হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, ‘যার শেষ ভালো তার সব ভালো।’ এ হাদীছ শরীফ-এর মূলত: মৃত্যুকালীন অবসথার কথাই বলা হয়েছে। সবারই জানা রয়েছে যে, নেককারের মৃত্যু হলে কতগুলো রহমতী নিদর্ন ফুটে উঠে। চেহারা ডানকাত ও নূরানী হওয়া, সুগন্ধী ছড়ানো এমনকি অনেকের মৃত্যুর দীঘদিন পড়েও কবর খুড়লে লাশ না পচা ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে বদকারের লক্ষণ চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়া, শরীর অল্পতে পচে যাওয়া, দুগন্ধ বের হওয়া, আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া, ফুলে-ফেপে উঠা ইত্যাদি।
আর সেব বদলক্ষণই প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে উবায়দুল হকেবর ক্ষেত্রে।
দৈনিক আল ইহসান উনার প্রতিবেদক সাইফুল হাবীব ও শিশির হুসাইন জানান, তারা উবায়দুল হক্বের মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরপরই ল্যাব এইডে উপস্থিত হন। তারা গিয়ে দেখেন তখনই উবায়দুল হক্বের লাশ পঁচে অনেকটা ফুলে উঠেছে, কপাল কালো হয়ে গেছে, চোখ মুখ বসে গেছে। কয়েকঘণ্টা ব্যবধানে লাশ আরো বীভৎস অবস্থা ধারণ করে।
পরবর্ীতে লাশের যে অবস্থা হয়:
১. লাশের পেট অত্যন্ত ফুলে উঠে। যা শরীর থেকে প্রায় দুই আড়াই গুণ।
২. সারা মুখ অত্যন্ত কালো হয়ে যায় যা বিদঘুটে দেখাচ্ছিলো।
৩. ফরমালিন দেয়া সত্তেও লাশ থেকে অত্যন্ত দুর্ন্ত দুর্ন্ধ বের হচ্ছিলো।
৪.লাশের দুই কান কালো আকার ধারণ করে লম্বা হয়েছিলো।
৫. লাশের চোখ, মুখ, গাল বসে গেয়েছিলো।
৬. দুই ঠোট পুড়ে যাওয়ার মত কালো হয়েছিলো।
৭. নাকদ্বয় বাশির মত লম্বা হয়েছিলো।
৮. সম্পূণ মাথা কালো দেখা গিয়েছিলো।
এ যে এক গানের আসর!
এত বড় খতীব দাবী করার পরও খতীবের মেয়ে জামাইকে দেখা গেলো দাড়ী-মোচ বিহীন, টুপি ছাড়া, হাফগেঞ্জী ও টাইট জিন্স পরিহিত। কারো মুখে কলেমা শরীফ, দোয়া-দরূদ বা শোকের চিহ্ন নেই। সবাই যেন হাসি-খেলায় মত্ত। মসজিদেই বাজছে তাদের মোবাইলের রিংটোন একের পর এক বা একসাথে অনেকগুলো। কিন্তু সবগুলোরই গানের বাজনার সূর। উবায়দুল হক্বের পরিবারের একাধিক মোবাইলে গানের বাজনা বাজতে থাকার কারণে মনে হচ্ছিলো এ যেন মসজিদের মধ্যে গান-বাজনার আসর। নাউযুবিল্লাহ!
জুমুয়ার বয়ানে বড় বড় কথা বললেও পরিবারে উবায়দুল হক্ব কতটুকু তা’লীম দিয়েছে এ তার সাক্ষাত প্রমাণ।
মসজিদে মাইকে সবাইকে কুরআন শরীফ পড়তে বলা হলে উবাই’র ভক্তদের কুরআন শরীফ না পড়ে মসজিদেই লাশের পাশে ছবি সংবলিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়তে দেখা যায়।
মূলত: উবায়দুল হক্বের বিবৃতি ও আমলে রয়েছে এমনি আরো অনেক বদআক্বীদা ও বদ আমল। সে প্রেক্ষিতে বলতে হয়- মুনাফিক, রাজাকার, জঙ্গি, জামাত, কাদিয়ানীদের দোসর, মুরতাদ উবায়দুল হক্বের মৃত্যু হয়েছিলো গযবে পড়ে। মনে হচ্ছিলো, আযাবের ফেরেশতা চাপ দিয়ে তাকে মেরেছে এবং সে গযবের লক্ষণগুলো একের পর এক তার লাশে প্রকাশ পাচ্ছিলো। নাঊযুবিল্লাহ!
-মুহম্মদ আহমাদুর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২