেশে পরামর্শ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমিনীরা পরামর্শ করে না। যার কারণে তারা একত্রিত হতে পারে না। একেকজন একেক হিটলার হয়ে গেছেন। পরামর্শ ছাড়া ঘুম থেকে উঠে দল ঘোষণা করেন। আর নিজেই সকল পদ দখল করেন।

মূলতঃ তথাকথিত খতীবের বক্তব্যে নামধারী ইসলামী দলগুলোর হাক্বীক্বত আবারো উন্মোচিত হয়েছে, খোলামেলা হয়েছে।

এরা যে আসলে ইসলামের জন্য আদৌ দল করে না তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এরা যে ক্ষমতার জন্য দল করেছে, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নিজেরা বিভক্ত হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। শুধু কমিনীই নয় বরং শাইখুল হদস, নিজামী, মুফতি ইজহার, আহমদ শফী ইত্যাদি নামধারী ইসলামী নেতারা যে আসলে এক একজন হিটলার তথা গভীর ক্ষমতালোভী তাও খতীবের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে।

অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে পদপ্রার্থী তথা ক্ষমতালোভী হয় তার প্রতি লা’নত।” আর ইসলামের নামে দল করলেও নিজামী, কমিনী, হদস, সাঈদী, ইজহার গং এরা যে প্রত্যেকেই হাদীছ শরীফে উল্লিখিত লা’নতী তা কুদরতময় আল্লাহ পাক-এর কুদরতে তাদের বর্ষীয়ান নেতার মুখেই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

তাদের সম্পর্কে ‘নিজেদের মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু বানিয়ে দেন। দেশ ও জাতির শত্রু বলে চালিয়ে দেন।’

খতীবের এ বক্তব্য দ্বারা তাদের এযাবতকাল পর্যন্ত আল বাইয়্যিনাত বিরোধিতার কারণ উদঘাটিত হয়েছে। অসারতা প্রতিপন্ন হয়েছে। তাদের মনগড়া, কুফরী ও হারাম কাজের বিরুদ্ধে বলার কারণেই তারা আল বাইয়্যিনাতকে অনৈসলামী পত্রিকা বলেছে, আল বাইয়্যিনাতকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের মুখপত্র তথা মুসলমানদের শত্রু বলে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালিয়েছে, কাদিয়ানী বলে অপপ্রচার করেছে সে হাক্বীক্বতও ফাঁস হয়েছে।

প্রসঙ্গত কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে যারা শয়তান শ্রেণীর তাদেরই আমি নবী-রসূল (ও আউলিয়ায়ে কিরামের) শত্রু করেছি।”

অতএব, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শীদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ও তাঁর আল বাইয়্যিনাত বিরোধীরা

যে আসলে কত বদ, কত জঘন্য ধর্মব্যবসায়ী, ক্ষমতালোভী তথা লা’নতী তা তাদের বর্ষীয়ান গুরু খতীবই স্বীকার করেছে, প্রচার করেছে।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি হক্ব এবং না হক্ব পার্থক্য করা ব্যতীত ছাড়বো না।

-মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন